অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্র, ফুটবলে স্পেন, টি-টোয়েন্টিতে ভারত
রাহেনুর ইসলাম
২০ ডিসেম্বর ২০২৪
‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ'খ্যাত অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০২৪ সালে। প্যারিসের সেই আসরে শ্রেষ্ঠত্ব ধরে যুক্তরাষ্ট্র। কোপা আমেরিকায় আর্জেন্টিনা, ইউরোয় স্পেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের শিরোপা উৎসবও ছিল অন্যতম আলোচিত ঘটনা।
বিজ্ঞাপন
আর টেনিসের শূন্যতা বাড়িয়েছে কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের অবসর। বিদায়ী বছরেক্রীড়াঙ্গনের এক ঝলক নিয়েই এ আয়োজন।
অলিম্পিক
এবারই প্রথম মূল স্টেডিয়ামের বাইরে প্যারিসের সিন নদীতে হয়েছে অলিম্পিকের উদ্বোধন। মার্চপাস্টেই হয়েছে বিতর্ক। দক্ষিণ কোরিয়া দলের জলযানে আসার সময় ধারাভাষ্যকার পরিচয়পর্বে বলে ফেলেন, ‘ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া।' অথচ এটা উত্তর কোরিয়ার অফিশিয়াল নাম! এজন্যও ক্ষমাও চায় আইওসি। এছাড়া সিন নদীর অতিরিক্ত দূষণে কয়েকটি ইভেন্টের ব্যাহত হওয়া ছিল চাঁদের কলঙ্কের মতো।
এমন বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যাপার বাদ দিলে জমজমাটই হয়েছে প্যারিস অলিম্পিক। যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে পদক তালিকায় চীনসম্ভাবনা জাগিয়েছিল শীর্ষস্থানের মুকুটের। শেষ ইভেন্ট মেয়েদের বাস্কেটবলের হাড্ডাহাড্ডি ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে চীনের সমান ৪০ সোনা নিশ্চিত করে যুক্তরাষ্ট্র।
সোনা সমান ৪০টি হলেও ৪৪ রুপা আর ৪২ ব্রোঞ্জসহ ১২৬ পদক নিয়ে অলিম্পিক শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখে যুক্তরাষ্ট্র। ৪০ সোনা, ২৭ রুপা, ২৪ ব্রোঞ্জসহ ৯১ পদক নিয়ে দুইয়ে থেকে অলিম্পিক শেষ করে চীন।
বিরল মানসিক রোগে টোকিও অলিম্পিকে কেবল দুটি পদক জিতেছিলেন সিমোনা বাইলস। অনেকে শেষও দেখে ফেলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের এই জিমন্যাস্টের। সেই বাইলস প্যারিসে রূপকথার মতো ফিরে জেতেন ৩টি সোনা ও একটি রুপা। অলিম্পিক ক্যারিয়ারে ৭ সোনাসহ ১১ পদক জিতে বাইলস হয়ে উঠেন ‘জিমন্যাস্টিকসের রানি'।
অলিম্পিকের সবচেয়ে মর্যাদার ১০০ মিটার স্প্রিন্টের সোনা জেতেন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়াহ লাইলস, তাও ফটো ফিনিশে। জ্যামাইকার কিশানে টম্পসনকে এক সেকেন্ডের ১ হাজার ভাগের ৫ ভাগের ব্যবধানে (০.০০৫) হারিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী স্প্রিন্টার (টাইমিং ৯.৭৯ সেকেন্ড)।
বুদাপেস্টে গত বছর ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে তিনটি সোনা জেতা লাইলস অবশ্য অলিম্পিকে ট্রেবল স্বপ্ন পূরণ করতে পারেননি। ১০০ মিটারের সোনার পর ২০০ মিটারে সন্তুষ্ট থাকেন রুপা জিতে। মেয়েদের ১০০ মিটারে সোনা জেতেন সেন্ট লুসিয়ার জুলিয়ান আলফ্রেড। ২০০ মিটারেও রুপা জেতেন তিনি।
প্যারিসে রূপকথা তৈরি করছেন লাইলস, বাইলস, জুলিয়েনরা
প্রায় প্রতিদিনই অসাধারণ সাফল্য দেখছে প্যারিস অলিম্পিক। জন্ম হচ্ছে খেলার জগতে রূপকথার নায়ক-নায়িকাদের।
ছবি: Anadolu/picture alliance
দ্রুততম পুরুষ নোয়া লাইলস
প্যারিস অলিম্পিকে পুরুষদের একশ মিটার দৌড়ে জিতে বিশ্বের দ্রুততম পুরুষ হলেন যুক্তরাষ্ট্রের নোয়া লাইলস। সময় নিলেন নয় দশমিক ৭৯ সেকেন্ড। ফটো ফিনিশে জিতলেন তিনি। ২০০৪ সালের পর আবার যুক্তরাষ্ট্রের একজন অ্যাথলিট পুরুষদের একশ মিটার দৌড় জিতলেন। ২০০৮ থেকে ১৬ পর্যন্ত জিতেছেন জ্যামাইকার উসাইন বোল্টের। অবশ্য বোল্টের রেকর্ড ভাঙতে পারেননি লাইলস।
ছবি: Phil Noble/REUTERS
এমন দৌড় আর হয়নি
একশ মিটারে লাইলস সোনা পেয়েছেন ফটো ফিনিশে। রুপোজয়ী কিশানে থমসনের সময়ও ছিল নয় দশমিক ৭৯। এরপর এক সেকেন্ডকে এক হাজার ভাগ করা হয়। সেখানেই দশমিক শূন্য শূন্য পাঁচ সেকেন্ড আগে দৌড় শেষ করায় লাইলস সোনা জেতেন। আটজন প্রতিযোগীই দৌড় শেষ করেন ১০ সেকেন্ডের কম সময়ে। তাই এই দৌড়কে বিশ্বের অন্যতম সেরা একশ মিটারের দৌড় বলা হচ্ছে।
ছবি: Fabrizio Bensch/REUTERS
জিতে কী বললেন লাইলস
লাইলস বলেছেন, ''আমার জন্য এর থেকে বড় মুহূর্ত আর কিছু হতে পারে না। আমি প্রথম রাউন্ডে ভালো করতে পারিনি। তাই ফাইনালে আরো আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে এসেছিলাম। আমি সেভাবেই দৌড়েছি। আমার মনে হয়, আপনাদের আমাকে পছন্দ হয়েছে। আমাকে আরো অনেক দূর যেতে হবে।''
ছবি: Kai Pfaffenbach/REUTERS
বিশ্বের দ্রুততম নারী
প্যারিস অলিম্পিকে দ্রুততম নারী হয়েছেন সেন্ট লুসিয়ার জুলিয়েন অ্যালফ্রেড। ১০ দশমিক ৭২ সেকেন্ডে তিনি একশ মিটার দৌড়েছেন এবং সোনা জিতেছেন। এই দৌড় তাকে অষ্টম দ্রুততম নারীর পরিচিতি দিয়েছে। তবে শুধু এই কারণে নয়, তিনি অলিম্পিক-রূপকথায় নাম তুলে ফেলেছেন, ক্যারিবিয়ানের ছোট দ্বীপ সেন্ট লুসিয়াকে প্রথম অলিম্পিক পদক এনে দিয়ে।
ছবি: Dylan Martinez/REUTERS
সেন্ট লুসিয়ার জুলিয়েন
সেন্ট লুসিয়ার জনসংখ্যা হলো এক লাখ ৮০ হাজার। সেখান থেকে কেউ এর আগে অলিম্পিক পদক জেতেননি। জুলিয়েন জিতলেন। ১২ বছর বয়সে বাবাকে হারানোর দুই বছর পর জ্যামাইকায় চলে যান। তারপর তার দৌড়বিদ হিসাবে প্রশিক্ষণের শুরু। যুব অলিম্পিকে রুপো পাওয়ার পর টেক্সাসে ভর্তি হন। কোচ হিসাবে পান ফ্লোরিয়ালকে। বদলে যান জুলিয়ান।
ছবি: Kai Pfaffenbach/REUTERS
বাইলসের তিন সোনা
প্যারিসে আরেক রূপকথার জন্ম দিয়েছেন বাইলস। ভল্টে তৃতীয় সোনা জিতে নিয়ে। তিনটে সোনা জিতে শুধু নয়, বাইলসের রূপকথার প্রতিটি পরতে আছে এক অনন্য় লড়াই ও মানসিক শক্তির কাহিনি। টোকিওতে মানসিক রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন। এবার তিনিই তিনটি সোনা জিতে দেখিয়ে দিলেন, চেষ্টা করলে মানুষ সব যুদ্ধে জয় পেতে পারে। নিজেকে তুলে নিয়ে যেতে পারে এক অনন্য় উচ্চতায়।
ছবি: Anadolu/picture alliance
'টুইস্টিজ' আক্রান্ত বাইলস
টোকিওতে বাইলস মানসিক অসুখ টুইস্টিজে আক্রান্ত হন। এই অসুখে মাথা কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অসুস্থ মানুষের সামনে শূন্যতা থাকে শুধু। বাইলস সেই অসুখ সারিয়ে প্যারিস অলিম্পিকে দিলেন ইয়ুরচেঙ্কো ডাবল পাইক ভল্ট যা এখন অনেকেই বাইলস ভল্ট বলছেন। শূন্যে ভেসে দুইবার পাক মেরে ঠিক করে ল্যান্ড করতে হয়। বাইলস করলেন। সোনা পেলেন। সবমিলিয়ে অলিম্পিকে ১০টি সোনা হয়ে গেলো তার।
ছবি: Kyodo/picture alliance
কী বললেন বাইলস?
জেতার পর সামাজিক মাধ্যমে বাইলস বলেছেন, ''অলিম্পিকে পদক জেতার পর আপনারা দয়া করে অ্যাথলিটদের এই প্রশ্ন করা বন্ধ করুন যে, এরপর কী? আমরা গোটা জীবন ধরে যে মুহূর্তটা পেতে চা্ইছি, তাকে উপভোগ করতে দিন।'' সাংবাদিক সম্মেলনে বাইলস বলেছেন, তিনি আর ইয়ুরচেঙ্কো ডাবল স্পাইক ভল্ট দেবেন না। তবে আগামী অলিম্পিক তার দেশে হবে। সেখানে নামবেন কিনা তা বলতে পারছেন না। তখন তার বয়স বেড়ে যাবে।
ছবি: Kyodo/picture alliance
কেঁদে ফেললেন জোকোভিচ
অলিম্পিক টেনিসে সোনা জিতে কেঁদে ফেললেন জোকোভিচ। ফাইনালে অলকারাজকে ৭-৬, ৭-৬-এর হারিয়ে সোনা জেতার পর এই কান্না জোকোভিচের। ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতা জোকোভিচের চোখে জল দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। জোকোভিচ বলেছেন, ''৩৭ বছর বয়সে সার্বিয়ার হলে সোনা জেতা অসাধারণ অনুভূতি। আবেগ ধরে রাখতে পারছি না। আমি গর্বিত ও খুশি। এটাই আমার সেরা সাফল্য।''
ছবি: Manu Fernandez/AP/picture alliance
৫২ বছর পর
প্যারিস অলিম্পিকে হকিতে রূপকথা-সম জয় পেয়েছে ভারত। ৫২ বছর পর তারা হারাতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়াকে। ৩-২ গোলে। ভারতীয় হকি দল এবার অলিম্পিকে ভালো খেলছে। ব্রিটেনকে হারিয়ে সেমিফাইনালেও উঠেছে তারা। একটিমাত্র ম্যাচ হেরেছে তারা বেলজিয়ামের কাছে। সেখানেও তারা ভালো খেলেছে। তবে ৫২ বছর পর অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর ঘটনা আলোড়ন তুলেছে ভারতে।
ছবি: Adnan Abidi/REUTERS
10 ছবি1 | 10
ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বেশি ৪টি সোনা জিতেছেন ফ্রান্সের সাঁতারু লিওঁ মার্শা। ২০০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোক, ২০০ মিটার বাটারফ্লাই, ২০০ মিটার মেডলিতে সোনা জয়ী ২২ বছরের এই তারকা ৪ গুণিতক ১০০ মিটার মেডেলিতে পান ব্রোঞ্জ।
সোনা না পেলেও সবচেয়ে বেশি ৬টি পদক জিতেছেন চীনের ঝ্যাঙ্গ ইউফেই। এর পাঁচটি ব্রোঞ্জ আর একটি রুপা। পাঁচটি করে পদক জিতেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাঁতারু রেগান স্মিথ, টোরি হাসকে আর অস্ট্রেলিয়ার সাঁতারু মলি ও'ক্লাঘান।
প্রথম ভারতীয় হিসেবে অলিম্পিকের এক আসরে দুটি পদক জেতেন শ্যুটার মানু ভাকের। ১০ মিটার এয়ার পিস্তলে ব্রোঞ্জ জয়ের পাশাপাশি মিক্সড টিম ইভেন্টে ১০ মিটার এয়ার পিস্তল ইভেন্টে সরবজ্যোত সিংয়ের সঙ্গে যৌথভাবে ব্রোঞ্জ জেতেন তিনি।
আলজেরিয়ান বক্সার ইমানে খেলিফ ছেলে না মেয়ে-এই বিতর্ক ছিল অলিম্পিক জুড়ে। তবে বিতর্ক এক পাশে সরিয়ে মেয়েদের বক্সিংয়ে ৬৬ কেজির ফাইনালে চীনের ইয়াং লিউকে হারিয়েছে সোনা জেতেন তিনি।
প্রযুক্তির হাত ধরে নিরপেক্ষ ফুটবল
01:59
কোপায় আর্জেন্টিনা ও ইউরোয় স্পেনের শিরোপা
কোপা-বিশ্বকাপ-কোপা জিতে চক্রপূরণই করে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা। লাতিন প্রথম কোনো দল হিসেবে মর্যাদার টানা তিনটি শিরোপা জয়ের কীর্তি তাদের। গ্রুপে টানা তিন ম্যাচ জেতা আর্জেন্টিনা কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে ৪-২'এ হারায় ইকুয়েডরকে। লিওনেল মেসির পেনাল্টি মিসের মাশুল গুণতে হয়নি এমিলিয়ানো মার্তিনেস বীরত্বে। ব্রাজিল অবশ্য টাইব্রেকারেই হেরে যায় উরুগুয়ের কাছে।
আর্জেন্টিনা সেমিফাইনালে ২-০ গোলে কানাডাকে হারানোর পর ফাইনালে ১১২ মিনিটে করা লাওতারো মার্তিনেসের গোলে উরুগুয়েকে হারিয়ে জেতে শিরোপা। কোপায় সবচেয়ে বেশি ৫ গোল করেছিলেন লাওতারো মার্তিনেসই।
ইউরো-বিশ্বকাপ-ইউরো, ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত অনন্য এই কীর্তিটা ছিল স্পেনের। এরপর পাসের ফোয়ারা ফুটিয়ে খেলা দলটি ভুগছিল শিরোপা খরায়। লামিনে ইয়ামাল, রদ্রি, নিকো উইলিয়ামস, দানি ওলেমোদের জাদুকরী ফুটবলে সেটা দূর হয় এবারের ইউরোয়। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে স্পেন জেতে রেকর্ড চতুর্থ ইউরো।
ইউরোপে মর্যাদার পাঁচ লিগের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল ম্যানচেস্টার সিটি, লা লিগা রিয়াল মাদ্রিদ, সিরি ‘এ' ইন্টার মিলান, বুন্দেসলিগা বেয়ার লেভারকুসেন আর ফ্রেঞ্চ লিগ পিএসজি।
২০২৪ এ ঝরে পড়া নক্ষত্রেরা
নক্ষত্ররও পতন হয়। কিন্তু কখনো কখনো তাদের পতনে সৃষ্টি হয় এক নিদারুণ শূন্যতা, যা অনেকাংশেই অপূরণীয়। ২০২৪ এ আমরা হারিয়েছি বিশ্ব বরেণ্য কয়েকজন সংগীতজ্ঞ, অভিনয় শিল্পীকে।
ছবি: Martin Harris/Captital Pictures/picture alliance
ওস্তাদ রশিদ খান
ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতজ্ঞ ওস্তাদ রশিদ খান ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই উত্তরপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে পদ্মশ্রী এবং সেইসাথে সঙ্গীত নাটক একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। ২০২২ সালে তিনি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণে ভূষিত হন। গত ৯ জানুয়ারি মাত্র ৫৬ বছর বয়সে শেষ হয় তার পথচলা।
ছবি: privat
পঙ্কজ উধাস
১৭ মে ১৯৫১ গুজরাটে জন্মগ্রহণ করেন পঙ্কজ উধাস৷ আশির দশকে গজলের অনুষ্ঠান, অ্যালবাম এবং ছবির গানে শ্রোতা, দর্শকদের মুগ্ধ করে রেখেছিলেন পঙ্কজ৷ ‘চান্দি জ্যায়সা রঙ হ্যায় তেরা', ‘দিওয়ারোঁ সে মিল কর রো না', ‘আহিস্তা, আহিস্তা'-সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের শিল্পীর উল্লেখযোগ্য কয়েকটি অ্যালবামের নাম ‘নাশা', ‘পয়মানা',‘হামসফর'৷ মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন পঙ্কজ উধাস৷
ছবি: AFP
সাদী মুহাম্মদ
রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও সুরকার সাদী মুহাম্মদ শহীদ পরিবারের সন্তান৷ সাংস্কৃতিক সংগঠন রবিরাগের পরিচালক সাদীর জন্ম ১৯৫৭ সালের ৪ অক্টোবর, ঢাকায়। রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করা এই শিল্পী ২০১৫ সালে বাংলা একাডেমি রবীন্দ্র পুরস্কার লাভ করেন। ১৩ মার্চ তিনি স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নেন।
ছবি: Sazzad Hossain/DW
শাফিন আহমেদ
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদল মাইলস-এর বেজ গিটারিস্ট এবং প্রধান গায়ক শাফিন দীর্ঘদিন মঞ্চ মাতিয়েছেন দেশে ও বিদেশে। ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৭৯ সালে মাইলসে যোগ দেন। তার গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, ফিরিয়ে দাও অন্যতম। ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় গত ২৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ছবি: privat
ডেম মার্গারেট নাটালি স্মিথ
ব্রিটিশ অভিনেত্রী ডেম মার্গারেট নাটালি স্মিথের জন্ম ১৯৩৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইংল্যান্ডের ইলফোর্ড শহরে। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি দুটি একাডেমি পুরস্কার, চারটি এমিসহ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ‘হ্যারি পটার’-এর সব কটি ছবিতে অধ্যাপক ম্যাকগোনাগলের চরিত্রে নজর কেড়েছিলেন। ২৭শে সেপ্টেম্বর ৮৯ বছর বয়সে লন্ডনের চেলসি অ্যান্ড ওয়েস্টমিনস্টার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
ব্রিটিশ সংগীতশিল্পী লিয়াম পেইন বিখ্যাত ইংলিশ-আইরিশ পপ ব্যান্ড দল ‘ওয়ান ডিরেকশন’-এর সদস্য ছিলেন। সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যান্ডের শিল্পী লিয়ামের জন্ম ২৯ আগস্ট ১৯৯৩ উলভার হ্যাম্পটন, ওয়েস্ট মিডল্যান্ডস , ইংল্যান্ডে। গত ১৬ অক্টোবর আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনোস আইরেসের একটি আবাসিক হোটেল রুমের বারান্দা থেকে পড়ে মারা যান তিনি।
ছবি: Vianney Le Caer/Invision/AP/dpa/picture alliance
হেলাল হাফিজ
১৯৪৮ সালের ৭ অক্টোবর বাংলাদেশের নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। কবির একমাত্র কাব্যগ্রন্থ ‘যে জলে আগুন জ্বলে’। তার কবিতার জনপ্রিয় দুটি পঙ্ক্তি ‘এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’ কবিতাপ্রেমীদের মুখে মুখে ফেরে। ২০১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কারে ভূষিত হন। হেলাল হাফিজ ১৩ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন।
ছবি: Sazzad Hossain/DW
ওস্তাদ জাকির হোসেন
তবলা বাদক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক ওস্তাদ জাকির হোসেন অনেকের মতে সর্বকালের অন্যতম সেরা তবলা বাদক। ১৯৫১ সালের ৯ মার্চ মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ভারত সরকার এই গুণী শিল্পীকে ১৯৮৮ সালে পদ্মশ্রী, ২০০২ সালে পদ্মভূষণ ও ২০২৩ সালে পদ্মবিভূষণ পদকে ভূষিত করে। ওস্তাদ জাকির হোসেন চারবার গ্র্যামি পুরস্কার জেতেন। ১৫ই ডিসেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সান ফ্রান্সিসকোর একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।
ছবি: Martin Harris/Captital Pictures/picture alliance
8 ছবি1 | 8
ডর্টমুন্ডকে ২-০ গোলে হারিয়ে রেকর্ড ১৫তম চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিলিয়ান এমবাপ্পে যোগ দেওয়ায় রিয়ালের শক্তি বাড়ার কথা আরও। তবে ভিনিসিয়ুস আর এমবাপ্পের পছন্দের জায়গা উইংয়ের বাম প্রান্ত, এজন্য ফরাসি অধিনায়ক এলেও জায়গা বদলে খেলায় চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি তাকে।
একই ভাবে প্রায় একই খেলোয়াড় নিয়ে ম্যানচেস্টার সিটির ছন্দ হারানোটা বিস্ময়কর। প্রিমিয়ার লিগে ১৬ ম্যাচে ৫ হারে টানা চারবারের চ্যাম্পিয়নরা নেমে গেছে পয়েন্ট টেবিলের ৫ নম্বরে।
ব্যালন ডি'অরের জন্য ফেবারিট ছিলেন ভিনিসিয়ুস। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগ আর ইউরো জেতায় মর্যাদার পুরস্কারটা পান রদ্রি। প্রতিবাদে ব্যালন ডি'অর অনুষ্ঠান বয়কট করে পুরো রিয়াল মাদ্রিদ।
ফিফা দ্য বেস্টেও লড়াই ছিল ভিনিসিয়ুস ও রদ্রির। এই পুরস্কারে শেষ হাসিটা ভিনিসিয়ুসের। ৪৮ পয়েন্ট পেয়ে ফিফা দ্য বেস্টের মুকুটটা এই ব্রাজিলিয়ানের। ৪৩ পয়েন্ট পেয়ে রদ্রি দ্বিতীয় আর ৩৭ পয়েন্ট পাওয়া জুড বেলিংহাম হয়েছেন তৃতীয়।
ইউরো ২০২৪: ইউরো কাপে তারকাদের মিলনমেলা
জার্মানিতে ইউরো ২০২৪ চলাকালে শুধু মাঠেই নয়, গ্যালারিতেও ছিল অনেক তারকার উপস্থিতি৷ হলিউড, রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে শুরু করে সংগীত জগতের পরিচিত জনেরা উপভোগ করেছেন খেলা৷
ছবি: Koen van Weel/ANP/picture alliance
জার্মানিতে হলিউডের সাদামাটা উপস্থিতি
ইউরো ২০২৪ এর নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কের মধ্যে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ দেখতে বার্লিনের স্টেডিয়ামে হাজির ছিলেন দুই হলিউড তারকা হিউ জ্যাকম্যান (চশমা পরা) এবং রায়ান রেনল্ডস (বসা)৷ নিজেদের এক সিনেমার প্রচারণার জন্য জার্মানির রাজধানীতে এসেছিলেন তারা৷ সেই সুযোগে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে টানটান উত্তেজনার ম্যাচটি উপভোগ করেন৷
ছবি: Koen van Weel/ANP/picture alliance
রাজপুত্রের উপস্থিতিতে ইংলিশদের জয়
একই সন্ধ্যায় আরেক খেলায় স্টেডিয়ামে হাজির হন প্রিন্স উইলিয়াম৷ অনেকে ধারনা করেছিলেন, ইংল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ডের এই ম্যাচে শেষ হাসি হাসবে সুইসরা৷ কিন্তু বাড়তি সময়, প্যানাল্টি গড়িয়ে জয় পায় ইংল্যান্ড৷ স্টেডিয়ামে প্রিন্সের উপস্থিতি কি তাদের বাড়তি প্রেরণা যুগিয়েছে?
ছবি: Revierfoto/dpa/picture alliance
ইংলিশদের মনোবল বাড়াতে গ্যালারিতে ছিলেন সংগীত শিল্পীও
শুধু রাজপুত্রই নন, খোদ এড শিরানও স্টেডিয়ামে হাজির হন ইংলিশদের বাড়তি প্রেরণা যোগাতে৷ খেলা শুরুর আগে টিম হোটেলে গিয়ে শুধু খেলোয়াড়দের নিয়ে গানের আসর বসিয়েছিলেন তিনি৷ মনে হচ্ছে এসবে ভালোই কাজ হয়েছে৷ পুরো টুর্নামেন্টে এখন অবধি আলাদা করে চোখে পড়ার মতো সাফল্য না দেখিয়েও সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে এড শিরানের দল৷
ছবি: Revierfoto/dpa/picture alliance
চ্যান্সেলরের সঙ্গে সেলফি
স্টেডিয়ামে সেলফির জন্য সবাই হাসতে পারেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেইজার (ডানে) এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী কার্ল লাউটারবাখের (বামে) সঙ্গে হাসিমুখে সেলফি তুলছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (মাঝে)৷ ইউরো কাপে জার্মানি অবশ্য শেষ হাসি হাসতে পারেনি৷ বাড়তি সময়ের শেষ মুহূর্তে স্পেনের গোল হজম করে বিদায় হয়েছে৷
ছবি: Jan Huebner/IMAGO
অন্তত একজন গাইছেন জাতীয় সংগীত
এই ছবিতে অন্তত একজনকে জার্মানির জাতীয় সংগীত গাইতে দেখা যাচ্ছে৷ তিনি চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস (মাঝে)৷ তার সঙ্গে একই ছবিতে স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজকেও (একেবারের ডানদিকে) দেখা যাচ্ছে৷ তিনি অবশ্য জার্মানি এবং স্পেন দুই দেশের জাতীয় সংগীতের সময়ই চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন৷ ম্যাচ শেষে বিজয়ের হাসি তার মুখে ছিল৷
ছবি: Christian Charisius/dpa/picture alliance
বর্নিল ছিল না যে কোনা
স্টুটগার্টে জার্মানি এবং হাঙ্গেরির মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামের এই অংশে রঙ এর ছোঁয়া তেমন একটা দেখা যায়নি৷ গাঢ় স্যুট আর হালকা রঙ এর শার্ট পরে সেখানে বসে খেলা দেখেছেন মার্সিডিজ-বেঞ্জের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অলা ক্যালেনিওস (ডানে)৷ তার সঙ্গে ছিলেন জার্মানির সবচেয়ে পরিচিত এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক গ্যুন্টার ইঅখ৷
ছবি: Tom Weller/dpa/picture alliance
এই ছবিটা রঙিন অবশ্য
জার্মানির রংয়ে মুখ রাঙানো এই মানুষদের মধ্যে অন্তত একজনকে কি চিনতে পারছেন? তিনি জার্মানির টপ মডেল, উপস্থাপক এবং প্রযোজক হাইডি ক্লুম (মাঝে)৷ ছবিতে বাম দিকে রয়েছেন জার্মান ব্যান্ড ‘টোকিও হোটেলের’ গিটারিস্ট টম কাওলিৎস৷ ২০১৯ সালে তারা দুজন বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন৷
ছবি: ActionPictures/IMAGO
ওখানে বল!
দেখে মনে হচ্ছে, জার্মানির ‘এওয়ে জার্সি’ (স্বাগতিক দলের জার্সির সঙ্গে মুল জার্সির রং মিলে গেলে দ্বিতীয় যে জার্সি পরে প্রতিপক্ষ দল) পরা ভদ্রমহিলা টেনিস কিংবদন্তি বরিস বেকারকে সম্ভবত একথা বলছেন৷ তবে অন্য কিছুও বলে থাকতে পারেন৷ জার্মানি এবং হাঙ্গেরির মধ্যকার ম্যাচ চলাকালে স্টেডিয়ামে দেখা গেছে তাদেরকে৷ জার্মানির বেগুনি-গোলাপী রংয়ের এই জার্সিটি এখন অবধি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ‘এওয়ে জার্সি’৷
ছবি: Hasan Bratic/picture alliance
8 ছবি1 | 8
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ভারতের
ওয়েস্ট ইন্ডিজ-যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাজিমাত করে ভারত। ফাইনালে হারের মুখে থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে রোহিত শর্মার দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারায় ৭ রানে। বিরাট কোহলি টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যর্থ হলেও জ্বলে উঠেন আসল মঞ্চে। ৫৯ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে জেতেন ম্যান অব দ্য ফাইনালের পুরস্কার।
১৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার যশপ্রীত বুমরার। ফাইনাল শেষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা ও রবীন্দ্র জাদেজার মতো তারকারা।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটা জিতলে সেমিফাইনালের সুযোগ তৈরি হতো বাংলাদেশের। সেই সুযোগ নাজমুল হোসেন শান্তর দল হারিয়ে ফেলে হেলায়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ক্ষমতার পালাবদলে নাজমুল হাসান পাপনের জায়গায় বিসিবি প্রধান হন সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ। বাংলাদেশ পাকিস্তানে ২-০ ব্যবধানে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জিতলেও ফারুকের নেতৃত্বাধীন বোর্ড ভারত সফরের পর চাকরি থেকে বরখাস্ত করে কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে।
কোচ বদলের খেলা চলেছে পাকিস্তানেও। গ্যারি কারস্টেন ও জেসন গিলেস্পিরা দায়িত্ব ছাড়লে তিন ফরম্যাটেরই ভারপ্রাপ্ত কোচ করা হয় আকিব জাভেদকে।
ভারতচ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে যেতে অস্বীকৃতি জানালে বিপাকে পড়ে আইসিসি। বেড়িয়ে আসে নানা ফর্মুলা। শেষ পর্যন্ত ২০২৭ পর্যন্ত ভারতে কোনো আইসিসির টুর্নামেন্টে পাকিস্তান খেলতে যাবে না, এই শর্তে হাইব্রিড মডেলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য রাজি হয় পিসিবি। তাতে ভারত তাদের ম্যাচগুলো খেলবে দুবাইয়ে। মিডিয়া এমন খবর জানালেও এখনও অবশ্য আনুষ্ঠানিক সূচি জানায়নি আইসিসি।
৬৩.৩৩ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শীর্ষে উঠে এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এজন্য টানা তৃতীয়বার ফাইনাল খেলার শঙ্কায় ভারত। তারা এখন পয়েন্ট টেবিলের তিনে, অস্ট্রেলিয়া আছে দুইয়ে।
টি-টোয়েন্টিতে গাম্বিয়ার বিপক্ষে ৪ উইকেটে ৩৪৪ রানের বিশ্বরেকর্ড করেছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ভারতের তিলক ভার্মা টি-টোয়েন্টিতে করেন টানা তিনটি সেঞ্চুরি। আইপিএলে নিলামের আগেই অবশ্য তাকে ধরে রেখেছিল মুম্বাই। নিলামে রেকর্ড ২৭ কোটি রুপিতে ঋষভ পন্তকে কিনে নতুন ইতিহাসই গড়ে লখনউ সুপার জায়ান্টস।
টি-টোয়েন্টি, একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বরে ভারত, বাংলাদেশ নবম স্থানে
আইসিসি তালিকায় টেস্টে ভারত দুই নম্বরে, টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বরে। বাংলাদেশ নবম স্থানে।
ছবি: Arun Sankar/AFP/Getty Images
টেস্টে এক নম্বরে অস্ট্রেলিয়া
অস্ট্রেলিয়া এখন ১২৪ পয়েন্ট পেয়ে টেস্ট ক্রিকেটের তালিকায় এক নম্বরে আছে। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পরপর তিনটি টেস্ট হেরে ভারত এখন দুই নম্বরে নেমে গেছে। তারা ১১১ পয়েন্ট পেয়েছে। সাউথ আফ্রিকা আছে তিন নম্বরে, তাদের পয়েন্ট ১০৭। শুক্রবার থেকে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজ শুরু হচ্ছে। এখানে যারা জিতবে, তাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যাওয়া অনেকটাই পাকা হয়ে যাবে।
ছবি: Quinn Rooney/Getty Images
একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বরে ভারত
একদিনের ক্রিকেটে আবার ভারত ১১৮ পয়েন্ট নিয়ে এক নম্বরে, ঠিক তার পিছনেই দুই নম্বরে আছে অস্ট্রেলিয়া, তাদের পয়েন্ট ১১৩। ১০৯ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে পাকিস্তান। বাংলাদেশ ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে নয় নম্বরে।
ছবি: Ishara S. Kodikara/AFP
টি-টোয়েন্টিতেও এক নম্বরে ভারত
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ভারত ২৬৮ পয়েন্ট পেয়ে এক নম্বরে আছে। ২৫৯ পয়েন্ট পেয়ে দুই নম্বরে অস্ট্রেলিয়া। ২৫৫ পয়েন্ট পেয়ে তিন নম্বরে ইংল্যান্ড। ৫৩ পয়েন্ট পেয়ে নয় নম্বরে বাংলাদেশ।
ছবি: Ash Allen/REUTERS
টেস্ট ব্যাটারদের মধ্যে প্রথম ২০তে বাংলাদেশ নেই
টেস্টে ব্যাটারদের মধ্যে ৯০৩ পয়েন্ট পেয়ে প্রথমে আছেন ইংল্যান্ডের জো রুট। দুই নম্বরে নিউজিল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। চার নম্বরে ভারতের যশস্বী জয়সওয়াল এবং ছয় নম্বরে ঋষভ পন্থ। বাংলাদেশের কোনো ব্যাটার প্রথম ২০-র মধ্য়ে নেই।
ছবি: Getty Images/S. Botterill
একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বরে বাবর আজম
একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বরে আছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটার বাবর আজম। দুইয়ে রোহিত শর্মা, তিনে শুভমন গিল, চার নম্বরে বিরাট কোহলি। ২৫ নম্বরে আছেন নাজমুল শান্ত।
ছবি: Sanka Vidanagama/AFP/Getty Images
টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বর ব্যাটার
টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটারদের মধ্যে এক আছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্র্যাভিস হেড। দুইয়ে ইংল্যান্ডের ফিল সল্ট। তিনে তিলক বর্মা এবং চার নম্বরে সূর্যকুমার যাদব। পাঁচ নম্বরে বাবর আজম। এখানেও প্রথম ২০ জনের মধ্যে বাংলাদেশের কেউ নেই।
ছবি: Mahesh Kumar A./AP/picture alliance
এক নম্বর বোলার
বোলারদের মধ্যে টেস্টে এক নম্বরে আছেন সাউথ আফ্রিকার কাগিসো রাবাডা। তিন নম্বরে যশপ্রীত বুমরাহ। ১৮ নম্বরে আছেন তাইজুল ইসলাম। একদিনের ক্রিকেটে এক নম্বরে আছেন পাকিস্তানের শাহীন আফ্রিদি। চার নম্বরে কুলদীপ যাদব। ২৪ নম্বরে মেহদি হাসান। টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বরে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ, আট নম্বরে ভারতের রবি বিষ্ণোই, ১৮ নম্বরে বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান।
ছবি: Sydney Seshibedi/Gallo Images/Getty Images
অলরাউন্ডারদের তালিকা
টেস্টে এক নম্বর অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজা, দুইয়ে রবিচন্দ্রন অশ্বিন, তিন নম্বরে সাকিব আল হাসান। একদিনের ক্রিকেটে একে আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবি, চারে মেহদি হাসান, আটে রবীন্দ্র জাদেজা। টি-টোয়েন্টিতে এক নম্বরে ভারতের হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম ২০-র মধ্যে বাংলাদেশের কোনো ক্রিকেটার নেই।
ছবি: Ricardo Mazalan/AP Photo/picture alliance
8 ছবি1 | 8
রাফায়েল নাদালের অবসর
এ বছর চার গ্র্যান্ড স্লামের বাজিমাত করেছেন দুজন। স্পেনের কার্লোস আলকারাজ জিতেছেন ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন আর অস্ট্রেলিয়ান ওপেন-ইউএস ওপেনের শিরোপা জিতেছেন ইতালির ইয়ানিক সিনার। রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, নোভাক জোকোভিচদের ছাড়া নতুন প্রজন্মের এমন দাপট ছিল চোখে পড়ার মত। তবে শিরোপা জিতলেও ডোপ নেওয়ার বিতর্ক ছিল সিনারকে ঘিরে।
মেয়েদের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও ইউএস ওপেন জেতেন আরিয়ানা সাবালেঙ্কা। ফ্রেঞ্চ ওপেনের শিরোপা ইগা শিয়াতেক আর উইম্বলডন বারবোরা ক্রেজিকোভা।
গ্র্যান্ড স্লাম না জিতলেও চোট জর্জরিত কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের অবসর নেওয়াটাই ছিল সবচেয়ে আলোচিত। ২৩ বছরের ক্যারিয়ারে ২২টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন নাদাল, এর ১৪টি ফ্রেঞ্চ ওপেনে।
ক্যারিয়ারে সব মিলিয়ে নাদাল জিতেছেন ৯২টি শিরোপা। টেনিসের উন্মুক্ত যুগে যা পঞ্চম সর্বোচ্চ। রজার ফেদেরার আর নোভাক জোকোভিচের সঙ্গে যেসব ধ্রুপদী দ্বৈরথ উপহার দিয়েছেন নাদাল, ইতিহাসের পাতায় সোনালি হরফে খোদাই করা থাকবে তার নাম।
অন্যান্য
১৮ বছর বয়সে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে ইতিহাস গড়েন ভারতের ডি গুকেশ। এত কম বয়সে দাবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হননি আর কেউ। চেন্নাইয়ের এই দাবাড়ু চিনের ডিং লিরেনকে হারান ১৪তম গেমে।
ফর্মুলা ওয়ানে ম্যাক্স ভার্স্টাপেন ধরে রেখেছেন নিজের শ্রেষ্ঠত্ব। ২০২১ থেকে টানা চতুর্থবার মর্যাদার শিরোপাটা জিতেছেন রেড বুলের এই ড্রাইভার। লুইস হ্যামিল্টনের মার্সিডিজ থেকে ফেরারিতে নাম লেখানোটাও ছিল অন্যতম আলোচিত।
বাংলাদেশ ক্রীড়াঙ্গনে সবচেয়ে বড় সাফল্য মেয়েদের সাফ ফুটবলের শিরোপা ধরে রাখা। ফাইনালে সাবিনারা ২-১ গোলে হারান স্বাগতিক নেপালকে।
যুব এশিয়া কাপ হকিতে পঞ্চম হয়ে প্রথমবারের মতো যুব হকি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–২১ হকি দল। হকিতে বাংলাদেশের কোনো দলের যে কোনো পর্যায়ে এটিই হতে যাচ্ছে প্রথম বিশ্বকাপে খেলা