1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অজানার উদ্দেশ্যে ক্যাথরিন

২৩ আগস্ট ২০১২

অ্যাকর্ডিয়ান বাদক ক্যাথরিন ফাইফার জার্মানির ‘বিশ্ব মিউজিক’ জগতে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন৷ বার্লিনে বসবাসকারী এই সংগীতকার লোকসংগীত, চলচ্চিত্র ও থিয়েটারে নেপথ্য সংগীত দিয়েছেন, তৈরি করেছেন নিজস্ব একটি ব্যান্ডও৷

ছবি: Götz Rakow

গিটার, অ্যাকর্ডিয়ান, ড্রাম এবং হাততালির সমবেত মূর্ছনায় এক অদ্ভুত পরিবেশ সৃষ্টি করে ক্যাথরিন ফাইফার'এর সংগীত৷ গানটার নাম ‘স্নো বডি'৷ ক্যাথরিন'এর নিজের কথায়, ‘‘যিনি সংগীত ভালোবাসেন, যিনি সংগীতের পূজারি, তিনি বিভিন্ন রকম বাদ্যযন্ত্র নাড়াচাড়া করতে বাধ্য৷ এই যে আমি, আমি কিন্তু এসেছি শাস্ত্রীয় সংগীত থেকে৷ অথচ একটা সময় অ্যাকর্ডিয়ান আমাকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে৷ আর আমি বেড়াতে ভীষণ ভালোবাসি৷ আসলে একটা সময় আমি বিমান সেবিকা হতে চেয়েছিলাম৷ তাই অ্যাকর্ডিয়ান যন্ত্রটা কোথা থেকে এসেছে, বিশ্বের কোথায় কোথায় এ যন্ত্র বাজানো হয়, কারা বাজান - এসব জানতে একদিন বেরিয়ে পড়ি৷ অ্যাকর্ডিয়ান সাধারণত লোকসংগীতে ব্যবহৃত হলেও, বিভিন্ন দেশের সংগীত একে অনেকটাই প্রভাবিত করেছে৷ এটা সত্যিই আশ্চর্যের বিষয় যে, ভিন্ন ভিন্ন দেশে আলাদা রকমভাবে অ্যাকর্ডিয়ান'এর ব্যবহার করছেন সংগীত শিল্পীরা৷ এই যেমন মাদাগাস্কার'এ৷ ভুদু-কাল্টে বিশ্বাসীরা তো একে ‘ট্রান্স' সংগীতেও ব্যবহার করে থাকেন৷ তবে আমার জন্য অ্যাকর্ডিয়ান একটা বেশ আগ্রাসী বাদ্যযন্ত্র৷''

অ্যাকর্ডিয়ান বাদক ক্যাথরিন ফাইফারছবি: Götz Rakow

ক্যাথরিন'এর সর্বশেষ এই অ্যালবামটির নাম ‘পুস ব্লুজ ওয়াল্জ'৷ মাদাগাস্কার'এর রিক্সা চালকদের ‘পুস' নামে ডাকা হয়৷ অনেকে আবার রিক্সা ডাকার সময় ‘পুস-পুস' বলে হাঁক দেন৷ তাই তাঁদের জীবনকে ঘিরেই এই গানটি লেখেন ফাইফার৷ গানটা শুনে সেটা মাদাগাস্কার'এর মনে না হলেও, এর ছন্দে ছন্দে লুকিয়ে আছে সেখানকার রিক্সা চালকদের জীবনযুদ্ধ, তাঁদের অভিজ্ঞতা, তাঁদের জীবন দর্শন, সুখ-দুঃখ, তাঁদের আনন্দ৷

১৯৬২ সালে তৎকালীন পূর্ব-বার্লিনে জন্মগ্রহণ করেন ক্যাথরিন ফাইফার৷ সমাজতন্ত্রের একটা স্বপ্ন তাঁর ছোটবেলা থেকেই ছিল৷ সারা বিশ্বের মরমি মানুষের কথা তাই বারে বারেই ঘুরে-ফিরে এসেছে ফাইফার'এর সংগীতে, তাঁর লেখায়৷ যেমন ‘মিউজিক ফর ট্র্যাভেলার্স' - এই সংগীতাংশটিতে ধরা পড়ে ট্যাঙ্গো, ব্রাজিলিয়ান মিউজিক, ব্লুজ বা জ্যাজ'এর মতো ঘরানাও৷ ক্যাথরিন জানান, ‘‘একটা সময় আমি একেবারে ভিন্ন কিছু একটা করতে চাইছিলাম৷ এরকম কিন্তু অনেক ধ্রুপদী সংগীত শিল্পীর সঙ্গেই হয়েছে৷ একটা সময় মনে হয়েছিল নিজস্ব গণ্ডির বাইরে বের হয়ে যেতে৷ সব সীমানা অতিক্রম করতে৷ চাইছিলাম নিজেরটা অন্যকে দিতে এবং অন্যের কাছ থেকে অন্য কিছু শিখতে৷ অজানাকে জানার, অচেনাকে উপলব্ধি করার কিরকম যে একটা চাহিদা অনুভব করছিলাম আমি৷ তাই তো একদিন বেরিয়ে পড়লাম পথে...৷''

Week 34/12 Women2: Akkordeonistin Cathrin Pfeifer NEU - MP3-Mono

This browser does not support the audio element.

নিজ দেশ, নিজ সংগীত ঘরানা, নিজ ঐতিহ্য থেকে সেদিন বের হয়ে গেলেও, এই বার্লিনেই একদিন ফিরে আসেন ক্যাথরিন৷ আর্জেন্টিনার এক ‘পারকাশানিস্ট' টোপো গিওইয়া'র হাত ধরে মেতে ওঠেন নতুন নতুন সংগীত সৃষ্টিতে৷ ততদিনে জার্মানিও নতুনভাবে দেখা দেয় তাঁর সামনে৷ পুনরএকত্রিকরণের পর পুরোনো সেই দ্বিধাবিভক্ত জার্মানিকে তিনি স্মরণ করেন ‘বাই বাই পিলো' গানটি দিয়ে৷ অতীতকে বিদায় দিয়ে এভাবেই নতুনকে স্বাগত জানান ক্যাথরিন ফাইফার৷ ঠিক যেন নিজের পুরোনো বালিশটিকে বিদায় দেয়ার মতো৷

তবে আজও ক্যাথরিন'এর অজানাকে জানার আগ্রহ কম হয়ে যায় নি৷ আজও হরেক রকম ‘মিউজিক প্রজেক্ট'-এ, থিয়েটারে, এমনকি চলচ্চিত্রেও নিজের সংগীত পরিবেশন করে আনন্দ পান তিনি৷ মিশর থেকে ব্রাজিল, ফ্রান্স থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অথবা ইটালি থেকে অস্ট্রেলিয়া বা এশিয়া - সর্বত্রই বিচরণ ক্যাথরিন ফাইফার'এর৷ আর সেসব যাত্রায় সঙ্গী একজনই৷ নিজের অতি প্রিয় অ্যাকর্ডিয়ান'টি৷

প্রতিবেদন: কাটরিন ভিল্কে / ডিজি

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ