1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফরাসি-জার্মান ঐক্যের সুর

৩১ মে ২০১৩

ইউরোপের চালিকা শক্তি বলে পরিচিত ফ্রান্স ও জার্মানি৷ অথচ ইদানিং দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে তিক্ততা দেখা যাচ্ছিল৷ দুই শীর্ষ নেতা নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর বলেছেন, সবই রটনা৷

ছবি: Reuters

ফ্রান্সের সমাজতন্ত্রী প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ যখন বছরখানেক আগে ক্ষমতায় এসেছিলেন, তখন তাঁর প্রতি জনসমর্থন ছিল তুঙ্গে৷ আজ সেই সমর্থন রেকর্ড মাত্রায় কমে গেছে৷ দেশে বেকারত্বের হার মারাত্মক৷ অর্থনীতি বিপর্যস্ত৷ প্রতিযোগিতার বাজারে ফ্রান্সের কোম্পানিগুলি টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে৷ বাজেট ঘাটতির মাত্রা সীমা ছাড়িয়ে গেছে৷ ধনীদের উপর কিছু কর চাপিয়েও তেমন কোনো লাভ হয় নি৷ এরই মধ্যে ইউরোপীয় কমিশনের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করে তর্জন গর্জন করছিলেন ওলঁদ৷

প্রতিবেশী জার্মানির চিত্র একেবারে অন্যরকম৷ ইউরো এলাকায় সংকট সত্ত্বেও জার্মান অর্থনীতি শক্তিশালী রয়েছে৷ রপ্তানি বেড়ে চলেছে৷ বেকারত্বের হার খুবই কম৷ সরকারি কোষাগার পরিপূর্ণ৷ চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল-এর ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা তুঙ্গে৷ আগামী সেপ্টেম্বর মাসের সাধারণ নির্বাচনের পরে তিনিই চ্যান্সেলর থাকবেন, এমন বিশ্বাস দিনে দিনে বাড়ছে৷ অতএব ইউরোপের বাকি দেশগুলির পক্ষে ম্যার্কেল-কে উপেক্ষা করা কঠিন৷

দুই নেতার মধ্যে অবশেষে ঐক্যের সুর শোনা যাচ্ছেছবি: Reuters

চারিদিকে এমন দুর্দিন সত্ত্বেও জার্মানির এই সাফল্যের রহস্য কী? সম্প্রতি জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রী দলের ১৫০ বছর উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওলঁদ নিজেই তার উল্লেখ করেছেন৷ প্রাক্তন চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার-এর আমলে জার্মানি যে সব সাহসি সংস্কারের কাজ চালিয়েছিল, তারই সুফল ভোগ করছে আজকের শাসকরা৷ তারা সেই সংস্কারের ধারাবাহিকতাও বজায় রেখেছেন৷অন্যদিকে ফ্রান্স সহ ইউরোপের দক্ষিণের দেশগুলি সময় থাকতে সংস্কার চালায় নি৷ সংকটের চাপে পড়ে এখন তাদেরও সেই কাজ করতে হচ্ছে৷ ইউরোপের উত্তরের দেশগুলিও সংস্কার চালিয়ে দেশের সামাজিক সুরক্ষা কাঠামো থেকে শুরু করে শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলির অবস্থান জোরদার করেছেন৷

এমনই এক প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার প্যারিসে অনুষ্ঠিত হলো ম্যার্কেল-ওলঁদ বৈঠক৷ দুই নেতাই ইউরো এলাকার অর্থনৈতিক ইউনিয়নের পক্ষে আবার সওয়াল করেন৷ জুন মাসের শেষে ইইউ শীর্ষ সম্মেলনের অ্যাজেন্ডায় তাঁরা সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয় অন্তর্গত করতে চান৷ এর মধ্যে রয়েছে ইউরোগ্রুপ-এর জন্য ফুল-টাইম প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করা, যিনি সর্বশক্তি দিয়ে মন্দা, বেকারত্ব ইত্যাদি সমস্যার মোকাবিলা করবেন৷ কর্মসংস্থান বাড়াতে জুলাই মাসে বার্লিনে এক বিশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে৷ ইউরোপের এই দুর্দিনে ফ্রান্স ও জার্মানির যৌথ প্রয়াস অত্যন্ত জরুরি, বলেন ম্যার্কেল৷ ওলঁদ বলেন, ফ্রান্স অবশ্যই সংস্কারের কাজে হাত দেবে৷ তবে ব্রাসেলস-এর চোখরাঙানির কারণে নয়৷ দেশের জনগণের সমর্থন নিয়েই তিনি এই কঠিন কাজ করতে চান৷

তবে একদিকে ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানগুলির হাতে আরও ক্ষমতা তুলে দেওয়া, অন্যদিকে তাদের বার্তা অমান্য করা – ওলঁদ-এর পক্ষে বেশিদিন এই দ্বিমুখী আচরণ সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিচ্ছে ব্রাসেলস-এ৷

এসবি / জেডএইচ (এএফপি, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ