বাংলাদেশের আদালত গত মাসে আল-জাজিরায় প্রচারিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকে সরানোর নির্দেশ দিলেও এখনো তার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না৷
বিজ্ঞাপন
বিটিআরসি জানিয়েছে, ফেসবুক ও ইউটিউবকে মেইল করলেও তারা আনুষ্ঠানিক জবাব দেয়নি৷ বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানান, ‘‘তবে তাদের সাথে আমাদের আলোচনা হচ্ছে৷ তারা আমাদের আবেদন পর্যালোচনা করছেন৷’’
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা গত ১ ফেব্রুয়ারি ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ তথ্যচিত্রটি প্রচার করে৷ এরপর আইনজীবী এনামুল কবির তথ্যচিত্রটি বিভ্রান্তিকর, বিদ্বেষমূলক ও মানহানিকর উল্লেখ করে তা বন্ধের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট করেন৷ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার ভার্চুয়াল বেঞ্চ ১৭ ফেব্রুয়ারি ইউটিউব, ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস মেন’ সরানোর নির্দেশ দেন বিটিআরসিকে৷ বিটিআরসি ওই দিন বিকেলেই ফেসবুক ও ইউটিউবকে সরানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেয়৷
তাদের সাথে আমাদের আলোচনা হচ্ছে: বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র
বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র জানান, মেইল পাঠানোর পর ফেসবুক-ইউটিউব বিটিআরসিকে কোনো মেইল করেনি৷ তবে টেলিফোনে কথা হয়েছে৷ এখনো কথা হচ্ছে৷ তারা পর্যালেচনা করছেন৷ কিন্তু অফিসিয়াল কোনো জবাব আসেনি এখনো৷
বাংলাদেশের আদালতের নির্দেশ ফেসবুক ইউটিউব মানতে বাধ্য কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘‘আইনি কোনো কাঠামো না থাকায় আইনি কোনো বাধ্যবাধকতা নেই৷ তবে আদালতের নির্দেশনা, আইন-শৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের চাহিদার ভিত্তিতে তারা ব্যবস্থা নিয়ে থাকে৷ আর ওরা ওদের কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড ফলো করে৷’’
তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশে আমরা বন্ধ করে দিলেও বিশ্বের অন্যান্য দেশে তো আর বন্ধ হবে না৷ তাই শুধু আমরা কেন, পৃথিবীর কোনো দেশই ফেসবুক, গুগল, ইউটিউবের লিংক বন্ধ করতে পারে না৷ আমরা দেশীয় প্ল্যাটফর্মে বন্ধ করলে তো দেশে পুরো ফেসবুক ইউটিউব বন্ধ হয়ে যাবে৷ আমরা সেটা চাই না৷’’
তারা (ফেসবুক, ইউটিউব) দেখবে আমরা যেটাকে অপরাধ বলছি তাদের দেশে সেটা অপরাধ কিনা: বিটিআরসির আইনজীবী
আদালতের নির্দেশে সরাসরি আল-জাজিরাকে কোনো চিঠি দেয়া বা তাদের দিক থেকে লিংক বন্ধের কোনো কথা বলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা প্রতিনিয়ত ফেসবুক ইউটিউবের সাথে যোগাযোগ রাখছি৷’’
বিটিআরসির আইনজীবী ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা ই কিবরিয়া বলেন, ‘‘ফেসবুক, ইউটিউব অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠান৷তারা দেখবে আমরা যেটাকে অপরাধ বলছি তাদের দেশে সেটা অপরাধ কিনা৷ অবশ্য তারা অপরাধ মনে না করলেও বাংলাদেশে ফেসবুক-ইউটিউব বন্ধ করে দেয়া যায়৷ আর সেটা বাংলাদেশ করবে কিনা তা সরকারের সিদ্ধান্ত৷’’
তিনি জানান, ফেসবুক ইউটিউবকে আদালতের আদেশের লইয়ার্স সার্টিফিকেট পাঠানো হয়েছে৷ এখনো সার্টিফায়েড কপি পাওয়া যায়নি৷ সেটা পাওয়ার পর তাদের পাঠানো হবে৷
ওদের কাছে এটা বোধ হয় মেরিটলেস মনে হয়েছে তাই প্রত্যাহার করেনি: সুমন আহমেদ সাবির
ফাইবার অ্যাট হোমের চিফ টেকনোলজি অফিসার সুমন আহমেদ সাবির জানান, অনেক লোক দেখেছে এরকম একটি কনটেন্টই ফেসবুক ইউটিউব অফলোড করেছে৷ আর সেটা হলো, নিউজিল্যান্ডের মজজিদে মাস কিলিং-এর ভিডিও৷ তারা আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে সব ভিডিও চিহ্নিত করে, টাইম লেগেছে, কিন্তু রিমুভ করেছে৷ তারা সরকারের কনটেন্টও ব্লক করে৷ যেমন, মিয়ানমার আর্মির কনটেন্ট তারা ব্লক করে৷ কারণ তারা মনে করছে এটা মানবাধিকারের বিরুদ্ধে৷ ‘‘ওদের নিজস্ব পলিসি আছে৷ সেই পলিসি অনুযায়ী ওরা ব্যবস্থা নেয়৷ বাংলাদেশ সরকার অনুরোধ করেছে সত্য তবে ওদের কাছে এটা বোধ হয় মেরিটলেস মনে হয়েছে তাই প্রত্যাহার করেনি৷ সব ক্ষেত্রে যে তারা জবাবও দেয় তাও না৷’’
প্রতিবছরই ফেসবুক ইউটিউব ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট প্রকাশ করে৷ তাতে তারা জানায় কোন সরকার কতগুলো অনুরোধ করেছে৷ তার মধ্যে কতগুলো তারা রেখেছে, কতগুলো রাখেনি , জানান এই তথ্য প্রযুক্তিবিদ৷
২০২০ সালের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ ফেসবুকের কাছে ৩৭১ টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে৷ শতকরা ৪৪ ভাগ ক্ষেত্রে ফেসবুক সাড়া দিয়েছে৷
প্রেসিডেন্টের পদত্যাগে ভূমিকা রাখা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার ইতিহাসে অন্যতম ঘটনা ‘ওয়াটারগেট কেলেংকারি’৷ ওয়াশিংটন পোস্ট পত্রিকার দুই সাংবাদিকের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের পদত্যাগে ভূমিকা রেখেছিল৷
ছবি: Simon & Schuster
ঘটনার শুরু
১৯৭২ সালের ১৭ জুন ওয়াশিংটনের ওয়াটারগেট ভবনে ডেমোক্রেটিক পার্টির জাতীয় কমিটির সদরদপ্তরে পাঁচ ব্যক্তি অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷ তাদের মধ্যে একজন সিআইএ-র সাবেক কর্মকর্তা জেমস ম্যাকর্ড৷ ঘটনার সময় তিনি প্রেসিডেন্ট নিক্সনের দ্বিতীয় দফা নির্বাচনি প্রচারণার জন্য গঠিত সংস্থায় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ছিলেন বলে ১৯ জুন জানায় ওয়াশিংটন পোস্ট৷ তবে নিক্সনের রি-ইলেকশন ক্যাম্পেন প্রধান জন মিচেল তা অস্বীকার করেন৷
ছবি: Paul J. Richard/AFP/GettyImages
চোরের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিক্সন ক্যাম্পেনের টাকা
ওয়াশিংটন পোস্টের দুই সাংবাদিক বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টিন ১৯৭২ সালের ১ আগস্ট প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানান, ডেমোক্রেটিক পার্টির অফিসে ঢোকার চেষ্টা করা এক ব্যক্তির ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৫ হাজার ডলারের ক্যাশিয়ার্স চেক পাওয়া গেছে৷ চেকটি আপাতদৃষ্টিতে নিক্সনের রি-ইলেকশন ক্যাম্পেনের বলে জানায় পত্রিকাটি৷
ছবি: washingtonpost.com
ডেমোক্রেটদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ
বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টিন ১৯৭২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত আরেক প্রতিবেদনে জানান, অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় জন মিচেল নিক্সনের রিপাবলিকান দলের একটি গোপন তহবিল নিয়ন্ত্রণ করতেন, যেটা ডেমোক্র্যাটদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তথ্য জোগাড়ে ব্যবহার করা হতো৷
ছবি: washingtonpost.com
ওয়াটারগেট ঘটনার সঙ্গে নিক্সন ক্যাম্পেনের সম্পৃক্ততা
বব উডওয়ার্ড (ডানে) ও কার্ল বার্নস্টিন (বামে) ১০ অক্টোবর জানান, ওয়াটারগেটের ব্রেক-ইন ছিল নিক্সনের রি-ইলেকশন ক্যাম্পেনের পক্ষ থেকে চালানো রাজনৈতিক গুপ্তচরবৃত্তি ও ডেমোক্রেটদের নির্বাচনি প্রচারণায় বাধা তৈরির চেষ্টার অংশ৷ অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক পার্টির নির্বাচনি প্রচারণা সম্পর্কে তথ্য পেতে তাদের অফিসের টেলিফোনে আড়িপাতার যন্ত্র বসাতে ঐ পাঁচ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিয়েছিলেন নিক্সন ক্যাম্পেনের কর্মকর্তারা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
‘ডিপ থ্রোট’
বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টিন তাদের কয়েকটি প্রতিবেদনে সূত্রের নাম উল্লেখ করেননি৷ পরে ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত তাদের ‘অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন’ বইতে ‘ডিপ থ্রোট’ নামে একটি সূত্রের কথা জানানো হয়৷ সব সূত্রের মধ্যে এই সূত্রটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলা জানা যায়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
কিন্তু কে ছিলেন ‘ডিপ থ্রোট’?
নাম প্রকাশ না করার শর্তে উডওয়ার্ডকে তথ্য দিয়েছিলেন ‘ডিপ থ্রোট’৷ তাই উডওয়ার্ডও ডিপ থ্রোটের পরিচয় গোপন রেখেছিলেন৷ তবে প্রতিবেদনগুলোতে গোপন সব তথ্যের উপস্থিতি দেখে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ডিপ থ্রোটের পরিচয় জানতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন৷ কিন্তু পারেননি৷ অবশেষে নিক্সনের পদত্যাগের ৩১ বছর পর ২০০৫ সালে জানা যায় এফবিআই-এর সেই সময়কার দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি মার্ক ফেল্ট ছিলেন সেই ডিপ থ্রোট৷ ফেল্টের বয়স তখন ৯১৷
ছবি: picture-alliance/FBI Collection at NARA
কেন ডিপ থ্রোট তথ্য ফাঁস করেছিলেন?
ফেল্টের পরিবারের দাবি, নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের কারণে ফেল্ট তথ্য ফাঁস করেন৷ এদিকে, উডওয়ার্ড তার ‘দ্য সিক্রেট ম্যান’ বইয়ে জানান, ১৯৭২ সালের মে মাসে এডগার হুভারের মৃত্যুর পর ফেল্ট মনে করেছিলেন, ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা থাকায় এবার তাকে এফবিআই প্রধান করা হবে৷ কিন্তু তা না করে আইন প্রয়োগের কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা নৌ কর্মকর্তা প্যাট্রিক গ্রে’কে প্রধান করা হয়েছিল৷ এতে ফেল্ট অসন্তুষ্ট ছিলেন৷
ছবি: FBI Collection at NARA/Consolidated/picture alliance
ফেল্টের সঙ্গে উডওয়ার্ডের যোগাযোগ পদ্ধতি
গোপনে কথা বলতে তারা দুটি পদ্ধতি বেছে নিয়েছিলেন৷ ফেল্টের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উডওয়ার্ড নিজের ব্যালকনিতে টবে লাল পতাকা ঝুলিয়ে দিতেন, যা দেখে ফেল্ট বুঝতেন, উডওয়ার্ড কথা বলতে চান৷ আর ফেল্ট কথা বলতে চাইলে উডওয়ার্ডের অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের রিসিপশনে উডওয়ার্ডের নামে থাকা ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকার ২০ নম্বর পাতায় ‘২০’ লেখাটি গোল করে সেখানে দাগ কেটে সময়টা বলে দিতেন৷ মাঝেমধ্যে ফেল্টের বাসায়ও ফোন করতেন উডওয়ার্ড৷
ছবি: AP
হোয়াইট হাউসের তোপের মুখে ওয়াশিংটন পোস্ট
ওয়াশিংটন পোস্টে একের পর এক প্রতিবেদন নিয়ে খুশি ছিল না নিক্সন প্রশাসন৷ নিক্সনের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত যুদ্ধ শুরু করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট৷ এসব প্রতিবেদন মিথ্যা তথ্যে পরিপূর্ণ বলেও দাবি করা হয়েছিল৷ এছাড়া ওয়াটারগেট নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস ও টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন নিয়ে কিছু না বললেও ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের সমালোচনায় মুখর ছিল হোয়াইট হাউস৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ওয়াশিংটন পোস্ট নিয়ে অন্যান্য গণমাধ্যমের সন্দেহ
ওয়াটারগেট নিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টে শুরুর দিকে যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছিল তার গুরুত্ব অন্যান্য গণমাধ্যম বুঝতে পারেনি৷ শুধু তাই নয়, ‘লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস’ ও ‘ওয়াশিংটন স্টার-নিউজ’ ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনগুলো সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে প্রতিবেদন করেছিল৷ এছাড়া পোস্টের একটি প্রতিবেদনের তথ্য না ছাপিয়ে হোয়াইট হাউসের ঐ প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যানের সংবাদ ছেপেছিল ‘শিকাগো ট্রিবিউন’ ও ‘ফিলাডেলফিয়া ইনক্যোয়ারার’৷
ছবি: AP
তথ্য ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা
ওয়াটারগেটে অবৈধ প্রবেশের পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্ভবত জানতেন না নিক্সন৷ তবে এফবিআই এক চোরের খাতায় হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার নাম পেলে চিন্তিত হয়ে ওঠেন নিক্সন৷ তিনি এফবিআই-এর তদন্ত বন্ধের চেষ্টা করেছিলেন বলে ‘স্মোকিং গান’ শীর্ষক অডিও টেপগুলো থেকে জানা যায়৷ এসব টেপে নিক্সন ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কথা রেকর্ড করা ছিল৷
ছবি: picture alliance/dpa/Everett Collection
নিক্সনের পদত্যাগ
ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, এফবিআই-এর তদন্ত ইত্যাদি কারণে নিক্সন প্রশাসনের উপর চাপ বাড়ছিল৷ এই ঘটনা তদন্তে সেনেটে একটি কমিটিও গঠন করা হয়৷ শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি এমন হয়েছিল যে, নিক্সন ইম্পিচমেন্টের শিকার হতেন৷ সেটা আঁচ করতে পেরেই ১৯৭৪ সালের ৯ আগস্ট পদত্যাগ করেন তিনি৷ ফলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে মাত্র দেড় বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি৷
ছবি: Everett Collection/imago images
‘অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন’
ওয়াটারগেট কেলেংকারি নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিস্তারিত ১৯৭৪ সালে ‘অল দ্য প্রেসিডেন্ট’স মেন’ নামে প্রকাশিত এক বইয়ে তুলে ধরেছিলেন বব উডওয়ার্ড ও কার্ল বার্নস্টিন৷ বইয়ে ওয়াটারগেট কেলেংকারির সঙ্গে জড়িত নিক্সন প্রশাসনের কর্মকর্তা ও নিক্সনের নির্বাচনি প্রচারণার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের ‘প্রেসিডেন্ট’স মেন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়৷ ঐ ঘটনায় নিক্সন ক্ষমা পেলেও অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়েছিল৷