গাড়ি চালাচ্ছেন৷ আপনার ‘স্পিড লেভেল' যদি ঠিক থাকে, তবে মসৃণ রাস্তাতেই চলতে পারবেন আপনি৷ কিন্তু নির্ধারিত গতিসীমা অতিক্রম করলে বিপদ৷ খাবেন হোঁচট, সঙ্গে সঙ্গে লাফিয়েও উঠবে আপনার যানটি৷ রাস্তায় যে বসানো আছে ‘অ্যাক্টিবাম্প'৷
বিজ্ঞাপন
‘স্পিডব্রেকার' – উঁচু-নীচু, খাঁড়া, মোটা – দ্রুত গতিতে ছুটে আসার গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য রাস্তায় রাস্তায় এ জিনিসটি আমাদের বেশ পরিচিত৷ তবে দক্ষিণ এশিয়ায় এই স্পিডব্রেকারগুলো অনেকক্ষেত্রেই মানুষকে নিরাপত্তা দেয়ার পরিবর্তে দুর্ঘটনার দিকে ঠেলে দেয়, প্রতিদিনই কোনো কোনো রাস্তায় স্পিডব্রেকারের কারণে ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা৷
তাই ঢাকা বা কলকাতার রাস্তায় স্পিডব্রেকার অচিরেই হয়ে ওঠে মরণ ফাঁদ৷ অথচ মানুষকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষায় করার জন্য তো তৈরি করা হয় স্পিডব্রেকার, তাই নয় কি?
হ্যাঁ, এ কারণেই সুইডেনের ‘এডেভা এবি' কোম্পানি তৈরি করেছে একটি অত্যাধুনিক স্পিডব্রেকার৷ নাম – ‘অ্যাক্টিবাম্প'৷ এটি দূর থেকেই গাড়ির গতি নির্ধারণ করে এবং গাড়ি-ট্রাক-বাস যদি অতিরিক্ত গতিতে এগিয়ে আসে, একমাত্র তবেই ‘অ্যাক্টিভ' হয়৷ অর্থাৎ আপনি যদি নির্ধারিত গতিবিধি মেনে চলেন, তবে ‘অ্যাক্টিবাম্প'-এর ফলে আপনি কোনোরকম ‘বাম্প' অনুভবই করবেন না৷ সুতরাং ট্যাফিক আইন মেনে চলা চাই৷
তাছাড়া ‘অ্যাক্টিবাম্প' একইসঙ্গে পরিবেশ বান্ধব এবং শব্দদূষণও এতে হয় না৷ রাস্তায় এটি এমনভাবে বসানো হয়, যাতে একমাত্র সেই গাড়িগুলিই ধাক্কা খায় যারা অতিরিক্ত দ্রুত গতিতে চলছে৷
ঠিক কীভাবে? ভিডিও-টা ক্লিক করলেই বুঝতে পারবেন...৷ দেখে কেমন লাগলো জানাতে ভুলবেন না কিন্তু!
ডিজি/এসবি
জার্মানির কিছু ট্রাফিক সাইনের নমুনা
জার্মানিতে রাস্তা, রেলওয়ে স্টেশন, এমনকি বাড়িতে যন্ত্রাবলী ব্যবহারের নিয়মও কিছু স্পষ্ট আর কিছু অস্পষ্ট৷ এখানে তারই কিছু নমুনা দেওয়া হলো৷
ছবি: picture alliance/ZB
হ্যাটটি তুলে নিন, প্লিজ
১৯৬৮ সালে ভিয়েনা কনভেনশনের নিয়ম অনুযায়ী জার্মানিসহ ইউরোপের বেশিরভাগ দেশ একই ধরণের ট্রাফিক সাইন মেনে চলে৷ এরপরও জার্মানির কিছু সাইন এখনও অনেকটাই অস্পষ্ট৷ আচ্ছা, ওপরের সাইনটি কি এক পায়ে দাঁড়িয়ে হ্যাটটি তুলে নিতে বলছে? ঠিক হলো না কিন্তু! আসলে, কেউ যাতে পা পিছলে না পড়ে যায় সেজন্য সাবধান করে দেওয়া হচ্ছে সাইনটিতে৷
ছবি: picture-alliance/Markus C. Hurek
অনুমতি আছে, না কি নেই?
কোনো সাইনের চারিদিকে লাল রং দেওয়া মানে অনুমতি নেই আর তা জার্মানিসহ সব দেশেই৷ তবে এই সাইনটিতে ঘোড়া, গাড়ি এবং মোটর সাইকেল চালকদের বলা হচ্ছে যে, রাস্তা এখানেই শেষ৷ অর্থাৎ আর যাওয়া যাবে না৷ অবশ্য আরো ভালো করে বোঝাতে চাইলে অনেক সময় মাঝখানে বাড়তি লাল দাগও দেওয়া হয়৷
ছবি: picture alliance/Markus C. Hurek
প্রতিবেশীদের স্বাগতম
যাঁরা এই সাইন চেনেন না তাঁদের কাছে মনে হতে পারে, এখানে গাড়ি পার্কিং এবং বাচ্চাদের ফুটবল খেলার জন্য অনেক জায়গা রয়েছে৷ ১৯৮০ সালে এই সাইন প্রথম শুরু হয়৷ এই সাইনে বলা হচ্ছে: সাবধান! আস্তে গাড়ি চালান, রাস্তায় বাচ্চারা খেলছে৷ জার্মানির আবাসিক এলাকার এই রাস্তাগুলোকে ‘স্পিল স্ট্রাসে’ বা খেলার রাস্তাও বলা হয়ে থাকে৷
ছবি: picture alliance/dpa
এখানে নাচতে পারেন!
আচ্ছা, এই সাইনটি দেখে মনে হচ্ছে না যে, এখানে নাচার অনুমতি রয়েছে বা চাইলেই নাচতে পারেন! না, এবারও হলো না৷ এই চিহ্নটা কিন্তু একেবারে উল্টো৷ আসলে এখানে সাবধান করা হচ্ছে, চলন্ত ট্রেন আসার সময় কেউ যেন দরজার একবারে কাছাকাছি না যায়৷
ছবি: DW/L. Herber
প্রবেশ নিষেধ
এই সাইনটির অর্থ ‘এখানে প্রবেশ নিষেধ’৷ বলা বাহুল্য, জার্মানিতে এই ধরণের সাইনবোর্ডের অভাব নেই৷
ছবি: Zeb Griffin
তিন বন্ধু
তিন বাঁহাতি বন্ধু অর্ডার দেবে বলে একটি ‘পাবে’ ওয়েটারের জন্য অপেক্ষা করছে৷ ছবি দেখে কি এটাই মনে হচ্ছে না? আসলে কিন্তু তা নয়! সাইনটি হচ্ছে জার্মানির মিউনিখ শহরের একটি পাতাল রেলের এস্কেলেটারের ‘‘ইমারজেন্সি ব্রেক’’-এর জন্য৷
ছবি: picture alliance/Markus C. Hurek
একেবারে স্পষ্ট সাইন
তবে কিছু সাইন দেখে একেবারে স্পষ্টই বোঝা যায় যে কি বলা হচ্ছে৷ যেমন এই সাইনটি৷ এতে করে সরাসরি বলা হচ্ছে, ‘‘এখানে কুকুরের টয়েলেট করা নিষিদ্ধ৷’’