1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাপে বর্জ্য বেচাকেনা

৮ জানুয়ারি ২০২০

ইন্দোনেশিয়ায় শুরু হয়েছে মোবাইলের অ্যাাপ দিয়ে বর্জ্য বেচাকেনা৷ ব্যবহারকারীরা ঘরের বর্জ্য আলাদা করে সে অনুযায়ী তথ্য অ্যাপে দেবেন৷ আর সংগ্রাহকরা তা সংগ্রহ করে নেবেন৷ বিনিময়ে অর্থ পাবেন সাধারণ ব্যবহারকারীরা৷

Global Ideas Lebensmittelverschwendung Kampagne in London
ছবি: picture-alliance/empics/J. Hordle

নিকেন প্রাস্তিউই এখন আর বাড়ির উঠোনে ময়লা পোড়ান না৷ গত মাসে তিনি ঘরের সব বর্জ্য আলাদা করেছেন নিজ হাতে৷ বর্জ্য কোনটা কী রকম, যেমন কোনটা প্লাস্টিক, কোনটা কাগজ কিংবা ক্যান- এভাবে আলাদা করেছেন৷ প্রথম প্রথম কাজটি অস্বাস্থ্যকর লাগত নিকেনের কাছে৷

কিন্তু রাপেল নামের একটি স্মার্টফোন অ্যাপ ব্যবহার করার পর থেকে তাঁর ধারণা পাল্টেছে৷ অ্যাপ ব্যবহার খুব সহজ৷ প্রথমে বর্জ্য আলাদা করতে হবে৷ এরপর ব্যবহারকারী বর্জ্যের ছবি তুলবেন, এর বিবরণ দেবেন এবং বর্জ্যের আনুমানিক ওজন মাপবেন৷ পরে সে অনুযায়ী ব্যবহারকারী অর্থ পাবেন৷

নিকেন বলেন, ‘‘সাধারণ মেথরদের থেকে বেশি টাকা পাওয়া যায়৷ যতটুকু ব্যবহৃত তেল ১০০০ রূপিয়া হতে মেথরদের কাছে বিক্রি করতাম, রাপেলে  তা থেকে ২০০০ রূপিয়াহ পাওয়া যায়৷ প্রথম প্রথম আলাদা করাটা একটা ঝামেলার কাজ মনে হত, কিন্তু এখন অভ্যাস  হয়ে গেছে৷ ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে সবাই বর্জ্য নিয়ে সচেতন, যেমন আমার দাদিমার বাড়ির আশেপাশে থেকে বর্জ্য ঘরে এনে তা রাপেলকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে৷''

যারা বর্জ্য সংগ্রহ করেন তাদের জীবনও সহজ করে দিয়েছে রাপেল অ্যাপলিকেশনটি৷ এখন তারা কেবল তাদের স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে জেনে যান কোথায় বর্জ্য আছে৷

অ্যাপে বর্জ্যের ডেটা দেয়া হলে, কাছাকাছি থাকা বর্জ্য সংগ্রাহকরা গিয়ে উপস্থিত হবেন৷ সংগ্রাহকেরা আরেকটি মাপ দেবেন এবং এর দাম ঠিক করে দেবেন৷ অ্যাপ ব্যবহারকারীরা যে কোনো সময় এই অর্থ তুলে নিতে পারেন৷

মোবাইলের অ্যাপে বর্জ্য বিক্রি

05:15

This browser does not support the video element.

ইন্দ্রি বলেন, ‘‘অ্যাপ থেকে আমরা নানা বোনাস পাই৷ আমাদের সেবার মানের ওপরও বোনাস দিয়ে উৎসাহিত করা হয়৷ তাই আমাদের সেবার মান বাড়ানোর চাপ থাকে সবসময়৷ রাপেল ব্যবহার করার আগে প্রতিমাসে বর্জ্যব্যাংকে আমরা বর্জ্য বিক্রি করতাম৷ এখন রাপেলের কারণে এত বর্জ্য আসে যে সপ্তাহে-দুই সপ্তাহে বিক্রি করে দিই৷''

ইন্দ্রি তাঁর গ্রামের একটি বর্জ্য ব্যাংকেরও ব্যবস্থাপক৷ তিনি বর্জ্যের জন্য এখন আর গ্রামে ঘুরে বেড়ান না৷ বরং তাঁর কাছে এখন বর্জ্য বিক্রি করার হিড়িক লেগে যায়৷

যোগজাকার্তায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা একটি বড় সমস্যা৷ যোগজাকার্তা ছাড়াও স্লেমান ও বানটুল জেলার বর্জ্য কেন্দ্রীয়ভাবে জড়ো করা হয় পিউঙ্গানের একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পয়েন্টে৷

সাধারণ মানুষও বর্জ্য আলাদা করার যে আইন তা ঠিকমত অনুসরণ করেন না৷

প্রযুক্তির সহায়তায় এ সমস্যা সমাধানেই রাপেলের জন্ম৷ ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় রাপেল ‘মানুষ পরিবেশের জন্য'-এর সংক্ষিপ্তরূপ৷ এর উদ্যোক্তা সেকতি মুলাতসিহ বলেন, ‘‘২০১৫ সালে যোগজাকার্তায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি মূল্যায়ন করি আমরা৷ তখন দেখলাম যে, মানুষ তাদের ঘরবাড়িতে বর্জ্য ঠিকই আলাদা করছেন, কিন্তু সংগ্রহ করার সময় তা আবার মিশিয়ে ফেলা হচ্ছে৷ এতে মানুষ হতাশ হচ্ছেন৷ তারা আলাদা একটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সিস্টেম চান৷ সেখান থেকেই এই আইডিয়া আসে৷ আমরা তাই এই বর্জ্য কিনি৷ বর্জ্য তৈরিকে আমরা উৎসাহ দিচ্ছি না৷ বরং যারা কষ্ট করে একে আলাদা করেন তাদের পুরষ্কৃত করছি৷ এতে তারা খুশি হচ্ছেন৷ তাই এই উদ্যোগও সফল হয়েছে৷''
রাপেলে দুই হাজার সাতশ নিবন্ধিত ব্যবহারকারী৷ তবে নিয়মিত ব্যবহার করছেন মাত্র তিনশ জন৷ এখানে সরকারের সহযোগিতা ও জনগণের সচেতনতা দরকার৷ 

আন্দ্রেয়াস পামুংকাস ত্রি/জেডএ 

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ