1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাপেক শীর্ষবৈঠক

৯ অক্টোবর ২০১৩

ইন্দোনেশিয়ার বালিতে ২১ সদস্য বিশিষ্ট এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনমিক ফোরাম বা অ্যাপেক-এর শীর্ষ বৈঠকে খাদ্য, জ্বালানি ও পানি নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে – বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তন ও জনসংখ্যাবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে৷

Indonesian President Susilo Bambang Yudhoyono speaks at the Asia-Pacific Economic Cooperation (APEC) Leaders' Press Conference and Joint Declaration session in Nusa Dua, on the Indonesian resort island of Bali October 8, 2013. Also pictured are (L-R): Peru's Foreign Affairs Minister Eda Rivas, Malaysia's Prime Minister Najib Razak, Japan's Prime Minister Shinzo Abe, Chile's President Sebastian Pinera, Australia's Prime Minister Tony Abbott and Russia's President Vladimir Putin. REUTERS/Beawiharta (INDONESIA - Tags: POLITICS)
ছবি: Reuters

অ্যাপেক নেতৃবর্গ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে স্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন৷ এক্ষেত্রে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের গুরুত্ব সম্পর্কে তাঁরা পুরোমাত্রায় সচেতন৷ গোষ্ঠীর চূড়ান্ত ঘোষণায় বলা হয়: ‘‘আমাদের এলাকা যখন ক্রমেই আরো বেশি করে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির মোটর হয়ে উঠছে, তখন আমাদের কর্তব্য হলো ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে পরিবর্তিত চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রগতির পথকে প্রশস্ততর করা৷''

বাণিজ্য ছাড়া প্রবৃদ্ধি সম্ভব নয়৷ তাই এপেক গোষ্ঠী পথঘাট, সেতু ও বন্দর সংক্রান্ত অবকাঠামোর উন্নতির জন্য সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে, যাতে গোটা অঞ্চলে পণ্যের আদানপ্রদান আরো স্বচ্ছল হতে পারে৷ যুগপৎ এটা বলে নেওয়া দরকার যে, অ্যাপেক-এর ঘোষণার অধিকাংশ যথারীতি বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্যের পুনরাবৃত্তি৷ যেমন ‘ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ' নামধারী মুক্ত বাণিজ্য আলাপ-আলোচনাও অব্যাহত রয়েছে৷

অ্যাপেক বৈঠকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরিছবি: Reuters

সেই দিয়াউ, এবং সেই সেনকাকু

অ্যাপেক-এর সব আলাপ-আলোচনার পিছনেই প্রচ্ছন্ন ছায়া হিসেবে কাজ করছে চীন ও জাপানের মধ্যে সম্পর্কের তিক্ততা, বিশেষ করে বেইজিং-কে আগামী বছরের এপেক শীর্ষবৈঠকের অকুস্থল হিসেবে ঘোষণা করার পর৷ পূর্ব চীন সাগরে যে দ্বীপগুলিকে চীনা ভাষায় দিয়াউ এবং জাপানি ভাষায় সেনকাকু বলা হয়, সেগুলিকে ঘিরে চীন ও জাপানের মধ্যে অচলাবস্থার কোনো অন্ত আপাতত দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না৷

দক্ষিণ চীন সাগরেও বেইজিং-এর রাজ্যাঞ্চল সংক্রান্ত সুবিশাল সব দাবিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে চীনের বিরোধ ঘনাচ্ছে৷ এ বিষয়টি নিয়েও বালিতে আলোচনা হয়েছে বলে প্রকাশ৷ দশ সদস্যবিশিষ্ট আসিয়ান গোষ্ঠী রাজ্যাঞ্চল সংক্রান্ত বিরোধ সমাধানে একটি যৌথ নীতির আশায় রয়েছে – জাপানও যার সপক্ষে৷ কিন্তু বেইজিং এই সংক্রান্ত আলাপ-আলোচনা শীঘ্র সমাপ্ত করার কোনো প্রয়োজন দেখে না৷

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলো বামবাং ইয়োধোইয়োনোর সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কেরিছবি: Reuters

কোড অফ কনডাক্ট ও ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ

কাজেই ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট তৃতীয় বেনিনো আকিনো বলেছেন, তথাকথিত কোড অফ কনডাক্ট শীঘ্রই স্বাক্ষরিত হতে চলেছে, এমন কথা তিনি বলেননি৷ তবে সকলেই তা নিয়ে ভাবছে৷ এবং সেটাকেই তিনি প্রগতি বলে মনে করেন৷ ওদিকে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে যে চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং-এর সঙ্গে তাঁর ক্ষণিকের সাক্ষাতে করমর্দনের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, বেইজিং সে সম্পর্কে মন্তব্য করেছে: দুই দেশের মধ্যে গভীর উত্তেজনা প্রশমনের জন্য শুধু করমর্দন করলে চলবে না৷

অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছর শেষ হবার আগেই মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিটি সম্পন্ন করার জন্য যথাশক্তি প্রয়োগ করছে এবং তার ফলে বেইজিং-এর বিরাগভাজনও হয়েছে, কেননা চীনের দৃষ্টিতে এই ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ, যা-তে ‘‘গোপন আলাপ-আলোচনা, এবং নিম্ন শুল্ক ছাড়িয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মুক্ত বাণিজ্যের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, (এই চুক্তি) এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের অর্থনীতির উপর মার্কিন আধিপত্যের পথে একটি নতুন পদক্ষেপ হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিগণিত হচ্ছে৷''

চায়না ডেইলির প্রথম পাতায় এপেক শীর্ষবৈঠকে শি চিনপিং-এর বক্তৃতা সংক্রান্ত রিপোর্টে এই মন্তব্য প্রকাশিত হয়৷

এসি/ডিজি (এপি, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ