ব্যাকটেরিয়ার যে অ্যান্টিবায়োটিক্স প্রতিরোধের ক্ষমতা জন্মাতে পারে, তা আগে থেকেই জানা ছিল৷ এখন বিজ্ঞানীরা দেখছেন, এই রেজিস্টান্ট বা প্রতিরোধে সক্ষম ব্যাকটেরিয়া অনেক তাড়াতাড়ি বংশবৃদ্ধি করে৷
বিজ্ঞাপন
এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াকে চার দিন ধরে মোট আট বার অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্ট দেন৷ প্রতিবার অ্যান্টিবায়োটিক্স দেবার সাথে সাথে এই ব্যাকটেরিয়ার তা প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ে, যা প্রত্যাশা করা গিয়েছিল৷
কিন্তু বিজ্ঞানীরা যা প্রত্যাশা করেননি, তা হলো এই যে, অ্যান্টিবায়োটিক্স রেজিস্টান্ট ব্যাকটেরিয়াগুলি এই অ্যান্টিবায়োটিক ট্রিটমেন্টের পর কী অসম্ভব গতিবেগের সঙ্গে বাড়বে – অর্থাৎ বংশবৃদ্ধি করবে৷ একটি ক্ষেত্রে আদত ব্যাকটেরিয়ার সমষ্টিগুলি বেড়ে তিনগুণ হয়ে দাঁড়ায়৷
এই গবেষণার ফলাফল সংক্রান্ত রিপোর্টটি ৩০শে জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখে ‘নেচার ইকোলজি অ্যান্ড এভোলিউশন' নামের পত্রিকাটিতে প্রকাশিত হয়৷ রিপোর্টটির মুখ্য রচয়িতা প্রফেসর রবার্ট বিয়ার্ডমোর পরে মন্তব্য করেন, ‘‘প্রায়ই শোনা যায়, ডারউইনের বিবর্তন বড় ধীর গতির; কিন্তু তার চেয়ে বেশি ভুল আর কিছু হতে পারে না – বিশেষ করে যখন ব্যাকটেরিয়া অ্যান্টিবায়োটিক্সের সংস্পর্শে আসে৷''
ওষুধের সাথে যেসব খাবার খাবেন না
অ্যান্টিবায়োটিক আর দুধ যে একসাথে খাওয়া ঠিক নয়, সেকথা অনেকেই জানেন৷ তবে এবার জেনে নিন এমন আরো অনেক ওষুধ ও খাবারের কথা, যেগুলো একসাথে খেলে শরীরেরে উপকার না হয়ে ক্ষতিও হতে পারে!
ছবি: Colourbox/Odilon Dimier/6PA/MAXPPP
গ্রেপফ্রুট আর ট্যাবলেট একসাথে নয়!
ওষুধকে পুরোপুরি কাজে লাগতে গ্রেপফ্রুট বা স্বাদে টক, বড় কমলাজাতীয় ফলের ভেষজ উপাদান অন্ত্র বা পেটের এনজাইমকে দমন করে বা বাধা দেয়৷ তাই ওষুধের সাথে গ্রেপফ্রুট না খাওয়াই স্রেয়৷ অর্থাৎ চিকিৎসা চলাকালীন গ্রেপফ্রুটকে একেবারে দূরে রাখুন৷
ছবি: Fotolia
কফি বা চায়ের সাথে আয়রন ট্যাবলেট নয়!
আয়রন ট্যাবলেটের কাজ হচ্ছে অন্ত্রের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করা৷ কিন্তু এই ট্যাবলেটের সাথে যদি চা বা কফি পান করা হয়, তাহলে তা মুত্রের মাধ্যমে তাড়াতাড়ি শরীর থেকে বেরিয়ে যায়৷ ফলে আয়রন ট্যাবলেটের উপকারিতাও কমে যায়৷ তাই রক্তস্বল্পতার কারণে যারা আয়রন ট্যাবলেট খান, তারা অবশ্যই ট্যাবলেট সেবনের দু’ঘণ্টা আগে অথবা পরে চা বা কফি পান করবেন৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTO
রক্তের ঘনত্ব কমানোর ওষুধের সাথে সবুজ সবজি নয়!
ব্রকোলির মতো সবুজ সবজি বা সালাদে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘কে’, যা রক্ত জমাট না বাঁধতে সাহায্য করে৷ তবে যারা রক্তের ঘনত্ব কমাতে, বিশেষ করে পা ফুলে যাওয়ার জন্য ওষুধ খান, তাদের বলছি, সেসব ওষুধের সাথে সবুজ সবজি খেলে ওষুধের উপকারিতা কমে যায়৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot
অ্যান্টিবায়োটিক আর দুধ একসাথে নয়!
অ্যান্টিবায়োটিকের বিশেষ কিছু উপাদান ক্যালশিয়ামের সাথে মিশে দানা বা জট হয়ে যায়৷ ফলে তা পেটের মাধ্যমে রক্তে প্রবেশ করতে পারে না৷ তাই অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে দুধ খাওয়া উচিত নয়৷ তবে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়ার দু’ণ্টা আগে বা পরে দুধ পানে বাধা নেই৷
ছবি: Colourbox
রেডিমেড মাংসের সাথে ডিপ্রেশনের ওষুধ নয়!
তৈরি মাংসের খাবারে, যা মূলত পশ্চিমা বিশ্বেই বেশি পাওয়া যায়, থাকে প্রচুর পরিমাণে টিরামিন৷ তাই যারা বিষণ্ণতায় ভোগেন তাদের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে এ সব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো৷ কারণ তা সুস্থ হওয়া দীর্ঘায়িত করে এবং এতে উচ্চরক্তচাপও হতে পারে৷
ছবি: imago/McPHOTO
চিপসের সাথে ‘কর্টিসোন’ নয়!
কর্টিসোন হলো এক ধরণের অ্যাড্রিনাল গ্রন্থিনিঃসৃত হরমোন৷ যখন কেউ কর্টিসোন সেবন করবেন, তখন কোনোভাবেই তার সঙ্গে চিপস খাবেন না, বিশেষ করে কর্টিসোন ওষুধটি যদি ত্বকের সমস্যার জন্য হয়ে থাকে৷ কারণ কর্টিসোনে থাকা ন্যাট্রিউম পেট ব্যথা ও গলা ব্যথার কারণ হতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Airio
সেরিয়ালের সাথে ‘প্যারাসিটামল’ খাবেন না
সেরিয়াল বা বিভিন্ন দানায় থাকা আঁশ ব্যথার ওষুধকে ভালোভাবে কাজ করতে তো দেয়ই না, বরং বাঁধার সৃষ্টি করে৷ অর্থাৎ পেট বা অন্ত্রকে দমন করে থাকে সেরিয়াল৷ তাই শষ্যদানা, আঁশ জাতীয় খাবার কোনো ব্যথার ওষুধের সাথে খাবেন না, কেমন?
ছবি: Colourbox/zemgalietis
অ্যাজমার ওষুধ আর গোলমরিচ একসাথে নয়!
যারা অ্যাজমা বা হাঁপানির ওষুধ সেবন করেন, তাদের গোলমরিচ না খাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ৷ কারণ গবেষণায় বলছে, গোলমরিচের ঝাঁঝ অ্যাজমার ওষুধের কর্মক্ষমতা কমিয়ে তার গতিও ধীর করে দেয়৷ তাই যাদের হাঁপানি আছে, তারা গোলমরিচ এড়িয়ে চলুন৷
ছবি: macroart - Fotolia.com
পরামর্শ
যে কোনো ওষুধ সেবন করার আগে ওষুধের ভালো-মন্দ দিকগুলো ডাক্তারের কাছে জেনে নিন এবংওষুধের সাথে থাকা ছোট্ট তথ্যপুস্তিকাটি ফেলে না দিয়ে মনোযোগ দিয়ে পড়ুন৷ ওষুধ সুস্থ করবে এটাই স্বাভাবিক, কিন্তু তার পাশ্বপ্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানুন৷ আপনার খাদ্যাভ্যাস যেন আপনার চিকিৎসার পথে বাধা সৃষ্টি না করে৷ এদিকে নজর রাখলেই তাড়াতাড়ি ও পুরোপুরি সুস্থ হওয়া সম্ভব৷
ছবি: Colourbox/Odilon Dimier/6PA/MAXPPP
9 ছবি1 | 9
হাই স্পিড এভোলিউশন
ব্যাকটেরিয়াদের তাদের ডিএনএ পুনর্বিন্যাস করার ক্ষমতা ‘‘চমকে দেওয়ার মতো'', বলেন অধ্যাপক বিয়ার্ডমোর৷ এর ফলে বিশেষ বিশেষ অ্যান্টিবায়োটিক মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে অকেজো হয়ে পড়তে পারে৷ ডিএনএ-র দ্রুত পরিবর্তন মানবদেহের কোষের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে, কিন্তু ই-কোলাই-এর মতো ব্যাকটেরিয়া দৃশ্যত তার ফলে নানাভাবে উপকৃত হয়৷
বিজ্ঞানীরা ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াকে ডক্সিসাইক্লিন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে ট্রিট করার পর সেগুলিকে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় জমিয়ে ফেলেন৷ এর পর সেই ব্যাকটেরিয়ার জিন সিকোয়েন্সিং করে দেখা হয়, তারা যে অ্যান্টিবায়োটিক্স প্রতিরোধের ক্ষমতা ধরে, তা কোনো ডিএনএ পরিবর্তন থেকে এসে থাকতে পারে৷
এই সব ডিএনএ পরিবর্তনের মধ্যে কিছু কিছু জেনেটিক পরিবর্তন বিজ্ঞানীদের অজ্ঞাত নয়৷ যেমন একটি প্রভাব হলো এই যে, ব্যাকটেরিয়া আরো বেশি ‘‘অ্যান্টিবায়োটিক পাম্প'' তৈরি করে৷ এগুলো হলো ডিএনএ-র সেই ধরনের অংশ, যেগুলি ব্যাকটেরিয়াল সেল বা কোষ থেকে ‘‘পাম্প'' করে অ্যান্টিবায়োটিক্স বার করে দেয়৷ এদের বলা হয় ‘‘পাম্প ডিএনএ''৷
অপরদিকে দেখা যায় যে, পরিবর্তিত ব্যাকটেরিয়াগুলির ডিএনএ-তে এমন কিছু অংশ অনুপস্থিত, যেগুলি একটি ‘‘সুপ্ত ভাইরাস''-এর অস্তিত্ব জানান দেয়৷ দৃশ্যত ব্যাকটেরিয়াগুলি অ্যান্টিবায়োটিক্স ট্রিটমেন্টের ফলে এই ‘‘ভাইরাল ডিএনএ'' আংশিকভাবে হারিয়েছে, যার ফলে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াগুলি আর নিজে থেকে ধ্বংস হতে পারছে না৷ অপরদিকে ‘‘পাম্প ডিএনএ'' বাড়ার ফলে তারা অ্যান্টিবায়োটিক্সের প্রভাব প্রতিরোধ করতে পারছে৷ অতএব তারা যথেচ্ছ বংশবৃদ্ধি করতে পারছে৷ কাজেই ই-কোলাই জেনোমের দু'টি অংশে একটি ‘‘বিবর্তনবাদী শক্তি''-র বিকাশ দেখছেন বিজ্ঞানীরা৷
ডিএনএ-র যত ব্যবহার
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ৷ কারণ স্বাস্থ্য, কৃষি, পরিবেশ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের অনেক ক্ষেত্রেই ডিএনএ-র ব্যবহার রয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger
ডিএনএ কী?
পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত অণু ডিএনএ যাকে বংশগতির বাহক বলা হয়৷ অর্থাৎ জীবদেহের গঠন ও ক্রিয়াকলাপ কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে তা এই ডিএনএ-র জিন বিন্যাসের ওপর নির্ভর করে৷
কৃষি
ডিএনএ ও জিন নিয়ে গবেষণা করে নতুন প্রজাতির উন্নত উদ্ভিদ বা ফসল উদ্ভাবন করা সম্ভব৷ বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা যেমন পাটের জীবনরহস্য উন্মোচন করেছেন৷ এর ফলে পাটের নতুন ও উন্নত জাত আবিষ্কার সম্ভব হবে৷ এছাড়া প্রায় পাঁচ শতাধিক উদ্ভিদের বিধ্বংসী রোগ সৃষ্টিকারী ছত্রাকের জীবনরহস্যও আবিষ্কার করেছেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা৷
ছবি: DW
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা
জিন প্রকৌশল এর মাধ্যমে বন্যা, খরা ও লবণ সহনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করা যায়৷ বাংলাদেশে ইতিমধ্যে ধানের এ ধরনের কিছু জাত উদ্ভাবিত হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাণিজ্য বাড়াতে
বাংলাদেশ প্রতি বছর চিংড়ি রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে৷ তবে মাঝেমধ্যে রপ্তানি করা চিংড়ি বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়৷ কারণ মাছে ক্ষতিকর ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি৷ এ ক্ষেত্রে একটি ডিএনএ ল্যাবরেটরি স্থাপন করে রপ্তানির আগেই চিংড়ির মান পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে৷
ছবি: dapd
খাবার
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর আরেক উদ্ভাবন জিএম খাবার৷ যদিও এর পক্ষ, বিপক্ষ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে৷
ছবি: Imago
রোগ নির্ণয়
ডিএনএ-র বিশেষ পরিবর্তন চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের রোগ নির্ণয় করা যায়৷
ছবি: Fotolia/kasto
পরিচয় শনাক্ত
বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে রানা প্লাজা ধসে নিহত অনেকের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে৷ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ‘ন্যাশনাল ফরেনসিক ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরি-তে এই পরীক্ষা হয়৷ আগুনে নিহত কয়েকজনের পরিচয়ও এভাবে শনাক্ত করা হয়েছে৷
ছবি: DW/M. Mamun
অপরাধী চিহ্নিত
উন্নত বিশ্বে অপরাধী চিহ্নিত করতে ডিএনএ বিশ্লেষণ এখন প্রায় নিয়মিত এক ঘটনা৷
ছবি: Fotolia/GrafiStart
পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণ
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডিএনএ প্রোফাইলিং ল্যাবরেটরিতে পিতৃত্ব-মাতৃত্ব নিরূপণে এখন পর্যন্ত ৯০৬টি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে সরকারি হিসেবে জানা গেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ওষুধ শিল্প
ফোর্বস ম্যাগাজিনের জরিপে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ক চাকরিই সবচেয়ে আকর্ষণীয়৷ বিশেষ করে ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসা বাড়াতে জীবপ্রযুক্তিকে অন্যতম প্রধান অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে৷
ছবি: Fotolia/Gernot Krautberger
10 ছবি1 | 10
আত্মনাশের বদলে বংশবৃদ্ধি
সাধারণত ব্যাকটেরিয়ারা নিজেদের ধ্বংস করে ফেলে একটি বিশেষ কারণে: এভাবে তারা কোনো জিনিসের উপরিভাগ জুড়ে তাদের ‘উপনিবেশ' গড়ে তুলতে পারে – বাথরুমের বেসিনে যেরকম স্বচ্ছ ও পাতলা স্তর পড়ে, যাকে ‘বায়োফিল্ম' বলা হয়৷
এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জলের মধ্যে সব পরীক্ষা করার ফলে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াগুলি তাদের বায়োফিল্ম তৈরির প্রবণতা ছেড়ে কোষ উৎপাদনের দিকে ঝুঁকেছে৷ ঠিক যেভাবে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়া শরীরের রক্তস্রোতে বাস ও বংশবৃদ্ধি করে৷
আরো একটি বস্তু প্রমাণ হয়েছে এই পরীক্ষা থেকে: ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে ড্রাগ রেজিস্টান্স বা ওষুধ প্রতিরোধের ক্ষমতার বিবর্তন বেশি ওষুধ – যেমন অ্যান্টিবায়োটিক্সের পুরো কোর্স – দিলে ঘটে না, বলে যারা মনে করেন, তারা ভুল করছেন৷ ‘হাই ডোসেজ'-এও ড্রাগ রেজিস্টান্স ঘটে৷
ফাবিয়ান স্মিড্ট/এসি
ব্যাকটেরিয়ার যে অ্যান্টিবায়োটিক্স প্রতিরোধের ক্ষমতা জন্মাতে পারে, সে কথা কি জানতেন?