1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকাকে আবার রাশিয়ার হুঁশিয়ারি

২৫ জুন ২০২৪

অধিকৃত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণে অনেক মানুষ হতাহত হওয়ার পর রাশিয়া অ্যামেরিকাকে সরাসরি দায়ী করেছে৷ ইউক্রেনের জন্য এমন সামরিক মদতের কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো৷

রাশিয়ার  প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন
অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে সেভাস্টোপলের উপর ইউক্রেনের হামলার পর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিলো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের প্রশাসনছবি: Vyacheslav Prokofyev/ITAR-TASS/IMAGO

ইউক্রেনের উপর হামলার শুরু থেকেই রাশিয়া বার বার লাল সীমা স্থির করে দিয়েছে৷ ফলে ইউক্রেনকে মদতের বিষয়ে পশ্চিমা বিশ্ব প্রাথমিক দ্বিধা-দ্বন্দ্ব কাটিয়ে কিছুটা দেরিতে হলেও একের পর এক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে৷ কোনো বারই রাশিয়া তার হুমকি কার্যকর করেনি৷ এমনকি কিছু ক্ষেত্রে পশ্চিমা অস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে হামলার ছাড়পত্রও সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেনি৷ এবার অধিকৃত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে সেভাস্টোপলের উপর ইউক্রেনের হামলার পর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে হুঁশিয়ারি দিলো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের প্রশাসন৷ মস্কোয় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে তলব করে এমন পদক্ষেপের পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে৷

মস্কোর সূত্র অনুযায়ী, রোববার মার্কিন অ্যাটাকএম্স মিসাইল ব্যবহার করে ক্রাইমিায় হামলার জের ধরে কমপক্ষে চার জন নিরীহ মানুষ নিহত ও ১৫১ জন আহত হয়েছে৷ তবে সেই হামলাকে ঘিরে অনেক অস্পষ্টতা রয়েছে৷ রাশিয়া সেই হামলা প্রতিহত করতে গেলে এক সৈকতের উপর মিসাইল ভেঙে পড়ে বলে কিছু সূত্র দাবি করে৷ উল্লেখ্য, কাছেই রাশিয়ার একাধিক সামরিক স্থাপনা রয়েছে৷ খোদ রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রলায়ের সূত্র অনুযায়ী রাশিয়া ইউক্রেন থেকে পাঁচটি অ্যাটাকএম্স মিসাইলের মধ্যে চারটি ধ্বংস করা হয়েছে

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ ইউক্রেনকে মদতের জন্য অ্যামেরিকা ও ইউরোপের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং রাশিয়ার শিশুদের মৃত্যুর জন্য দায়ী করেন৷ রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন ট্রেসি-কে তলব করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘হাইব্রিড' যুদ্ধ চালানোর অভিযোগ করেছে৷ মস্কোর অভিযোগ, শুধু মিসাইল সরবরাহ নয়, লক্ষ্যবস্তু স্থির করার ক্ষেত্রেও ইউক্রেনকে সরাসরি মদত দিচ্ছে অ্যামেরিকা৷ রাশিয়া সেই পদক্ষেপের উচিত জবাব দেবে বলে জানিয়েছে৷

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, মার্কিন প্রশাসন যে কোনো নিরীহ মানুষের প্রাণহানি সম্পর্কে দুঃখ প্রকাশ করে৷ সার্বভৌমত্ব রক্ষার খাতিরেই ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া হচ্ছে বলে তিনি স্পষ্ট করে দেন৷ তিনি মনে করিয়ে দেন, ক্রাইমিয়াও ইউক্রেনের স্বীকৃত ভূখণ্ড৷ পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর চার্লি ডিৎস বলেন, লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে ইউক্রেন নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেয় এবং স্বাধীনভাবে নিজস্ব সামরিক অভিযান পরিচালনা করে৷

ইউক্রেন তথা পশ্চিমা বিশ্বের উপর চাপ বাড়াতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিন আগেই ‘ট্যাকটিকাল' পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন৷ এমনকি অ্যামেরিকা ও সহযোগী দেশগুলির ভূখণ্ডের কাছে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনেরও প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন তিনি৷ ইউক্রেনের জন্য পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক সহায়তার জবাবে উত্তর কোরিয়াকেও অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনার উল্লেখ করেছেন পুটিন৷

এসবি/এসিবি (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য