অস্কার বিজয়ী পরিচালক পোলান্সকি মুক্ত
১৩ জুলাই ২০১০জুরিখ বিমানবন্দরে নাটকীয়ভাবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পোলান্সকি৷ সেপ্টেম্বরে তাঁকে আটক করেই কারাগারে পাঠিয়েছিল সুইস আদালত৷ তবে পরে ৩০ লাখ ইউরো জরিমানা এবং নিজ পাসপোর্ট হস্তান্তর করে জামিন পান বিখ্যাত এই পরিচালক৷ এরপর তাঁর ভাগ্যে জোটে গৃহবন্দিত্ব৷ সেই থেকে সুইজারল্যান্ডে তাঁর বিলাসবহুল আলপাইন প্রাসাদেই কাটল এতদিন৷ পুরস্কার নিতে এসে আটক হওয়ার দশ মাস পর ছাড়া পেলেন তিনি৷ মুক্ত হওয়ার পর ভক্তদের জানালেন আন্তরিক ধন্যবাদ৷ জানালেন পোলান্সকির আইনজীবী হের্ভে টেমিমে৷ অবশ্য, পোলান্সকি এখন কোথায় তা জানাননি টেমিমে৷
পোলান্সকির স্ত্রী এবং ফরাসি অভিনেত্রী এমানুয়েলে সাইগনার স্বামীর মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন৷ ৪৪ বছর বয়সি সাইগনার বলেন, ‘‘এর মাধ্যমে একটি দুঃস্বপ্নের অবসান হলো৷'' ফরাসি সংস্কৃতি মন্ত্রী ফ্রেদেরিক মিতেরঁ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী বার্নার্ড কুশনার পোলান্সকির মুক্তিকে স্বাগত জানান৷ এই সিদ্ধান্তের জন্য সুইস পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পোলিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাডোস্লাভ সিকোরোস্কি৷
অস্কার বিজয়ী এই পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ১৩ বছর বয়সি মেয়ের সাথে যৌন কাজ করার৷ ১৯৭৭ সালের ঐ অপরাধের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে কয়েক দফা গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে মার্কিন আদালত৷ তবে মার্কিন আদালতে পোলান্সকির মামলার যে শুনানি হয়েছে তার দলিলপত্র হাজির করতে পারেনি মার্কিন কর্তৃপক্ষ৷ আর এই কারণেই পোলান্সকিকে মুক্ত ঘোষণা করল সুইজারল্যান্ড৷
সুইস বিচার মন্ত্রী এভেলিন ভিডমার-শ্লুম্ফ জানান, আমেরিকা বার্নের এই সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েছে, তবে এতে হতাশা ব্যক্ত করেছে তারা৷ এছাড়া পোলান্সকির মামলা নিয়ে আরো লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন৷ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ফিলিপ ক্রাউলি বলেন, ‘‘আমরা এতে হতাশ৷ একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যিনি ভালোভাবেই জানেন সবকিছু, তিনি তেরো বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন৷ এটা অপরাধ৷'' ‘‘আমরা তাই এই মামলায় ন্যায়বিচার পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবো এবং সকল সম্ভাব্য উপায় অবলম্বন করবো,'' বলেন ক্রাউলি৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী