অস্ত্রের অভাবে ক্ষোভ উগরে দিলেন জেলেনস্কি
১০ এপ্রিল ২০২৪রাশিয়ার লাগাতার হামলার মুখে কোণঠাসা ইউক্রেন আত্মরক্ষার জন্য যথেষ্টঅস্ত্র ও গোলাবারুদের অভাবে অসহায় বোধ করছে৷ বিশেষ করে দেশের পূর্বে খারকিভ শহরের উপর রাশিয়ার আক্রমণ বেড়ে চলেছে৷ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদোমির জেলেনস্কি নিজে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে সেখানে গেছেন৷
জার্মানির বিল্ড ও অন্যান্য কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পশ্চিমা জগতের পক্ষ থেকে যথেষ্ট সামরিক সহায়তার অভাব সম্পর্কে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, সহযোগী দেশগুলির কাছে এমন কিছু অস্ত্র আছে, যা ইউক্রেনের অস্তিত্বের খাতিরে এখনই প্রয়োজন৷ কেন সেই অস্ত্র ইউক্রেনের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে না, তা বুঝতে পারছেন না জেলেনস্কি৷ বিশেষ করে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ও গোলাবারুদের অভাব সম্পর্কে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ এ প্রসঙ্গে তিনি জার্মানির কাছ থেকে দূর পাল্লার টাউরুস ক্ষেপণাস্ত্র পাওয়ার আশা প্রকাশ করেন৷ উল্লেখ্য, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বার বার সেই সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন৷ জার্মানির স্প্রিঙার মিডিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, সম্ভবত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের পরমাণু অস্ত্র প্রয়োগের হুমকির কারণেই জার্মান চ্যান্সেলর শলৎস সে দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী অস্ত্র ইউক্রেনকে দিতে ভয় পাচ্ছেন৷
জেলেনস্কি মার্কিন কংগ্রেসে আটকে থাকা বিশাল অংকের সামরিক সহায়তা প্যাকেজ দ্রুত অনুমোদনেরও আশা ছাড়ছেন না৷ তিনি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, যা তিনি গ্রহণও করেছেন৷ তবে এখনো সেই সফরের কোনো দিনক্ষণ স্থির করা হয় নি৷ জেলেনস্কি অবশ্য ট্রাম্পের শান্তি প্রস্তাব সম্পর্কে সংশয় প্রকাশ করেছেন৷ পশ্চিমা জগতের কাছ থেকে আধুনিক অস্ত্র পেলে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে পরাজিত করার বিষয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছেন৷ রাশিয়ার হাত থেকে অধিকৃত ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করতে জেলেনস্কি আবার এক সামরিক অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছেন৷
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন অ্যামেরিকা সফরের সময় বিরোধী রিপাব্লিকান দলের উদ্দেশ্যে সংসদের নিম্ন কক্ষে ইউক্রেনের জন্য সহায়তার প্রস্তাব দ্রুত অনুমোদনের আবেদন জানিয়েছেন৷ সোমবার তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে নৈশভোজ করেন৷ ‘ব্যক্তিগত' সেই সাক্ষাতের সময় তিনি ন্যাটোর ভবিষ্যৎ ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করেছেন বলে জানিয়েছেন৷ রিপাব্লিকান দলের অন্যান্য কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলোচনা করলেও সংসদের নিম্ন কক্ষের স্পিকার মাইক জনসনের সঙ্গে তিনি কথা বলার সুযোগ পান নি৷ ক্যামেরন বলেন, অ্যামেরিকার বন্ধু হিসেবে তিনি সে দেশের স্বার্থেই ইউক্রেনের জন্য সহায়তার আর্জি জানাচ্ছেন৷ তাঁর মতে, পশ্চিমা জগত তাদের সহযোগীদের কতটা সহায়তা করছে, তেহরান, এই মুহূর্তে পিয়ংইয়ং ও বেইজিং-এর মতো শহরে সবাই তা পর্যবেক্ষণ করছে৷ এই বেআইনি ও অপ্ররোচিত হামলা মোকাবিলা করতে ইউক্রেনকে যথেষ্ট সহায়তা দেওয়া হচ্ছে কিনা, সে দিকে অন্যদেরও নজর থাকবে৷
এসবি/কেএম (ডিপিএ, এএফপি)