1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

একক পদক্ষেপ নিয়ে বিভ্রান্তি

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, রয়টার্স)৫ জুলাই ২০১৮

গোটা ইউরোপ জার্মানির সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করে রয়েছে৷ শরণার্থী নীতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ বিরোধ মিটিয়ে দ্রুত চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য চাপ বাড়ছে৷ বৃহস্পতিবার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷

বাভেরিয়া সীমান্তে ‘ট্রানজিট সেন্টার’ আইনসিদ্ধ কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে
ছবি: picture-alliance/dpa/S. Puchner

চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এখনো বর্তমান সংকট থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে আসতে পারেননি৷ বাভেরিয়ার সিএসইউ দলের বিদ্রোহ আপাতত সামলাতে পারলেও তৃতীয় জোটসঙ্গী এসপিডি দল সেই বোঝাপড়ায় এখনো সম্মতি জানায়নি৷ বৃহস্পতিবার জোট কমিটির বৈঠকে তারাও সম্মতি জানাবে বলে আশা করছেন ম্যার্কেল৷

বৃহস্পতিবারই ভিয়েনায় যাচ্ছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার৷ তাঁর জেদের ফলেই জার্মানি সীমান্ত থেকে অবৈধ শরণার্থীদের বিদায়ের সিদ্ধান্ত নিতে কার্যত বাধ্য হয়েছেন ম্যার্কেল৷ সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে অস্ট্রিয়ার ক্ষতি হবে বলে মনে করছে সে দেশের সরকার৷ ভাইস চ্যান্সেলর ও দক্ষিণপন্থি দলের নেতা হাইনৎস-ক্রিস্টিয়ান স্ট্রাখে বলেছেন, ‘‘জার্মান রাজনীতির ভুলের খেসারত আচমকা আমাদেরই দিতে হবে, এমনটা হতে পারে না৷'' স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সেহোফারকেই অস্ট্রিয়ার সংশয় দূর করার চেষ্টা চালাতে হবে৷ অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর সেবাস্টিয়ান কুয়র্ৎস ও ভাইস চ্যান্সেলর স্ট্রাখের সঙ্গে আলোচনায় সেহোফার কিছু ছাড় আদায় করতে চান৷ বিশেষ করে তাঁর প্রস্তাবিত ‘ট্রানজিট সেন্টার' থেকে শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি সমস্যা রয়ে গেছে৷ যেসব দেশের সঙ্গে জার্মানি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করছে, সেই সব দেশে নথিভুক্ত শরণার্থীদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হলেও বাকিদের কার্যত অস্ট্রিয়ায় পাঠিয়ে দিতে হবে৷ অস্ট্রিয়া তাদের গ্রহণ না করলে জার্মানি বিপাকে পড়বে৷ সেহোফার খালি হাতে বার্লিনে ফিরলে শরণার্থীদের জন্য সীমান্তে ‘ট্রানজিট সেন্টার' গড়ে তোলার পক্ষে সহজে সওয়াল করতে পারবেন না৷

জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে শরণার্থী সংক্রান্ত সম্ভাব্য সহযোগিতার চাবিকাঠি ইটালির হাতে৷ ইটালি এখনো শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে জার্মানির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করতে নারাজ৷ সেই অবস্থায় অস্ট্রিয়া বিতাড়িত শরণার্থীদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে প্রস্তুত নয়৷

বৃহস্পতিবারই বার্লিন সফর করছেন হাঙ্গেরির কট্টর জাতীয়তাবাদী সরকারের প্রধান ভিক্টর ওরবান৷ তিনিই ম্যার্কেলের উদার শরণার্থী নীতির সবচেয়ে কড়া সমালোচনা করে আসছেন৷ ওরবান হাঙ্গেরিতে অবৈধ শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে নারাজ৷ তাঁর সাফ যুক্তি, যারা ইউরোপের কোনো নিরাপদ দেশে প্রবেশ করে হাঙ্গেরি সীমান্তে পৌঁছচ্ছে, ইইউ আইন অনুযায়ী তাদের গ্রহণ করতে বাধ্য নয় তাঁর সরকার৷ তবে সেই শরণার্থীরা যে দেশে প্রথম পা রেখেছে, সেখানে ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে সহায়তা করতে প্রস্তুত হাঙ্গেরি৷

বাভেরিয়া সীমান্তে প্রস্তাবিত ‘ট্রানজিট সেন্টার' নিয়ে জার্মানির মধ্যেও নানা মহল সংশয় প্রকাশ করছে৷ আন্তর্জাতিক ও জার্মান আইন অনুযায়ী এমন পদক্ষেপের বৈধতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন৷ পুলিশকর্মীদের সংগঠন বাস্তবে এমন কেন্দ্র পরিচালনার নানা সমস্যা তুলে ধরেছে৷ বিচ্ছিন্নভাবে সীমান্তের একটি অংশে এমন পদক্ষেপ কোনো সার্বিক সমাধানসূত্র হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছে এই সংগঠন৷ সে ক্ষেত্রে শরণার্থীরা বাভেরিয়া এড়িয়ে অন্য কোনো দিক থেকে অবাধে জার্মানিতে প্রবেশ করতে পারবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ