1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

রহস্যময়ী নারী

২৯ জুলাই ২০১২

লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনী নিয়ে এখনও চলছে কথা-বার্তা৷ কেউ বেইজিংএর সঙ্গে তুলনা করছেন, কেউবা বলছেন উদ্বোধনী ছিলো অতিমাত্রায় ব্রিটিশ৷ এদিকে ভারতীয় দলে দেখা গেলো এক রহস্যময়ী নারীকে৷

ছবি: dapd

বেইজিং এর চেয়ে ভিন্ন

অলিম্পিকের উদ্বোধন বরাবরই থাকে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে৷ গতবার বেইজিং অলিম্পিকের চোখ ধাঁধানো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর লন্ডন আয়োজকরা নড়েচড়ে বসেছিলেন৷ অর্থ এবং সামর্থ্য সবদিক থেকেই বেইজিং যেন সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলো৷ চীনের আয়োজন নিয়ে যাদের সন্দেহ ছিলো বেইজিংএর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিলো তার যথার্থ জবাব৷ লন্ডন অলিম্পিকের উদ্বোধনীর পর স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে বেইজিং এর সঙ্গে তুলনা৷ ব্রিটিশ গণমাধ্যম তো বটেই এমনকি বিদেশের গণমাধ্যমগুলোতেও ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে লন্ডনের জমকালো উদ্বোধনীকে৷ তবে বেইজিংকে ছাড়িয়ে গেছে লন্ডন, এমন কথা কিন্তু কেউ বলছেন না৷ অন্যদিকে ব্রিটিশরা বলছে, বেইজিং এর বৈশিষ্ট্য ছিলো একরকম, আর লন্ডনের বৈশিষ্ট্য ছিলো তার চেয়ে ভিন্ন৷ দুটোর মধ্যে তুলনা হয় না৷ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরিচালক ড্যানি বয়েল নিজেই বলছেন, এই আয়োজন দিন দিন বড় থেকে বড় হচ্ছে৷ এবং আপনি বেইজিং এর চেয়ে বড় কিছু করতে পারবেন না৷ তাই এভাবেই আমরা সেই বাঁধন থেকে মুক্ত হলাম৷

সংস্কৃতি ও ইতিহাস

কীভাবে মুক্ত হলো লন্ডন? বেইজিং অলিম্পিক ছিলো চোখ ধাঁধানো এবং বিশাল পরিসরের৷ মানুষকে মন্ত্রমুগ্ধের মত করে আটকে রেখেছিলো বেইজিংএর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান৷ তাই সেই রাস্তায় না হেঁটে বয়েল গেলেন ভিন্নদিকে৷ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে তুলে আনলেন শিক্ষা, সাহিত্য আর সংস্কৃতি৷ তুলে ধরলেন শত শত বছরের ব্রিটিশ ইতিহাস৷ চীনের ভিন্নমতাবলম্বী শিল্পী আই ওয়েইওয়েই নিজেই সেটার প্রশংসা করলেন৷ আর বেইজিং উদ্বোধনীর ফাঁকটা এভাবে ফুটিয়ে তুললেন, ‘‘সংগীত আর রুপকথা বিহীন একটি জাতি সত্যই বেদনাদায়ক৷''

অলিম্পিকের উদ্বোধন বরাবরই থাকে সকলের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতেছবি: dapd

তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এই অতিমাত্রায় ব্রিটিশকরণকে অনেকে পছন্দ করছে না৷ যেমন ১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকের অন্যতম পরিচালক হান্সেল কেরেজা বললেন, ‘‘নিশ্চয়ই এটা ব্রিটিশ অনুষ্ঠান এবং এটা সেরকমই হতে হবে৷ তবে আমার মনে হয়েছে এতে সার্বজনীনতার অভাব রয়েছে৷'' তবে জাত্যাভিমান ব্রিটিশরা কিন্তু এমন অভিযোগ গা করছে না৷

নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন

এদিকে অলিম্পিকের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও অভিযোগ উঠলো৷ খেলোয়াড়দের মার্চপাস্টের সময় ভারতীয় দলের মধ্যে দেখা গেছে এক নারীকে৷ লাল-নীল পোশাক পরে এই মহিলা হাঁটছিলেন ভারতীয় দলের পতাকাবাহক সুশীল কুমারের পাশেই৷ ভারতীয় দলের খেলোয়াড়েরাও ভাবছিলেন এই নারী কোত্থেকে উদয় হলো৷ কারণ দলের আর বাকি নারী সদস্যদের পরা ছিলো হলুদ রংয়ের শাড়ি৷ ভারতীয় দল এই ঘটনায় ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষের কাছে জবাব চেয়েছে৷ লন্ডন কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানিয়েছে, তারা নিরাপত্তা বিঘ্নের এই ঘটনা খতিয়ে দেখছে৷

আরআই/এআই (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ