অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যে বক্সিং ডে টেস্ট সোমবার থেকে
২৫ ডিসেম্বর ২০১১অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক বলছেন, ‘‘তারিখের কারণেই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ এটা সত্যিই একটা বিশেষ টেস্ট, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই৷ এবার আমরা বেশ শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলবো৷''
কিন্তু অস্ট্রিলিয়ার গত বছরের বক্সিং ডে টেস্টের অভিজ্ঞতা সুখকর নয়৷ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই টেস্ট অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল ইনিংস ও ১৫৭ রানে৷ ম্যাচ শেষ হয়ে গিয়েছিল চার দিনেই৷ এরপর থেকে এক সময়ের অপ্রতিরোধ্য অস্ট্রেলিয়া কেমন যেন নেতিয়ে পড়ে৷ এবছর তারা নিজেদের মাটিতে কয়েকটি টেস্ট হেরেছে৷ এছাড়া গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এক ইনিংসে ৪৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া৷ ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক ব্যর্থতাই মূলত অস্ট্রেলিয়াকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে৷ উপরের সারিতে দলের সবচেয়ে নবীন দুই সদস্য ডেভিড ওয়ার্নার ও শন মার্শই কেবল যা একটু সফল৷ তারা ছাড়া গত এক বছরে অস্ট্রেলিয়ার আর কোনো ব্যাটসম্যানের গড় ৪০ এর উপরে নেই৷ বিশেষ করে ‘সুইং' বলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের দুর্বলতা এখনো কাটেনি৷
অন্যদিকে ভারতের ক্রিকেটে এখন সুদিন বইছে৷ তাই তারা এবার একটা রেকর্ড করতে চাইছে৷ সেটা হচ্ছে, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সিরিজ জেতা৷ সেটা যে কত গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝা যায় রাহুল দ্রাবিড়ের কথায়৷ তিনি বলছেন, ‘হাজার খানেক রান বা সেঞ্চুরি ৫টি কম হলেও আফসোস থাকত না, যদি অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ জিততে পারতাম!' আফসোস রয়েছে শচীন টেন্ডুলকারেরও৷
এবার সময় এসেছে তাদের আফসোস পূরণের৷ কেননা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এবারের ভারতীয় দল অনেক বেশি শক্তিশালী৷ যে সুইং বলে অসি ব্যাটসম্যানরা কুপোকাত হচ্ছেন সেটা ভালই করতে পারেন ভারতের দুই পেসার জহির খান ও ইশান্ত শর্মা৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম