1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অসহায় ইডলিববাসীদের ভয়াবহ ভিডিও

৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

সিরিয়া ছেড়ে তাঁরা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন ইউরোপে। কিন্তু তুরস্কের সীমান্তে আটকে পড়েছেন। নিজেদের অসহায় বার্তা রেকর্ড করেছেন উদ্বাস্তুরা।

ছবি: picture-alliance/AP Photo/G. Alsayed

তাঁদের যাওয়ার কোনও জায়গা নেই। ঘরে থাকলে বোমার আঘাতে মৃত্যু অবধারিত। আর পালাতে গেলে আটকে পড়তে হবে তুরস্কের সীমান্তে। সহায় সম্বলহীন সিরিয়ার ইডলিবের সাধারণ মানুষদের ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল নেটওয়ার্কে।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ রাশিয়ার সাহায্যে দীর্ঘ দিন ধরে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছেন সরকার বিরোধীদের উপর। ইডলিবে সরকার বিরোধীদের হত্যা করার জন্য একের পর এক বিমান হামলা চালানো হচ্ছে। কার্যত মৃত্যু নগরীতে পরিণত হয়েছে ইডলিব। গত কয়েক বছরে সিরিয়ার ওই অঞ্চল থেকে বহু মানুষ তুরস্ক হয়ে ইউরোপে পালিয়ে এসেছেন আশ্রয়ের খোঁজে। কিন্তু এখন তুরস্কও সিরিয়ার উদ্বাস্তুদের জন্য তাদের সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে। এই অবস্থায় হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হয়েছেন তুরস্ক সীমান্তে। তাঁদের দাবি, তুরস্ক রাস্তা খুলে দিলে তাঁরা ইউরোপে ঢুকে পড়বেন। তাঁদের লক্ষ্য বার্লিনে পৌঁছনো। অসহায় মানুষরা আর কিছু করতে না পেরে, নিজেদের বার্তা ভিডিও-র মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন।

গত দু'মাস ধরে ইডলিবে লাগাতার বোম ফেলছে রুশ এবং আসাদের সৈন্য। সিরিয়ার মানচিত্রে ইডলিবই শেষ জায়গা যেখানে সরকার বিরোধীরা এখনও শক্ত ঘাঁটি তৈরি করে রেখেছে। তাদের শাস্তি দিতেই সাধারণ মানুষের ঘর বাড়িও বোমায় উড়িয়ে দিচ্ছে সরকারপক্ষ। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন। অ্যামেরিকা, ইউরোপের বহু দেশ আসাদের এই কাজের সমালোচনা করছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পিছু হটছে না আসাদ সরকার। রাশিয়াও আসাদকে পূর্ণ সহযোগিতা করছে। এই পরিস্থিতিতে পালানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই সাধারণ সিরিয়াবাসীর। সূত্র জানাচ্ছে, গোটা ইডলিবে আর একটিও চিকিৎসা কেন্দ্র অবশিষ্ট নেই। সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার ন্যূনতম রসদও আর সেখানে নেই। কিন্তু মানুষ পালিয়ে যাবেন কোথায়? পালানোরও পথ নেই।

ডিয়ানা হোডালি/এসজি/জিএইচ (ডিডব্লিউ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ