অস্ত্রোপচারের পর পেলে ভালো আছেন
৭ সেপ্টেম্বর ২০২১সম্প্রতি হাসপাতালে চেক আপের সময় পেলের শরীরে টিউমার ধরা পড়ে। ৮০ বছর বয়সি এই প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার বলেছিলেন, এই ম্যাচটাও তিনি হাসিমুখে খেলতে চান। খেলেছেনও সেভাবেই। সামাজিক মাধ্যমে পেলে লিখেছেন, ''ঈশ্বরকে অনেক ধন্যবাদ। আমি ভালো আছি। আমি সৌভাগ্যবান। অন্যবারের মতো আমি আমার আনন্দের মুহূর্তগুলি আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারছি।''
পেলে বলেছেন, তার বন্ধু ও পরিবার তার পাশে আছে। সকলের ভালোবাসা তার সঙ্গে আছে।
হাসপাতাল কী বলছে
সাও পাওলোর অ্যালবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পেলের রুটিন চেক আপের সময় টিউমার ধরা পড়ে। শনিবার তার অপারেশন হয় এবং মঙ্গলবার তিনি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট থেকে বেরোতে পারবেন। টিউমারটি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা একাদশ
এই একাদশ বাছাই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ কয়েকবছর আগে বিশ্লেষক ও সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত এই একাদশ প্রকাশ করেছিল বিশ্বখ্যাত ফুটবল ম্যাগাজিন ওয়ার্ল্ড সকার৷ দেখুন কারা ছিলে ৪-৪-২ ফর্মেশন মাথায় রেখে গড়া সেই দলে৷
গোলরক্ষক: লেভ ইয়াসিন
ফুটবলে গোলরক্ষকের নাম নেয়া হবে আর লেভ ইয়াসিনের নাম আসবে না তা হতে পারে না৷ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই গোলরক্ষক খেলেছেন ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপ৷ ১৯৫৬ সিডনি অলিম্পিকে জিতিয়েছিলেন দেশকে৷ ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েই একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি৷
লেফট ব্যাক: পাওলো মালদিনি
বিশ্ব ফুটবলের সেরা ডিফেন্ডার কে? অবলীলায় এই নামটি চলে আসবে৷ ভোটেও তাই হয়েছে৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন তিনি৷ ১৯৯০, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮-র বিশ্বকাপে খেলেছেন এই ইটালিয়ান ডিফেন্ডার৷ ১৯৯৪-এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ইটালির টাইব্রেকার হার একটুর জন্য তাঁকে শিরোপার নাগাল পেতে দেয়নি৷
রাইট ব্যাক: কাফু
টানা তিন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন তিনি৷ জিতেছেন ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপ৷ এর মধ্যে ২০০২-এ ব্রাজিল দলের নেতৃত্বে ছিলেন৷ ভোটে ডিফেন্ডারদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানটি ছিল কাফু’র৷
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার: ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার
ফুটবলের ইতিহাসে বেকেনবাওয়ারই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কোচ, খেলোয়াড় বা অধিনায়ক থাকাকালে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন৷ এই কিংবদন্তীর নেতৃত্বে জার্মানি বিশ্বকাপ জেতে ১৯৭৪ সালে৷ আর কোচ হিসেবে ডয়েচলান্ডকে আবারো শিরোপার স্বাদ দেন ১৯৯০-এ৷
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার: ববি মুর
ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপটি (১৯৬৬) জয়ে নেতৃত্ব দেন এই কিংবদন্তী ডিফেন্ডার৷ তাঁর পায়ের দক্ষতা আর রক্ষণভাগে দেয়াল তৈরি করে প্রতিপক্ষকে কঠিন সময় উপহার দেয়ার কৌশল তাঁকে জায়গা করে দিয়েছে একাদশে৷ তবে ভোটের মাঠে এর জন্য তাঁকে ইটালির ফ্র্যাঙ্কো বারেৎসি’র সঙ্গে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে৷
মিডফিল্ডার: আলফ্রেডো ডি স্টেফানো
যে চারজন মিডফিল্ডার একাদশে জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আলফ্রেডো ডি স্টেফানো সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন৷ এই প্রতিভাবান ফুটবলারের বিশেষ দিক হলো তিনি যে কোনো পজিশনে খেলতে পারতেন৷ অসম্ভব স্ট্যামিনার অধিকারী ছিলেন৷ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি আর্জেন্টিনা ও স্পেনের হয়ে খেলেছেন৷ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেললেও মূল পর্বে খেলা হয়নি তাঁর৷
মিডফিল্ডার: জিনেদিন জিদান
জিদানের পায়ের জাদু’র প্রশংসা করেন না এমন ফুটবলপ্রেমী পাওয়া মুশকিল৷ স্কিলের দিক থেকে অনেকেই তাঁকে মারাদোনা আর পেলের সঙ্গেই তুলনা করেন৷ ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপ জয়ে ফ্রান্সের নায়ক ছিলেন তিনিই৷ এমনকি ২০০৬ বিশ্বকাপেও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন৷ তবে সেবার ইটালির মাতেরাৎসিকে মাথা দিয়ে গুঁতো মেরে অনেক সমালোচনার ভাগীদারও হন৷
মিডফিল্ডার: ইয়োহান ক্রুইফ
হল্যান্ডের এই কীর্তিমান ফুটবলার যে একাদশে থাকবেন তা জানাই ছিল৷ টোটাল ফুটবলের একরকম জনকই তিনি৷ তাঁর কৌশলের কাছে প্রতিপক্ষরা যেন দাঁড়াতেই পারতেন না৷ তাঁর নৈপূণ্যে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে পূর্ব জার্মানি, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় হল্যান্ড৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পশ্চিম জার্মানির কাছে ধরাশায়ী হয়৷
মিডফিল্ডার: ডিয়েগো মারাদোনা
ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিতর্ক হলো, সর্বকালের সেরা কে? পেলে, না মারাদোনা? এই ফুটবল জাদুকরের জাদু অবশ্য ১৯৮২-তেই দেখেছিল বিশ্ব৷ কিন্তু সেবার তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি৷ এরপর প্রায় একক নৈপূণ্যেই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ৷ ১৯৯০ সালেও ফাইনালে খেলেছে তাঁর দল৷ তাঁর ‘ঈশ্বরের হাত’-এর গল্প কার না জানা৷
স্ট্রাইকার: পেলে
সর্বকালের সেরা বিতর্কের আরেক নায়ক পেলে৷ ‘কালোমানিক’ নামেও পরিচিত৷৷ ব্রাজিল ও ফুটবল উভয়কেই মহিমান্বিত করেছেন এই কিংবদন্তী৷ ১৯৬২ বিশ্বকাপে তিনি দ্বিতীয় ম্যাচে ইনজুরির শিকার হয়ে আর খেলতে পারেননি৷ তবে সেই বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল৷ পরের বিশ্বকাপে ব্রাজিল অবশ্য আগেই বাদ পড়ে যায়৷ প্রচুর ফাউলের শিকার হন পেলে৷ তবে ১৯৭০-এর বিশ্বকাপে চরম নৈপূণ্য দেখিয়ে জিতে নেন শিরোপা৷
স্ট্রাইকার: লিওনেল মেসি
একাদশে এ সময়ের একমাত্র প্রতিনিধি হলেন লিওনেল মেসি৷ যদিও এখনো বিশ্বকাপে মেসির জাদুর প্রতিফলন তেমন একটা ঘটেনি, তারপরও তাঁর নৈপুণ্য তাঁকে সেরা একাদশে জায়গা করে দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পেলে ও মেসির মাঝে ব্যবধান গড়েছে মাত্র ১০টি ভোট৷
এর আগে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম খবর করেছিল যে, পেলে বার্ষিক চেক আপের জন্য ছয়দিন ধরে হাসপাতালে আছেন। তার আগে গত ৩১ অগাস্ট পেলে জানান, তিনি অজ্ঞান হয়ে গেছিলেন বলে যে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল, তা ঠিক নয়। তিনি মজা করে বলেছিলেন, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার মধ্যে বিশ্বকাপের বাছাই পর্বের খেলায় তাকে পাওয়া যাবে না।
উত্তেজনার সেই মুহূর্তগুলো
মনে আছে রবার্তো বাজ্জোর সেই ফ্রি-কিকের কথা? মনে পড়ে, ১৯৯৪ বিশ্বকাপের সেই কালজয়ী ফাইনাল? এমন টানটান উত্তেজনা ইতিহাসে বিরল৷ চলুন ঘুরে আসি ১৯৩০ থেকে ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের মাঠ থেকে৷
১৯৩০
প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল৷ উরুগুয়ের মন্টিভিডিওতে স্বাগতিকরা মুখোমুখি আর্জেন্টিনার৷ ছবিটি আর্জেন্টাইনদের জালে উরুগুয়ের প্রথম বল ফেলার মুহূর্তের৷ আর্জেন্টিনাকে সেবার ২-৪ ব্যবধানে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়৷
১৯৩৪
ইটালির কোচ ভিটোরিও পোৎসোর উচ্ছ্বাস দেখেই বোঝা যায় খেলার ফল কী৷ অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো এই ম্যাচে স্বাগতিক ইটালি চেকোস্লোভাকিয়াকে হারায় ২-১ গোলে৷
১৯৩৮
ভিটোরিও পোৎসোর মুখে আবারো হাসি৷ টানা দ্বিতীয়বার জুলে রিমে শিরোপা ইটালিয়ানদের ঝুলিতে৷ এবার প্যারিসে৷ প্রতিপক্ষ হাঙ্গেরি৷ ব্যবধানটাও বড়, ৪-২৷
১৯৫০
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামায় ১৯৪২ ও ১৯৪৬ এর বিশ্বকাপ দু’টি অনুষ্ঠিত হয়নি৷ এই আসর বসেছিল ব্রাজিলে৷ একমাত্র এই বিশ্বকাপেই কোনো ফাইনাল হয়নি৷ ১৩টি দলের অংশগ্রহণ থেকে শেষে শীর্ষস্থান নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে উরুগুয়ে৷
১৯৫৪
হেলমুট রানের পশ্চিম জার্মানিকে উল্লাসই মানায়৷ জমজমাট এক ফাইনালে ৩-২ গোলে তারা হাঙ্গেরিকে হারিয়ে প্রথমবার শিরোপা ঘরে তোলে৷ সুইজারল্যান্ডের বার্নে হয়েছিল এই ফাইনাল ম্যাচটি৷
১৯৫৮
এই বিশ্বকাপে সারাবিশ্ব এক সদ্য কৈশোর পেরুনো তরুণকে দেখেছিল৷ নাম তার পেলে৷ ছবিটি স্বাগতিক সুইডেনকে ফাইনালে ৫-২ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের প্রথম শিরোপা জেতার মুহূর্তে তোলা৷ পেলে আবেগ ধরে রাখতে না পেরে গোলরক্ষক গিলমার দস সান্তোসের কাঁধে মুখ লুকিয়ে কাঁদছিলেন৷
১৯৬২
পেলে অধ্যায় শুরু হয়েছে আগের বিশ্বকাপের আগেই৷ এ বিশ্বকাপে দ্বিতীয় ম্যাচেই চেকদের বিপক্ষে ইনজুরিতে পড়ে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েন পেলে৷ কিন্তু গারিঞ্চাসহ দলের অন্য সদস্যরা দলকে টেনে নিয়ে যান ফাইনালে৷ সেখানে চেকোস্লোভাকিয়াকে ৩-১ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জেতে তারা৷
১৯৬৬
ইংল্যান্ড একবারই বিশ্বকাপ জেতার স্বাদ পেয়েছে৷ সেটিও ১৯৬৬ সালে৷ ছবিতে তৎকালীন অধিনায়ক ববি মুরকে জুলে রিমে ট্রফিতে চুমু খেতে দেখা যাচ্ছে৷ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে জার্মানিকে হারায় ইংলিশরা৷
১৯৭০
আবারো ব্রাজিল৷ আবারো জুলে রিমে ট্রফি৷ ইটালিকে ফাইনালে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেন পেলে, কার্লোস আলবার্তোরা৷ তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জিতে জুলে রিমে ট্রফিকে চিরদিনের জন্য নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল৷
১৯৭৪
ফাইনালে হল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারায় পশ্চিম জার্মানি৷ ছবিতে বেকেনবাওয়ারকে দেখা যাচ্ছে ট্রফি হাতে৷
১৯৭৮
আবারো হল্যান্ডের পরাজয়৷ এবার আর্জেন্টিনার কাছে৷ মারিও কেম্পেসের আর্জেন্টিনা ম্যাচটি জেতে ৩-১ গোলে৷
১৯৮২
এই বিশ্বকাপেই তরুণ মারাদোনা পা রাখেন বিশ্বকাপে৷ কিন্তু দ্বিতীয় রাউন্ড পার হতে পারেনি তাঁর দল৷ পশ্চিম জার্মানিকে ফাইনালে ৩-১ গোলে হারিয়ে সেবার শিরোপা জেতে ইটালিয়ানরা৷
১৯৮৬
এই বিশ্বকাপেই জাদু দেখিয়েছেন ফুটবলের জাদুকর মারাদোনা৷ নিজে গোল করেছেন৷ গোল করিয়েছেনও৷ ইতিহাসের সেরা দু’টি গোল, একটি ‘ঈশ্বরের হাত’ দিয়ে গোল ও আরেকটি মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষের বেশ ক’জন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে, করেছেন এই বিশ্বকাপে৷ ফাইনালে আর্জেন্টিনা পশ্চিম জার্মানিকে ৩-২ গোলে হারিয়ে শিরোপা জিতে নেয়৷
১৯৯০
এই বিশ্বকাপের ফাইনালেও আর্জেন্টিনা মুখোমুখি পশ্চিম জার্মানির৷ মারাদোনার দল ১-০ গোলে হেরে যায় লোথার ম্যাথিউস-ক্লিন্সমানদের জার্মানির কাছে৷ তবে রেফারিং, ফাউল ও খেলোয়াড়দের অসহিষ্ণুতার কারণে এটি সবচেয়ে কুৎসিত বিশ্বকাপ ফাইনালের তকমা পেয়েছে৷
১৯৯৪
এই বিশ্বকাপের ফাইনালটিই বোধ হয় এ যাবৎ সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল৷ নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময় গোলশূন্য থাকার পর ব্রাজিল ও ইটালির ম্যাচটি গড়ায় পেনাল্টি শুটআউটে৷ সেখানে প্রথম চারটির তিনটিই প্রতিপক্ষের জালে ফেলে ব্রাজিল৷ আর ইটালি দু’টি৷ পঞ্চম কিকটি ছিল ইটালিয়ান তারকা বাজ্জোর৷ কিন্তু তিনি উত্তেজনাতেই কি না গোলবারের ওপর দিয়ে বল মারেন৷ ফলে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তোলে ব্রাজিল৷
১৯৯৮
স্বাগতিক ফ্রান্স ও জিনেদিন জিদানের বিশ্বকাপ এটি৷ জিদানের জাদুতে বিশ্বকাপ জেতে ফ্রেঞ্চরা৷ ফাইনালে রোনাল্ডো, রিভাল্ডো, কার্লোস, ডুঙ্গাদের মতো তারকা খেলোয়াড় নিয়ে গড়া ব্রাজিলকে ৩-০ গোলে হারায় জিদানের ফ্রান্স৷ জিদান নিজেই করেন দুই গোল৷
২০০২
কোরিয়া ও জাপানে অনুষ্ঠিত এই বিশ্বকাপের ফাইনালে রোনাল্ডোর জোড়া গোলে পঞ্চম শিরোপা জিতে ব্রাজিল৷ ফাইনালের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি৷
২০০৬
এই বিশ্বকাপেও জিদানের ফ্রান্স ফাইনাল খেলে৷ কিন্তু এই ফাইনালটিও কুৎসিত হয় জিদানেরই কারণে৷ প্রতিপক্ষ ইটালির ডিফেন্ডার মাতেরাৎসিকে মাথা দিয়ে গুঁতো মেরে লালকার্ড দেখেন তিনি৷ তার আগেই এই দু’জনই নিজ নিজ দলের পক্ষে একটি করে গোল করেন৷ পরে খেলা অতিরিক্ত সময় পেরিয়ে পেনাল্টি শুটআউটে গড়ায়৷ সেখানে ৫-৩ গোলে হারে ফ্রান্স৷
২০১০
দক্ষিণ আফ্রিকায় শাকিরার তুমুল জনপ্রিয় ‘ওয়াকা ওয়াকা’ থিম সংয়ের এই বিশ্বকাপে টিকি টাকা ফুটবল খেলে পুরো আসর মাতিয়েছে স্পেন৷ জোহানেসবার্গের ফাইনালে ডাচদের বিপক্ষে অতিরিক্ত সময় শেষের চার মিনিট আগে গোল করে স্পেনের শিরোপা নিশ্চিত করেন তারকা মিডফিল্ডার ইনিয়েস্তা৷
২০১৪
গত বিশ্বকাপে মেসির দিকেই চোখ ছিল সবার৷ কিন্তু মেসি আর্জেন্টিনাকে শিরোপা এনে দিতে পারেননি৷ সেই দুঃখে তো দেশের পক্ষে খেলাই ছেড়ে দেবার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি৷ সে যাই হোক, পরে ফিরে এসেছেন৷ জার্মানি তাদের চতুর্থ শিরোপাটি ঘরে তোলে এ বছর৷ ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গ্যোৎসের করা গোলে জয় নিশ্চিত করে তারা৷
প্রবাদপ্রতিম ফুটবলার
পেলে ব্রাজিলের হয়ে তিনটি বিশ্বকাপ জয়ী দলে ছিলেন। দেশের হয়ে ৯২টি ম্যাচে ৭৭টি গোল করেছেন। তার এই রেকর্ড ব্রাজিলে এখনো কেউ ছুঁতে পারেননি। ক্লাবের হয়ে তিনি ৬৫৯ ম্যাচে ৬৪৩ গোল করেছেন।
জিএইচ/এসজি(এএফপি, রয়টার্স)