আধুনিক যুগে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ বাড়ছে৷ সে ক্ষেত্রে রোগীর চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে৷ ফ্রান্সের এক কোম্পানি অভিনব উপায়ে এমন বিপদ এড়ানোর চেষ্টা করছে৷
বিজ্ঞাপন
গ্রিসে বেড়ানোর সময় খেরার্ড লেউ-এর স্ত্রী ইয়োকে-র স্ট্রোক হয়৷ তার উপর স্থানীয় হাসপাতালে গেলে তাঁর শরীরে সংক্রমণ ঘটে৷ ফলে চিকিৎসা আরো কঠিন হয়ে পড়ে৷ সেই পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে খেরার্ড বলেন, ‘‘স্ত্রীকে এক নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়৷ সেখানে তার শরীরে এক বিপজ্জনক অ্যান্টিবায়োটিক-প্রতিরোধক ব্যকটেরিয়া ধরা পড়ে৷ আশেপাশে আরও ৪ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন৷ সবাইকে কোয়ারেন্টাইন, অর্থাৎ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়৷ যদিও আমার স্ত্রীর ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত কোনো লক্ষণ ছিল না, সেই পরিস্থিতি তার জন্য অত্যন্ত কঠিন ছিল৷ পরিবার, বন্ধুবান্ধবের দেখা করা নিষেধ ছিল৷ অনেকেই তার কাছে যেতে ভয় পেতেন৷''
যে ব্যাকটেরিয়া বেশ কিছু অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তা জীবন বিপন্ন করতে পারে৷ বিশেষ করে যেসব রোগীর রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তাঁদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি অত্যন্ত বেশি৷ তখন সাধারণ চিকিৎসায় কাজ হয় না৷
গোটা বিশ্বে এই সমস্যা ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ছে বলে ডাক্তাররা সতর্ক করে দিচ্ছেন৷ সামগ্রিকভাবে অ্যান্টিবায়োটিকের মাত্রাতিরিক্ত প্রয়োগের ফলে এই সমস্যা বাড়ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন৷ সেইসঙ্গে হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতার নিম্ন মানও এর জন্য দায়ী৷ উটরেশ্ট বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের মার্ক বন্টেন বলেন, ‘‘এই সমস্যা এমন মাত্রা ধারণ করেছে যে, একাধিক ক্ষেত্রে বহুমুখী পদক্ষেপের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে৷ প্রথমত, অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার আরো যুক্তিসম্মত ও সীমিত রাখতে হবে৷ দ্বিতীয়ত, হাসপাতালে হাইজিন বা স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত মানদণ্ডের উন্নতি নিশ্চিত করতে হবে৷ তৃতীয়ত, এইসব ব্যাকটেরিয়ার মোকাবিলা করতে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক সৃষ্টি করতে হবে৷ কারণ, এই ব্যাকটেরিয়া চলে যাবে না৷''
ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণু থেকে সাবধান!
খালি চোখে দেখা না গেলেও পরিষ্কার, ঝকঝকে বাড়িতেও কিন্তু বাস করে অসংখ্য রোগ-জীবাণু৷ বাড়ির কোথায়, কেন বেশি জীবাণু থাকে আর এ সব থেকে সতর্ক থাকার উপায়ই বা কী? জানাচ্ছেন একজন মাইক্রো বাইয়োলজিস্ট৷
ছবি: Fotolia/drubig-photo
জীবাণু যেভাবে ঘরে ঢোকে
জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া বাড়িতে আসে বাড়ির মানুষের সাথে৷ তাছাড়া খাদ্যদ্রব্য তো রয়েছেই৷ খাবার-দাবারের সাথে খুব সহজেই জীবাণু ঘরে ঢুকে পড়ে৷ মাইক্রো বাইয়োলজিস্ট ড. মার্কুস এগার্ট জানান, প্রতিটি মানুষের শরীরে বাস করে প্রায় দেড় কেজি পরিমাণ জীবাণু বা ব্যাকটেরিয়া৷
ছবি: picture-alliance/Offside/S. Stacpoole
মুরগির মাংস
বাড়িতে বেশিরভাগ জীবাণুর জন্ম হয় রান্নাঘরে, বিভিন্ন খাবার থেকে৷ বিশেষ করে, মুরগির কাঁচা মাংস থাকে জীবাণুতে ভরা৷ তাই এই মাংসের সংস্পর্শে যেসব জিনিস আসে, সেখানেও জন্মায় ব্যাকটেরিয়া, যা বিভিন্ন রোগের জন্ম দিতে পারে৷ জানান প্রফেসর এগার্ট৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Büttner
রান্নাঘরের স্পঞ্জ নিয়মিত বদলাতে হবে
কিচেনে অবশ্য সবচেয়ে বেশি ব্যাকটেরিয়া থাকে বাসন ধোয়ার স্পঞ্জে৷ তাই প্রতিবার ব্যবহারের পর স্পঞ্জের পানি ভালো করে চিপে রাখুন৷ এবং প্রতি সপ্তাহে না হলে, দু’সপ্তাহ অন্তর অন্তর নতুন স্পঞ্জ ব্যবহার করুন৷
ছবি: Colourbox
গরম পানি দিয়ে ধুতে হবে
স্পঞ্জের সাথে বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করার অন্যান্য ন্যাকড়া বা ব্রাশও নিয়মিত বদলাতে হবে এবং এগুলি যতদিন ব্যবহার করবেন, ততদিন ব্যবহারের পর তা সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে৷ সম্ভব হলে ফুটন্ত পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে সব রকম ন্যাকড়া, স্পঞ্জ ও ব্রাশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
বাথরুম, টয়লেট
বাথরুম বা টয়লেটে রান্নাঘরের মতো অত বেশি জীবাণু না থালেও সেখানেও থাকে যথেষ্ট ব্যাকটেরিয়া৷ তবে মনে রাখবেন টয়লেট ব্যবহারের পর ফ্লাশ করার সময় অবশ্যই ঢাকনাটি বন্ধ করে দেবেন৷ তা না হলে জীবাণুগুলো চোখে, মুখে বা অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে যেতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Woitas
হাত ধোয়া খুবই জরুরি
বাইরে গেলে আমাদের হাতে কত কিছুই না লাগে৷ পরে সেই হাতের জীবাণুই আবার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে যায়৷ তাই বাড়িতে ঢুকেই প্রথম কাজ যেন হয়, সাবান দিয়ে ভালো করে হাত দু’টো ধোয়া৷
ছবি: picture alliance/dpa/C. Klose
কাপড় ধোয়া
সম্ভব হলে কাপড়-চোপড় গরম পানি দিয়ে ধোয়া উচিত৷ কাপড় ধোয়ার পানি যত গরম হবে ব্যাকটেরিয়া মরবে তত তাড়াতাড়ি৷
ছবি: Dron/Fotolia
আন্ডার গার্মেন্টস
গায়ের সাথে যেসব কাপড় লেগে থাকে, অর্থাৎ আান্ডার গার্মেন্টস বা অন্তর্বাস অবশ্যই গরম পানি দিয়ে ধোয়া উচিত৷ মেশিনে ধোয়ার সময়, এ সব কাপড়ের গায়ে কম তাপে ধোয়ার কথা লেখা থাকলেও গরম পানি দিয়ে ধোয়াই স্রেয়, জানান ড. এগার্ট৷ কারণ এক্ষেত্রে শুধু কাপড়ের সৌন্দর্য দেখলে চলবে না!
ছবি: Fotolia/Ammentorp
মনে রাখতে হবে
তবে সব জীবাণু বিপজ্জনক নয়৷ তাই বেশি ভয় পাওয়া বা বাড়াবাড়ির কিছু নেই বলেও জানান প্রফেসর মার্কুস এগার্ট৷ তাঁর মতে, জীবাণু সম্পর্কে সকলেরই ‘সচেতন’ থাকা প্রয়োজন, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P.Steuer
9 ছবি1 | 9
কয়েক কোটি বছর ধরে কিছু ব্যাকটেরিয়া প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে৷ কিন্তু ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতার বিকাশ কীভাবেঘটেছে, যার ফলে মানুষের রোগ হয়? ভিলেম ফান স্কাইক মনে করেন, ‘‘প্রকৃতি থেকেই প্রতিরোধ আসছে৷ এই রেজিস্টেন্স জিন কীভাবে মাটি বা পানির ব্যাকটেরিয়া থেকে মানুষের মধ্যে রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে প্রবেশ করে, তা আমাদের বুঝতে হবে৷ এখনো আমরা তা জানি না৷ সেটা জানতে পারলে আমরা অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতার প্রসার বন্ধ করার প্রক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারবো৷''
মলাশয় পর্যন্ত পৌঁছনোর আগেই যত দ্রুত সম্ভব শরীরকে অ্যান্টিবায়োটিক শুষে নিতে হবে৷ তার অবশিষ্ট কোনো অংশ সেখানে পৌঁছলে তা অনেক উপকারী আন্ত্রিক ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে৷ প্যারিসের দা ভোলতেরা ল্যাবের পিয়ের-আল্যাঁ বান্ডিনেলি বলেন, ‘‘মলাশয়ের মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সব ব্যাকটেরিয়া থাকে৷ এমনকি আমরা বলি যে, মানুষের শরীরে কোষের তুলনায় কোলোনের মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বেশি৷ সেই সব ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলে অ্যান্টিবায়োটিকের অবশিষ্ট অংশ আন্ত্রিক কাঠামো তছনছ করে দেয়৷'' এমন অঘটন এড়াতে ফ্রান্সের এই কোম্পানি ক্ষুদ্র ক্যাপসুল তৈরি করেছে৷ অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গেই সেটি খেতে হয়৷ সেই ক্যাপসুল অত্যন্ত ধীরে গলতে থাকে এবং মলাশায়ে পৌঁছানোর আগেই অ্যান্টিবায়োটিকের অবশিষ্ট অংশকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়৷ বান্ডিনেলি বলেন, ‘‘এটা স্পঞ্জের মতো কাজ করে৷ অ্যান্টিবায়োটিকের সঙ্গে সেটি খেতে হয়৷ মলাশয়ে পৌঁছে সেটি অ্যান্টিবায়োটিকের সব অবশিষ্ট অংশ শুষে নেয়, যাতে সেগুলি আন্ত্রিক কাঠামোয় কোনো বিঘ্ন ঘটাতে না পারে৷''
এই ক্যাপসুল এখনো পর্যন্ত দু-দুটি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে৷
এটা পড়ার পর আপনি আর ‘হ্যান্ডশেক’ করবেন না
হ্যান্ডশেক বা করমর্দনকে আপনি কাউকে অভ্যর্থনা জানানোর বন্ধুত্বপূর্ণ কিংবা পেশাদার একটা উপায় মনে করেন, তাই না? আরেকবার ভাবুন৷ পশ্চিমা সংস্কৃতিতে রোগজীবাণু ছড়ানোর অন্যতম উপায় হচ্ছে হ্যান্ডশেক৷
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez
প্রাচীন প্রথা
দু’হাজারের বছরের বেশি সময় ধরে হ্যান্ডশেক চালু রয়েছে৷ প্রাচীন গ্রিক এই বোতলটি তার এক প্রমাণ৷ তবে গ্রিকরা তখন হ্যান্ডশেকের সঙ্গে রোগের সম্পর্কের বিষয়টি ধরতে পারেনি৷ তারা মনে করতো রোগবালাই ‘হিউমারের’ সঙ্গে সম্পর্কিত এবং ঈশ্বর প্রদত্ত শাস্তি৷
ছবি: picture alliance/Prisma Archiv
শান্তির ইঙ্গিত
ধারণা করা হয় হ্যান্ডশেকের শুরুটা হয়েছিল দু’জন মানুষের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক স্থাপনের উপায় হিসেবে৷ প্রাচীনকালে ডান হাত হ্যান্ডশেকের ভঙ্গিতে এগিয়ে দিয়ে বোঝানো যেত মানুষটি কোনো অস্ত্র প্রদর্শন করছে না৷ তাছাড়া হ্যান্ডশেক মানুষের মস্তিষ্কে ‘অক্সিটোকিন’ হরমোন নিঃসরণ করে যা দু’জন মানুষের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে গড়তে সহায়ক৷ তবে গবেষকরা বলছেন, এভাবে জীবাণুও ছড়ায়৷
ছবি: Fotolia/Sergiy Serdyuk
ভিন্ন ভিন্ন অর্থ
সংস্কৃতিভেদে হ্যান্ডশেকের অর্থও ভিন্ন হয়৷ পশ্চিমা সমাজে দৃঢ় করমর্দনের মাধ্যমে ব্যক্তির ইতিবাচক এবং সুদৃঢ় মনোভাব ফুটিয়ে তোলা হয়৷ তবে পূর্বের সংস্কৃতিতে নরম করমর্দনের প্রচলন বেশি৷ সেখানে দৃঢ় করমর্দনকে আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা হিসেবে বিবেচনা করা হয়৷
ছবি: imago/imagebroker
নোংরা অভ্যাস
হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে সর্দি বা জ্বরের ভাইরাস, পাঁচড়ার জীবাণু, এবং স্ট্যাফিলোকোকাসের মতো ব্যাকটেরিয়া একজনের দেহ থেকে অন্যের দেহে পৌঁছায়৷ আপনি নিজেই ভাবুন, সর্দি হলে কী করেন? হাত দিয়ে নাক পরিষ্কার করেন, তাই না? এভাবেই নাক দিয়ে হাতে যায় ভাইরাস, সেখান থেকে হ্যান্ডশেকের মাধ্যমে অন্যের দেহে৷ এরপরও কি হ্যান্ডশেক করতে মন চাইছে আপনার?
ছবি: picture alliance/dpa/Centers for Disease Control and Prevention/MCT /Landov
পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপায়
হ্যান্ডশেকসহ বিভিন্ন উপায়ে আসা রোগজীবাণু থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হচ্ছে নিয়মিত গরম পানি এবং সাবান ব্যবহার করে হাত ধোয়া৷ তবে অনেক মানুষই এব্যাপারে সচেতন নয়৷ এক জরিপ বলছে, গণশৌচাগার ব্যবহারের পর মাত্র দুই-তৃতীয়াংশ ব্যক্তি পানি দিয়ে হাত পরিষ্কার করেন৷
ছবি: BilderBox
হ্যান্ডশেক ফোবিয়া
বিল গেটস এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিরা করমর্দন করেন না৷ সম্ভবত রোগজীবাণু থেকে দূরে থাকতে এই চেষ্টা তাঁদের৷ তবে একান্ত যদি হ্যান্ডশেক থেকে রেহাই পাওয়ার উপায় না থাকে, তাহলে সঙ্গে রাখতে পারেন ‘হ্যান্ড-সেনিটাইজার৷’ তাহলে প্রতিবার করমর্দনের পর এটি ব্যবহার করে হাত জীবাণুমুক্ত করতে পারবেন৷
ছবি: Fotolia/koszivu
হ্যান্ডশেকের বিকল্প
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় স্বাস্থ্যসেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানগুলোতে হ্যান্ডশেক নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে৷ বিশেষ করে হাসপাতালগুলো হতে পারে করমর্দন মুক্ত স্থান৷ আর হ্যান্ডশেকের সঙ্গে রোগ-বালাইয়ের সম্পর্ক নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতাও ক্রমশ বাড়ছে৷ ফলে ‘অ্যান্টি-হ্যান্ডশেক’ মুভমেন্টের প্রতি সমর্থন বাড়ছে৷ কিন্তু হ্যান্ডশেকের বিকল্প কি হতে পারে?
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez
মুঠো সম্ভাষণ
গবেষকরা বলছেন, করমর্দনের বদলে হাত মুঠো করে উপরের ছবির মতো করে সম্ভাষণ বা অভিবাদন জানালে নাকি রোগজীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কা ৯০ শতাংশ কমে যায়৷ প্রশ্ন হচ্ছে, এই পন্থা কি আপনার পছন্দ?