1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারে আদিবাসীদের সংখ্যা বাড়ছে

২২ জুন ২০১১

অস্ট্রেলিয়ার কারাগারগুলিতে এক চতুর্থাংশ বন্দি সেদেশের আদিবাসী মানুষজন৷ সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় এই বিষয়টি বোঝা যাওয়ার পর চরম অস্বস্তিতে পড়েছে প্রশাসন৷ বিষয়টি নিয়ে বেশ হৈচৈও হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়৷

Two Aboriginals proudly show off their national colors on the Federation lawn in front of Parliament House Canberra, Australia on Monday February 11, 2008. Prime Minister Kevin Rudd on Wednesday will formally say sorry to Aboriginal people for past administrations' policy of forcibly removing indigenous children from their families. (AP Photo/Mark Graham)***Zu Musch-Borowska, Australien entschuldigt sich bei seinen Aborigines***
অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীছবি: AP

জাতীয় বিষাদ দেখা দিল অস্ট্রেলিয়ায়৷ ‘জাতীয় বিষাদ' বা ন্যাশানাল ট্রাজেডি বলে একে চিহ্নিত করার কারণটিও বেশ স্পষ্ট৷ কোনো দেশের জেলখানার বন্দি পরিসংখ্যান নিতে গিয়ে যদি দেখা যায়, বন্দিদের মধ্যে সেদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ২৫ শতাংশ অনুপাত রয়েছে, কিংবা অপরাধের পরিসংখ্যানে যদি জানা যায় অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের ৫৯ শতাংশ তাদের শৈশব কৈশোরে অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িয়ে পড়ছে, তাহলে তো বিষয়টিকে উদ্বেগজনক মনে হবেই৷ আরও আছে, পরিসংখ্যান এবং ঘটনাপ্রবাহ জানাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা বহিরাগতদের তুলনায় ২৮ গুণ বেশি অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত৷ তারা যে কারণে মোট জেলবন্দিদের ২৫ শতাংশ তারাই দখল করে রেখেছে দেশজুড়ে৷

আদিবাসীদের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এই প্রয়োজনীয় সমীক্ষাটি চালিয়েছিল সরকারের আদিবাসী কল্যাণ মন্ত্রক৷ সেই মন্ত্রক সূত্রে দেওয়া তথ্য আরও জানাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার মাত্র আড়াই শতাংশ হল আদিবাসী জনগোষ্ঠী৷ সেই জনগোষ্ঠীর নারী আর পুরুষ, উভয়ের মধ্যেই অপরাধ প্রবণতা মজ্জাগত৷ তা না হলে, কারাবন্দী আদিবাসী পুরুষদের সংখ্যা বেড়ে ৫৫ শতাংশে আর নারী আদিবাসীদের সংখ্যা ৪৭ শতাংশে পৌঁছত না গত কয়েক বছরের মধ্যে৷

তো, আদিবাসীদের মধ্যে এই অপরাধপ্রবণতার কারণটা যে কোথায় তারও ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছে এই সমীক্ষার ফলাফল৷ বলা হয়েছে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর একটা সহজাত প্রবণতা রয়েছে সমাজের মূলস্রোতে না মেশার৷ অর্থাৎ পড়াশোনা, চাকরি বাকরির রুটিনে তারা চট করে ঢোকেনা৷ স্কুলে না যাওয়ার প্রবণতা শৈশব থেকেই শুরু হয়ে যায়৷ চাকরি বাকরি পেলেও তারা তার সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিতে পারেনা৷ বিভিন্ন ঘটনা আর পরিসংখ্যান থেকে তা স্পষ্ট বোঝানো হয়েছে৷

কিন্তু এটা হল সমস্যার চেহারা৷ ‘ডুয়িং টাইম' নামের সমীক্ষকদলের বাকি অভিযোগের তীর কিন্তু গেছে সরকারি উদ্যোগের দিকেই৷ বলা হয়েছে, এই আদিবাসীদের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি আস্থা আর বিশ্বাস ফিরিয়ে এনে তাদের সমাজের মূলস্রোতে মিশিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় বেশ খামতি রয়েছে সরকারের৷ যে কাজটা সময়মত না করার জন্যই আজ অস্ট্রেলিয়া ভূখণ্ডের আদত অভিবাসীরা সকলে নিজ ঘরে পরবাসীর মত উপেক্ষিত৷

এ যদি জাতীয় লজ্জার কারণ হয়, তাতে আর বিস্ময়ের কী! এখন লক্ষ্য রাখার বিষয়, অস্ট্রেলিয়া সরকার কতটা দ্রুত সক্রিয় হয়ে উঠে ব্যবস্থা নেয়৷

প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ