1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিঅস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়ার ভোটে অতি ডানপন্থিরা এক নম্বরে

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

এই প্রথমবার অস্ট্রিয়ায় অতি ডানপন্থি ফ্রিডম পার্টি(এফপিও) সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে ইতিহাস তৈরি করলো।

সমর্থকদের সঙ্গে এফপিও নেতা কিকল।
এই প্রথমবার এফপিও নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি বোট পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত এফপিও নেতারা। ছবি: Alex Halada/AFP/Getty Images

রোববারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৭৪ দশমিক নয় শতাংশ।  এফপিও ২৯ দশমিক দুই শতাংশ ভোট পেয়েছে। তারপরে আছে চ্যান্সেলার কার্ল নেহামার মধ্য-ডানপন্থি রক্ষণশীল ওভিপি। তারা পেয়েছে ২৬ দশমিক ২৮ শতাংশ ভোট। 

সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, এফপিও ২৯ শতাংশের বেশি ভোট পাবে। অস্ট্রিয়ার পার্লামেন্টে এবার তারাই সবচেয়ে বেশি আসন পাচ্ছে। 

এফপিও অন্য দলের সঙ্গে কথা বলবে

রোববার সন্ধ্যায় এফপিও নেতা হার্বার্ট কিকল বলেছেন, তার দল অন্য রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা শুরু করছে। 

তিনি বলেছেন, ''আমরা সরকারের নেতৃত্ব দিতে তৈরি। এখন অন্য দলগুলি জানাবে, তারা গণতন্ত্রের পক্ষে দাঁড়াতে চায় কিনা।'' 

অস্ট্রিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দলগুলি যেন সরকার গঠনের জন্য আলোচনা শুরু করে। 

তিনি জানিয়েছেন, এখন তাদের একে অপরের সঙ্গে কথা বলা দরকার। হয়ত সমাধান পেতে সময় লাগবে। 

মধ্য-বামপন্থি সোস্যাল ডেমোক্র্যাটরা ২১ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ ভোট পেয়েছে। গ্রিন পার্টি পেয়েছে আট দশমিক শূন্য তিন শতাংশ ভোট। গ্রিন পার্টি রক্ষণশীলদের জোটে আছে। 

চ্যান্সেলর নেহামা রোববার সন্ধ্যাতেই হার স্বীকার করে নেন। তিনি বলেছেন, তার দল শীর্ষস্থান না পাওয়াটা তার কাছে খুবই তিক্ত অভিজ্ঞতা। তবে তিনি বলেছেন, আগেকার সমীক্ষায় যে ফলাফল হবে বলে জানানো হয়েছিল, তার থেকে তার দল ভালো ফল করেছে। 

এফপিও-র সঙ্গে হাত মেলাবে না ওভিপি

অভিবাসীদের নিয়ে চিন্তা এবং আর্থনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ভোটদাতারা অতি ডাপন্থিদের দিকে ঝুঁকেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এফপিও ভোটের প্রচারে অভিবাসীদের অস্ট্রিয়া থেকে বিতাড়নের কথা বলেছিল। তারা বলেছিল, যে সব বিদেশি অনুমোদন ছাড়া অস্ট্রিয়ায় ঢুকছে, তারা স্বাগত নয়। এমার্জেন্সি আইন থেকে আশ্রয় পাওয়ার অধিকার বাদ দেয়ার দাবিও তুলেছিল তারা। তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল। 

নির্বাচনের তিনদিন আগে এফপিও-র তিন নেতা একটি অন্ত্যেটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে নাৎসি আমলে জনপ্রিয় একটি গান গাওয়া হয়। স্থানীয় মিডিয়া সেই ছবি প্রকাশ করেছে। তবে তারা সেই গান গেয়েছিলেন কিনা, তা স্পষ্ট হয়নি। অস্ট্রিয়ার ইহুদি ছাত্র ইউনিয়ন বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানায়। তারা বলে, এটা খুবই উদ্বেগজনক ঘটনা। 

প্রচার চলার সময় নেহামা জানিয়েছিলেন, তিনি এফপিও-র সঙ্গে কখনোই একসঙ্গে কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু তিনি এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন, সামগ্রিকভাবে এফপিওকে সমর্থন করতে তাদের অসুবিধা নেই। 

রোববার তিনি বলেছেন, ''নির্বাচনের আগে যা বলেছিলাম, এখনো আমি সেই কথাই বলছি।'' 

এফপিএ কোভিড, অভিবাসন ও মুদ্রাস্ফীতিকে কাজে লাগিয়েছে

অতি ডানপন্থিরা আগে একাধিকবার সরকারের অংশ ছিল, কিন্তু তারা কখনোই এক নম্বর দল হয়নি। 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কিকল ২০২১ সাল থেকে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। 

তার নেতৃত্বেই দল আবার ঘুরে দাঁড়ায়। তারা কোভিড, অভিবাসন, মুদ্রাস্ফীতি ও ইউক্রেন যুদ্ধকে হাতিয়ার করে দলের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে। 

রোববার এফপিও নেতা বলেছিলেন, তিনি সবসময় ভোটদাতাদের সিদ্ধান্ত মানতে প্রস্তুত। তারা যে রায় দিক, তা তিনি মানবেন। 

রোববার রাতে এফপিও-বিরোধী প্রচুর মানুষ দলের নির্বাচনী অফিসের বাইরে সমবেত হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ তাদের বাধা দেয়। 

জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ