1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পৃথিবীকে মিস করবে গ্রহাণু!

৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

মাথার টুপিটা আগামী কয়েকদিন খুলবেন না দয়া করে৷ কেননা শীঘ্রই একটি গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসবে৷ সেটা যদি সব হিসেব ভুল প্রমাণ করে পৃথিবীর বুকে আঘাত হানে, তবে টুপিটি আপনার মাথা রক্ষা করতে পারে৷

HANDOUT - Der Erde steht eine Rekordbegegnung mit einem Asteroiden bevor: Am 15. Februar 2013 wird der Asteroid 2012 DA14 knapp an der Erde vorbeischrammen, wie die US-Raumfahrtbehörde Nasa berichtet (undatierte Video-Illustration). Der Asteroid 2012 DA14 nähert sich bis auf knapp 28 000 Kilometer und kreuzt dabei sogar die Bahn zahlreicher Kommunikations- und Erdbeobachtungssatelliten. Eine Kollision schließt die Nasa aus. Foto: NASA /Science dpa
ছবি: NASA/Science dpa

বিজ্ঞানীরা আগেই বলে দিয়েছেন, গ্রহাণুটি পৃথিবীকে আঘাত হানার কোনো আশঙ্কা নেই৷ টুপি পরে থাকতে বলাটা তাই মজা করা৷ তবে এই পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাতেই বিদায় নিয়েছিল ডাইনোসররা৷ আর মাত্র শত বছর আগে সাইবেরিয়ার দু'হাজার বর্গ কিলোমিটার বন পুড়ে ছাই হয়েছিল এদের আঘাতেই৷

এই পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাতেই বিদায় নিয়েছিল ডাইনোসররাছবি: NASA/Don Davis

ভয় পেলেন নাতো? আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি যে গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছ ঘেঁষে চলে যাবে, সেটি আবিষ্কার হয়েছে ২০১২ সালে৷ তার নাম দেওয়া হয়েছে ডিএ১৪৷ এটি পৃথিবীর মূল ভূখণ্ড থেকে ১৭,২০০ মাইল দূরে থাকবে৷ আমাদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করলে এটা নিরাপদ দূরত্ব৷ তবে মহাকাশে এখন নানা প্রকার স্যাটেলাইটের বিচরণ রয়েছে৷ সেসবের সঙ্গে এই গ্রহাণুর ধাক্কা লাগার আশঙ্কা নেই বলেই মন করছেন নাসার বিজ্ঞানীরা৷ তবুও স্যাটেলাইট নিয়ন্ত্রকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন তাঁরা৷ এবং গ্রহাণুটির সম্ভাব্য কক্ষপথ সম্পর্কেও জানানো হয়েছে৷

নাসার গবেষক ডোনাল্ড ইয়োমানস এ বিষয়ে বলেছেন, ‘‘গ্রহাণুদের গতিপথের অনিশ্চতা বিবেচনায় এনেও আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, ভূ-পৃষ্ঠের ১৭,১০০ মাইল দূর থেকেই চলে যাবে এটি৷''

এখন পর্যন্ত যা খবর, তাতে এই ডিএ১৪ গ্রহাণুর আকার হচ্ছে মাত্র ১৫০ ফুট৷ ১৫ ফেব্রুয়ারি গ্রিনিচ মান সময় ১৭২৪-এ ভারত মহাসাগরে সুমাত্রা অঞ্চলের উপর দিয়ে চলে যাবে এটি৷ উৎসুকরা চাইলে ছোটখাট টেলিস্কোপ ব্যবহার করেই গ্রহাণুটিকে এক নজর দেখতে পারেন৷ বিজ্ঞানীদের হিসেবে, পূর্ব ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়া থেকে এটি দেখা যাবে৷

উল্লেখ্য, সাধারণত প্রতি ৪০ বছর পরপর এরকম কোনো গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছ থেকে চলে যায়৷ আর পৃথিবীতে তারা আঘাত হানে বারো'শ বছর পর পর৷ সর্বশেষ ১৯০৮ সালে এরকম এক গ্রহাণুর আগাতে সাইবেরিয়ার দু'হাজার বর্গকিলোমিটার বন ধ্বংস হয়েছিল৷ সে হিসেবে অদূর ভবিষ্যতে এরকম কোনো গ্রহাণু পৃথিবীতে আঘাত হানার আশঙ্কা নেই৷

এআই/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ