মাস্কবিরোধীদের উদ্দেশে কঠোর বার্তা দিতে একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করে সমালোচনার মুখে তা সরিয়ে নিতে বাধ্য হলো বার্লিনের পর্যটন বিভাগ৷
ছবি: #berlingegencorona
বিজ্ঞাপন
বিতর্কিত বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে, এক বৃদ্ধা মাস্ক পরে আছেন এবং যারা মাস্ক পরছে না তাদের ইঙ্গিতপূর্ণভাবে ‘মধ্যম অঙ্গুলি' প্রদর্শন করছেন৷
ভিজিট বার্লিন এবং বার্লিন সেনেট যৌথভাবে মঙ্গলবার এই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে, যার শিরোনাম ‘আমরা করোনার নিয়ম-কানুন মেনে চলি'৷ জার্মানিতে করোনার প্রকোপ আরো বেড়েছে, তাই সংক্রমণ রোধে এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচারের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ৷
বিশেষ করে বয়স্কদের যে করোনার বিরুদ্ধে আরো সচেতন হতে হবে সেই বার্তাই তুলে ধরা হয়েছিল বিজ্ঞাপনটিতে৷
বিজ্ঞাপনটি প্রকাশের সাথে সাথে অনলাইনে নিন্দার ঝড় ওঠে৷ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর সমালোচনা করে বিজ্ঞাপনটি সরিয়ে নেয়ার দাবি তোলা হয়৷ অনেকেই বিজ্ঞাপনটিকে অপমানজনক ও অবমাননাকর হিসেবে উল্লেখ করেন৷
খোদ বার্লিনের মেয়র এটিকে বিব্রতকর বলে উল্লেখ করেছেন৷ সিপিডি'র এই রাজনীতিবিদ গণমাধ্যমকে বলেছেন, বার্লিনের সেনেটের এ ধরনের বিজ্ঞাপনের অনুমতি দেয়া উচিত হয়নি৷
জরুরি অবস্থা বুঝাতে আরো অন্যভাবে এটিকে উপস্থাপন করা যেতো বলে মনে করেন তিনি৷
বার্লিনের সেনেট সদস্য মার্সেল লুথে বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন৷ তিনি বলেন, শিশু এবং স্বাস্থ্যজনিত জটিলতা রয়েছে এ ধরনের যারা মাস্ক পরতে পারেন না, তাদের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করা হয়েছে এই বিজ্ঞাপনে৷
এপিবি/এসিবি (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ: ইউরোপে আবার কড়াকড়ি
ইউরোপে করোনার প্রকোপ আবার বাড়ছে৷তাই অর্থনীতি বাঁচাতে লকডাউন এড়িয়েই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আবারো কড়াকড়ি আরোপ করছে কয়েকটি দেশের সরকার৷
ছবি: Philippe Lopez/AFP/Getty Images
জার্মানিতে ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকা বাড়ছে
করোনা সংক্রমণের নতুন ঝুঁকিতে জার্মানির মিউনিখ শহর৷ বার্লিনে হঠাৎ করেই বেড়েছে সংক্রমণ৷ আর তাই রাতে কারফিউ জারি করেছে প্রশাসন৷ শহরটিতে ৭০ বছরের মধ্যে এই প্রথম কারফিউ জারি করা হলো৷ রাত ১১টার মধ্যে দোকানপাটসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷ আপাতত অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত নির্দেশ জারি করা হয়েছে৷ পাঁচ জনের বেশি মানুষ রাত ১১টার পর ঘরের বাইরে এক হতে পারবে না৷
ছবি: Fabrizio Bensch/Reuters
চেক প্রজাতন্ত্রে জাতীয় পর্যায়ে লকডাউন জারি
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ায় দ্বিতীয়বারের মতো দেশব্যাপী লকডাউন জারি করেছে চেক প্রজাতন্ত্র সরকার৷ অক্টোবরের ৫ তারিখ থেকে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে৷ মাস্ক সব জায়গায় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ গির্জায় ১০ জনের বেশি মানুষের প্রবেশ নিষেধ৷ শপিং সেন্টারগুলোতে ওয়াইফাই বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে, যাতে তরুণদের জমায়েত কম হয়৷
ছবি: Gabriel Kuchta/Getty Images
স্পেনে জরুরি অবস্থা জারি
স্পেনে হঠাৎ করে আবারো বেড়েছে করোনা সংক্রমণ৷ সংক্রমণ কমাতে মন্ত্রিসভা ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশ দিয়েছে৷ সারাদেশে কোয়ারান্টিন পদ্ধতি আবারও বলবৎ হচ্ছে৷ মাদ্রিদের স্থানীয় সরকার করোনা প্রতিরোধে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশ অমান্য করার পর এই সিদ্ধান্ত নেয়া হলো৷
ছবি: SOPA Images/ZUMA Wire/picture-alliance
ফ্রান্সে কড়াকড়ি আরোপে পুলিশি তৎপরতা
ফ্রান্সে দ্রুত বাড়ছে করোনা সংক্রমণ৷ এ কারণে রাজধানী প্যারিসে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব ‘বার ’৷ তুলোঁ এবং মঁতেপিলার ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকার শীর্ষে৷ শনিবার ফ্রান্সে একদিনে সংক্রমণের হার ছিল ২৭ হাজার, যা মহামারি শুরুর পর থেকে সর্বোচ্চ৷ প্যারিস এবং এর উপকন্ঠে পুলিশ সবসময় লক্ষ্য রাখছে বারগুলো বন্ধ আছে কিনা আর রেস্তোরাঁগুলোতে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে কিনা৷
ছবি: Kiran Ridley/Getty Images
পোল্যান্ডে সংক্রমণ বাড়লেও স্কুল খোলা
পোল্যান্ডে টানা পাঁচদিন ধরে রেকর্ড সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন৷ কিন্তু এরপরও স্কুল খোলা আছে৷ ৬০ থেকে ৬৫ বছর বয়সি মানুষদের জন্য সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দোকানপাট খোলা থাকছে৷ বাইরে বের হলে সর্বত্র মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ৩ কোটি ৮০ লাখ জনসংখ্যার দেশটিতে এ পর্যন্ত ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩৮ জন সংক্রমিত হয়েছেন এবং ২ হাজার ৯৭২ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন৷
ছবি: Reuters/K. Pempel
স্লোভাকিয়া: ছয় জনের বেশি একসাথে নয়
স্লোভাকিয়ায় ১৩ অক্টোবর থেকে ছয় জনের বেশি মানুষ জমায়েত হওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে৷ তবে পরিবারের সদস্যরা এই নিয়মের বাইরে৷ গির্জায় প্রার্থনা ও সব ধরনের ‘পাবলিক ইভেন্ট’ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে৷ সর্বত্র মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ ফিটনেস আর ওয়েলনেস সেন্টারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে৷ রেস্তোরাঁর ভেতরে খাবার দেয়া নিষিদ্ধ৷ (৩০ সেপ্টেম্বর তোলা এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে করোনা কড়াকড়ির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ৷)
ছবি: Pavel Neubauer/dpa/picture-alliance
ইংল্যান্ডে ‘থ্রি-টায়ার’ অ্যালার্ট
ইংল্যান্ডে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ‘থ্রি-টায়ার’ অ্যালার্ট সিস্টেম চালু করেছে সরকার৷ নতুন এই সিস্টেমে করোনা সংক্রমণের হারের ভিত্তিতে এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় ‘মধ্যম’ ‘উচ্চ’ ও ‘সর্বোচ্চ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে৷ যেমন: উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় আছে লিভারপুল৷ এই এলাকায় কড়াকড়ি আরোপের কথা ভাবছে সরকার৷ ফলে জিম, পাব, ক্যাসিনো বন্ধ রাখার ঘোষণা আসতে পারে৷