1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অস্ট্রেলিয়ার পন্থায় শরণার্থী

মোনিকা গ্রিবেলার/টোমাস লাচান/ এসি২৬ এপ্রিল ২০১৫

ভূমধ্যসাগরে বহু শরণার্থীর সলিলসমাধির পর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট ইউরোপীয়দের উপদেশ দিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়ার পন্থা অনুসরণ করার: ‘স্টপ দ্য বোটস’৷

Symbolbild Flüchtlingsboot Mittelmeer
ছবি: Opielok Offshore Carriers/dpa

শরণার্থীদের নৌকোগুলো আটকানোই সমস্যা সমাধানের একমাত্র পন্থা বলে অ্যাবট মনে করেন – এমনকি ইউরোপের জন্যও৷ গত সপ্তাহান্তে প্রায় ৮০০ মানুষ ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের উদ্বাস্তু ত্রাণ সংস্থা৷ অতঃপর অ্যাবট অস্ট্রেলিয়ার এবিসি টেলিভিশনকে বলেছেন: ‘‘এ ভাবে মরা বন্ধ করার বাস্তবিক পন্থা হল নৌকোগুলোকে আটকানো৷''

রক্ষণশীল রাজনীতিক অ্যাবট স্বদেশে বহু বছর ধরে সেই পন্থাই অনুসরণ করে আসছেন: ‘‘স্টপ দ্য বোটস!'' – নৌকা রোখো – এই ছিল তাঁর নির্বাচনী স্লোগান৷ এ ভাবেই তাঁর ‘লিবারাল পার্টি অফ অস্ট্রেলিয়া' ২০১৩ সালের সংসদীয় নির্বাচনে জেতে৷ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণের পর পরই অ্যাবট তাঁর ‘‘সভারেইন বর্ডার্স'' বা ‘সার্বভৌম সীমান্ত' অভিযান শুরু করেন৷

ভিডিও মারফত অ্যাসাইলামের সিদ্ধান্ত

অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনী শরণার্থীদের নৌকাগুলিকে অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে পৌঁছানোর অনেক আগেই ধরে ফেলে এবং তাদের ফিরে যেতে বাধ্য করে৷ ২০১৪ সালের জুলাই মাসে অস্ট্রেলিয়ার সীমান্তরক্ষী বাহিনী উপকূল থেকে শত শত কিলোমিটার দূরে একটি বোটকে থামায়৷ সেই বোটে শ্রীলঙ্কা থেকে আসা ৪১ জন শরণার্থী ছিল৷ অস্ট্রেলীয় কর্মকর্তারা ভিডিও কনফারেন্স মারফৎ এই শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন শুনে তা প্রত্যাখ্যান করেন৷ বোটটি শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ অস্ট্রেলিয়ার এই ‘‘অফশোর প্রসেসিং'' বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনের সমালোচনার সম্মুখীন হয়৷

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোনি অ্যাবট ইউরোপীয়দের উপদেশ, ‘স্টপ দ্য বোটস'৷ছবি: Daniel Kalisz/Getty Images

অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন কিন্তু বারংবার দেখানোর চেষ্টা করেছেন, শরণার্থীদের ব্যাপারে সরকারের অনমনীয় নীতি কতোটা সফল হয়েছে: বিগত দেড় বছরে আর কোনো শরণার্থী বোট কিংবা জাহাজ অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে পৌঁছতে পারেনি, জলে ডুবে মারা যায়নি কোনো শরণার্থী৷

শরণার্থী নেওয়ার পরিবর্তে উন্নয়ন সাহায্য

যে সব শরণার্থীদের তৎক্ষণাৎ ফেরৎ পাঠানো হয় না, তাদেরও যে সকলকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে আসা হয়, এমন নয়৷ তার পরিবর্তে সরকারের তরফ থেকে এই শরণার্থীদের ক্রিসমাস আইল্যান্ড, নাউরু অথবা পাপুয়া-নিউগিনির মতো দ্বীপরাষ্ট্রে অবস্থিত শরণার্থী শিবিরে প্রেরণ করা হয়৷ এমনকি শিশুদেরও এই শিবিরগুলিতে আটক করে রাখা হয়৷ এবং শরণার্থীদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর হলেও তাদের সাধারণত নাউরু অথবা পাপুয়া-নিউগিনিতেই থেকে যেতে হয় – কেননা সেখানে তাদের ‘‘কোনো নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে না'', অ্যাবট যেমন সম্প্রতি একটি সংবাদপত্র সাক্ষাৎকারে বলেছেন৷

রাজনৈতিক আশ্রয়প্রাপ্ত শরণার্থীদের ভবিষ্যতে কাম্বোডিয়ার একটি শরণার্থী শিবিরে স্থানান্তরিত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, কেননা ‘‘কাম্বোডিয়া একটি নিরাপদ দেশ, যেখানে পুলিশ আইন-শৃঙ্খলার ব্যবস্থা করে৷'' সেজন্য অস্ট্রেলিয়া কাম্বোডিয়াকে আগামী চার বছরে চার কোটি অস্ট্রেলীয় ডলার বা প্রায় তিন কোটি ইউরো প্রদান করবে৷

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল অস্ট্রেলীয় সরকারের এই সর্বাধুনিক পরিকল্পনাকে ‘‘রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি আচরণের একটি নতুন নিম্নতম পর্যায়'' বলে অভিহিত করেছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ