অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমি-ফাইনালে সুইডেন
১০ জুলাই ২০১১আউগসবুর্গের মাঠে খেলার মাত্র ১০ মিনিটেই এগিয়ে যায় থমাস ডেনের্বির দল৷ শেলিনের টুকে দেওয়া বল নিয়ে বিপক্ষের গোল পোস্টের একেবারে কাছে পৌঁছে যান জর্গান৷ অস্ট্রেলীয় গোল রক্ষক মেলিসা বারবিরিকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়িয়ে দেন জালে৷ এর মাত্র ছয় মিনিট পরেই দ্বিতীয় গোল ডাল্কভিস্টের মাথা থেকে৷ ফলে এবারের আসরে সুইডিশ তারকা ডাল্কভিস্টের তৃতীয় গোলটি আসলো অস্ট্রেলিয়ার জাল থেকে৷
শুরু থেকে চাপে থাকা অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে খুব সহজ ছিল না পাল্টা আক্রমণের৷ তবুও অর্ধ বিরতির পাঁচ মিনিট আগে একটা কর্নার পেয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া৷ কর্নার থেকে কলেট ম্যাককালাম বল তুলে দেন এলিসি পেরিকে৷ সেই ২০ মিটার দূর থেকে পেরি সোজা বল পাঠিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার গোলে৷ ফলে ২-১ গোলের ব্যবধানে বিরতির জন্য মাঠ ছাড়েন প্রমীলা লড়াকুরা৷ বিরতির পর জয় না হলেও অন্তত ড্রয়ের আশা নিয়েই নতুন উদ্যমে মাঠে ফিরেন টম সেরম্যানির মেয়েরা৷ কিন্তু শক্ত প্রতিপক্ষ সুইডেনের প্রতিরক্ষা প্রাচীরের সামনে বেশ অসহায় মনে হয়েছে অসিদের৷
৫২ মিনিটে আবারও গোল৷ সুইডেনের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন শেলিন৷ প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার ক্যারোলের ব্যাকপাস দেওয়া বল থামিয়ে একেবারে গোলে পাঠিয়ে দেন শেলিন৷ শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সুযোগ পেলেও আর পেরে ওঠেনি অসি প্রমীলারা৷ ফলে সুইডেন এবং অস্ট্রলিয়ার মধ্যে বিগত খেলাগুলোর মতোই ফলের পুনরাবৃত্তি ঘটল রবিবার৷ কারণ ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপেও ৩-১ গোলে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল সুইডেন৷ আর ২০০৪ সালের অলিম্পিকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জয় পেয়েছিল স্ক্যান্ডিনেভিয়ানরা৷
গতকাল স্বাগতিকদের হারিয়ে সেমি-ফাইনালে উঠে যাওয়া জাপানিদের সাথে আগামী বুধবার লড়তে হবে সুইডিশ তারকাদের৷ আজ কোয়ার্টার ফাইনালের অপর খেলায় ড্রেসডেনে মার্কিন তরুণীদের মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল৷
প্রতিবেদন: হোসাইন আব্দুল হাই
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম