ছোট হলো রুনার বেলুন মাথা
২৯ জুন ২০১৩দিল্লির ফরটিস হেল্থ কেয়ার সেন্টারের সার্জন সন্দীপ বৈশ্য বড় একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন বৃহস্পতিবার৷ ত্রিপুরার এক বছরের শিশু রুনার জীবন বিপন্ন করে তোলা মাথাটিকে স্বাভাবিক করে দেয়ার যে চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন তাতে আপাতত তিনি জয়ী৷
মে মাসে একবার আর গত বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৭ জুন দ্বিতীয় দফা ফুটো করতে হয়েছে রুনার মাথা৷ ভেতরে এত পানি জমেছিল যে ডান আর বাম দিকের খুলি পুরো আলাদা হয়ে গিয়েছিল৷ চামড়ায় আটকানো ছিল দুটি অংশ৷ সেই মাথা কেটে ভেতরে তাকিয়ে স্তব্ধ হয়ে যান প্লাস্টিক সার্জন রেশমি তানেজা৷ রুনার মাথার হাড়গুলো তখন আলাদা-আলাদাভাবে তরলে ভাসছিল৷ প্রথমে সেই তরল বের করে নেয়া, তারপর সেই হাড়গুলোকে সেলাই করে একটার সঙ্গে আরেকটাকে লাগানো, অবশেষে সেলাই করে বিকৃত, বিশাল মাথাটাকে স্বাভাবিক করা – এসব করে তবেই রুনাকে নতুন জীবন দিতে পেরেছেন দিল্লির বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ জানা গেছে, রুনা আপাতত ভালো, তবে সংক্রমণ এড়াতে এখনো কিছুদিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে৷
কষ্টসাধ্য এবং সময়সাপেক্ষ এই অস্ত্রোপচারে খরচ হয়েছে অনেক৷ এত টাকা দেয়া সম্ভব নয় বলে মেয়ের জীবনের আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন গরিব বাবা-মা৷ কিন্তু বার্তাসংস্থা এএফপি-র খবরে উঠে আসায় বিশ্বের দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে রুনার কথা৷ নরওয়ের দুই কলেজ ছাত্র অর্থ সংগ্রহের জন্য প্রচার শুরু করেন অনলাইনে৷ খুব ভালো সাড়া পেয়েছিলেন তাঁরা৷ দেখতে দেখতেই উঠে যায় ৫৭ হাজার ইউরো৷ সেই টাকা অবশ্য এখনো ভারতে পৌঁছায়নি৷ তবে টাকা জোগাড় হবার আগেই দিল্লির হাসপাতালে শুরু হয়ে যায় চিকিৎসা৷ আশার কথা, রুনা এখন সুস্থ, সব ঠিকঠাকমতো চললে মোটা অঙ্কের টাকাও আসবে গরিব বাবা-মায়ের হাতে৷ ছোট্ট মেয়েটি এখন সুন্দর জীবন শুরুর অপেক্ষায়৷
এসিবি/ডিজি (এএফপি)