1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

সেনেটে বোরকা পরে মুসলিমদের বিদ্রুপ

১৭ আগস্ট ২০১৭

অস্ট্রেলিয়ার মুসলিম ও অভিবাসন বিরোধী রাজনীতিবিদ পলিন হ্যানসন বৃহস্পতিবার সেনেটে বোরকা পরে হাজির হয়েছেন৷ মুসলিমদের বিদ্রুপ করা তাঁর এই কর্মকাণ্ডের জন্য তিনি সেনেটে তিরস্কারের মুখোমুখি হয়েছেন৷

ছবি: picture alliance/AP Photo/L. Coch/AAP Image

হ্যানসন বোরকা পরে প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন যে এই পোশাক নিরাপত্তার জন্য কতটা ঝুঁকি তৈরি করে৷ সেনেটে ঢুকে তিনি এই পোশাক খুলে ফেলেন৷ তাঁর মতে, এই পোশাক জঙ্গিবাদের বিস্তারে ভুমিকা রাখতে পারে৷ ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার প্রশ্নে বোরকা কি নিষিদ্ধ করা উচিত নয়?''

দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল জর্জ ব্র্যান্ডিস তাঁর এই উস্কানিমূলক আচরণের কারণ জানতে চাইলে হ্যানসন এই প্রশ্ন তোলেন৷ ‘‘জঙ্গিবাদ এখন আমাদের দেশের জন্য অনেক বড় হুমকি৷ অনেক নাগরিকই বিষয়টি নিয়ে ভীত-সন্ত্রস্ত,'' যোগ করেন তিনি৷

দেশটির সর্বোচ্চ আইনজীবী ব্র্যান্ডিস জানান, তাঁর রক্ষণশীল সরকারের এমন কোন পরিকল্পনা নেই৷ মুসলিম না হয়েও বিদ্রুপ করে বোরকা পরার তাঁর এই আচরণ মুসলিমদের জন্য পীড়াদায়ক বলেও মন্তব্য করেন তিনি৷ ‘‘একটা জনগোষ্ঠীকে বিদ্রুপ করা, তাঁদের এক ঘরে করে রাখা এবং তাঁদের পোশাক নিয়ে উপহাস করা খুবই মর্মান্তিক৷ এই কাজ আপনি কেন করলেন তার জবাব দিতে হবে,'' বলেন ব্র্যান্ডিস৷

একটু পরই বোরকা খুলে ফেলেন পলিন হ্যানসনছবি: picture alliance/AP Photo/L. Coch/AAP Image

কিছুটা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়া ব্র্যান্ডিস এ-ও বলেন যে, ইসলামের কঠোর অনুশাসন যাঁরা মেনে চলেন, তাঁরা দেশের আইনের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল৷ তিনি বলেন, ‘‘এদেশে প্রায় পাঁচ লাখ মুসলিম অস্ট্রেলিয়ান আছেন৷ তাঁদের অধিকাংশই আইন মানেন এবং ভালো নাগরিক৷''

ব্র্যান্ডিসের বক্তব্যের পর তাঁর লেবার ও সবুজ দলের রাজনৈতিক বিরোধীরাও দাঁড়িয়ে করতালি দেন৷

এই ঘটনার পর সেনেটের অনেকেই হ্যানসনের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন৷

তাঁর এই ‘কাজ'-কে ‘বিরক্তিকর' বলে মন্তব্য করেন স্বতন্ত্র সেনেটর ড্যারিন হিঞ্চ৷ স্কাই নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘পলিন হ্যানসন অস্ট্রেলিয়ার একটি জনগোষ্ঠীর ধর্মকেই শুধু উপহাস করেননি, তিনি সেনেটের মতো একটি সম্মানিত প্রতিষ্ঠানেরও উপহাস করেছেন৷''

লেবার দলের সেনেটর স্যাম দাস্তিয়ারি মনে করেন, সস্তা জনপ্রিয়তা পেতেই হ্যানসন এ কাজ করেছেন৷

দলে দলে এশিয়ানদের আগমনে অস্ট্রেলিয়া বিপদে পড়ছে, এমন মন্তব্য করে নব্বই দশকের দিকে হ্যানসন প্রথম আলোচনায় আসেন৷

মাঝে প্রায় এক যুগ রাজনীতির বাইরে থেকে আবার ফেরেন ২০১৪ সালে৷ মুসলিম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিতিও পান৷ দু'বছর পর অতি ডানপন্থি দল ওয়ান নেশন পার্টির প্রধান হয়ে সেনেটর নির্বাচিত হন৷

সেনেটে যোগ দিয়ে প্রথম ভাষণেই তিনি বলেন, ইসলাম এমন একটি সংস্কৃতি ও ধারণা, যা আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির সঙ্গে একেবারেই যায় না৷

হ্যানসন অবশ্য তাঁর এই কর্মকাণ্ডে মোটেই অনুতপ্ত নন, একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘কাজটি কি খুব উগ্র কিছু হয়েছে? হ্যাঁ হয়েছে৷ আমার মনে হয় পরিষ্কার বার্তাই দিতে পেরেছি৷''

জেডএ/জেডএইচ (এএফপি)

বোরকার সঙ্গে জঙ্গিবাদের সম্পর্ক কোথায়? মতামত লিখুন নীচের ঘরে৷ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ