অ্যামেরিকাকে আশ্বস্ত করতে চাইল যুক্তরাজ্য। বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব জানালেন, তাঁদের ব্রেক্সিট প্রস্তাবে উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি বিঘ্নিত হবে না।
বিজ্ঞাপন
হুমকি দিয়েছিলেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেন। তিনি টুইট করে জানিয়েছিলেন, গুড ফ্রাইডে চুক্তি উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি এনেছে। ব্রেক্সিটের নামে সেই চুক্তি বানচাল করা যাবে না। ভবিষ্যতে অ্যামেরিকা ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে বাণিজ্যচুক্তির ভিত্তিই হবে, গুড ফ্রাইডে এগ্রিমেন্টকে মানা বা না মানা।
ওয়াশিংটনে মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেওকে পাশে নিয়ে ডমিনিক রাব জানিয়েছেন, গুড ফ্রাইডে চুক্তি হলো চূড়ান্ত বিষয়। তাকে বানচাল করার কোনো প্রশ্নই নেই।
সিএনএন-কে রাব বলেছেন, ''গুড ফ্রাইডে চুক্তি নিয়ে কোনো অসুবিধা নেই। আমাদের এ ব্যাপারে কোনো দ্বিধা নেই। চুক্তি বিঘ্নিত হবে না। আপনারা আশ্বস্ত থাকতে পারেন, আমরা চুক্তি পালনে দায়বদ্ধ। ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে আমরা কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আমরা আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে হার্ড বর্ডার নীতি নিয়ে চলব।''
জার্মান শিল্পীর চোখে ‘রাজনীতি ও উসকানি’
শিল্পী জাক টিলি থ্রি-ডি ক্যারিকেচারের জন্য বিখ্যাত৷ বিশাল সব বিদ্রুপাত্মক ছবি জন্ম নেয় তার এবং তার সতীর্থদের ত্রি-মাত্রিক শিল্পদক্ষতায়৷ জার্মান এই শিল্পীর ছবির প্রদর্শনী চলছে ড্যুসেলডর্ফ শহরে৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Greenpeace/Maria Feck
মাস্টার অব থ্রি-ডি ক্যারিকেচার
জাক টিলির ছবি আঁকার মাধ্যম ত্রি-মাত্রিক প্রযুক্তি৷ এর মাধ্যমে যে ছবিগুলো হয় তাতে এক বা দু’জন ব্যক্তি শুধু নয়, তাদের ব্যক্তিত্ব, পরিপার্শ্ব এবং দর্শনও ফুটে ওঠে৷
ছবি: Laura Thorenz
ব্রেক্সিট-দৈত্য
জাক টিলি ড্যুসেলডর্ফের প্রদর্শনীর শিরোনাম দিয়েছেন, ‘‘রাজনীতি এবং উসকানি’’৷ ডাব্লল এক্সএল, অর্থাৎ খুব বড় আকারের ক্যারিকেচারের মেলা বসেছে সেখানে৷ মূলত এবারের কার্নিভাল শোভাযাত্রার চরিত্রগুলোর থ্রি-ডি ভার্সনই স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে৷ এই ছবিতে ব্রেক্সিটের কুশীলব দেখানো হয়েছে দৈত্যের মতো করে৷
ছবি: DW/G. Reucher
বড় হও, ট্রাম্প
২০১৫ সালের জলবায়ু সম্মেলনে প্যারিস চুক্তি থেকে সরে দাঁড়ান ডনাল্ড ট্রাম্প৷ তাকে তাই শিশু বানিয়ে ডায়পার পরিয়ে দিয়েছেন টিলি৷ নিয়ে ২০১৭ সালে হামবুর্গে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে পরিবেশবাদীদের বিক্ষোভ মিছিলেও দেখা গেছে সাত মিটার উচ্চতার এই শিল্পকর্ম৷
ছবি: Greenpeace/Maria Feck
‘গ্রেট’ গ্রেটা
সুইডেনের কিশোরী পরিবেশবাদী গ্রেটা ট্যুনবার্গের সমর্থক জাক টিলি৷ ২০১৯ সালে তাকে নিয়ে এই ক্যারিকেচারটি এমনভাবে এঁকেছেন যাতে দেখেই বোঝা যায় আগের প্রজন্মের ওপর রেগেমেগে তাদের কান ধরে বলছেন, ‘‘পরিবেশ বিপর্যয় রুখতে এবার একটা কিছু করো!’’
ছবি: Jacques Tilly
ম্যার্কেল এবং শরণার্থীর স্রোত
এটি আঁকা হয়েছিল ২০১৬ সালে৷ সিরিয়া থেকে ১০ লাখের মতো শরণার্থী এসে জার্মানির রাজনীতিতে তখন তোলপাড়ের জন্ম দিয়েছে৷ তাদের স্বাগত জানিয়ে ম্যার্কেল তখন মহাবিপদে৷ ছবিতে তাই জার্মান চ্যান্সেলর শরণার্থীদের স্রোতে উল্টাতে থাকা নৌকার যাত্রী৷ প্রায় উল্টে যাওয়া নৌকাতেও কিন্তু অবিচল তিনি!
ছবি: DW/G. Reucher
শুঁয়োপোকা খায় গণতন্ত্র
এই ছবিতে ফুটে উঠেছে কিছু দেশে গণতন্ত্রের দুরবস্থা৷ গণতন্ত্র এখানে একটা সবুজ পাতা আর তা খেয়ে শেষ করছে পুটিন, এর্দোয়ান, অর্বান, কাচিনস্কি এবং ট্রাম্পের শুঁয়োপোকা৷
ছবি: Jacques Tilly
ব্লন্ড ইজ দ্য নিউ ব্রাউন
জার্মানিতে ধূসর হচ্ছে ডানপন্থি দল বা ভাবাদর্শের রং৷ জাক টিলি সবসময়ই ডানপন্থিদের সমালোচনামুখর৷ এই ছবিতে বিশ্বের বড় এবং আলোচিত ডানপন্থিদের তুলে ধরেছেন ‘ব্লন্ড ইজ দ্য নিউ ব্রাউন’ নামে৷ হিটলারের পাশে তাই সগর্বে দাঁড়াতে দেখা যাচ্ছে নেদারল্যান্ডসের গ্যের্ড ভিল্ডার্স, ফ্রান্সের লঁ পেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের ডনাল্ড ট্রাম্পকে৷ তিনজনেরই সোনালি চুল৷
ছবি: Hojabr Riahi
বিদ্রুপ অমর
২০১৫ সালে ফ্রান্সের বিদ্রুপ ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো-তে হামলার পর সবার মনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে৷ জার্মানিতে কার্নিভাল শোভাযাত্রায় বিদ্রুপাত্মক ছবি, প্ল্যাকার্ড কমতে থাকে৷ ভীত জনগণ অভয় এবং হামলাকারীদের উদ্দেশ্যে তাই জাক টিলির বার্তা, ‘‘বিদ্রুপকে হত্যা করা যায় না৷’’
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Gambarini
8 ছবি1 | 8
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে গত সোমবার ইন্টারনেট মার্কেট বিল পাস হয়েছে। এই বিল ইইউ উইথড্রয়াল চুক্তির সরাসরি বিরোধী। এ নিয়ে ইইউ-র দেশগুলি ক্ষুব্ধ। ইইউ-র তরফে ব্রেক্সিট নিয়ে যাঁরা যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কথা বলছেন,তাঁরাও মনে করছেন, এই ধরনের বিল উত্তর আয়ারল্যান্ডে শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে। উত্তর আয়ারল্যান্ড যুক্তরাজ্যের অঙ্গ, কিন্তু রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড ইইউ-তে থাকছে। সে ক্ষেত্রে উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ডের হার্ড বর্ডার তৈরি হবে। কিন্তু গুড ফ্রাইডে চুক্তিতে বলা রয়েছে, ওপেন বর্ডার থাকবে।
যুক্তরাজ্যের পাঁচজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীও ইইউ উইথড্রয়াল চুক্তি ভাঙা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু রাব সব দায় ইইউ-র ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইইউ বিষয়টির রাজনীতিকরণ করছে। সে জন্যই গুড ফ্রাইডে চুক্তি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আয়ারল্যান্ডের প্রভাব বরাবরই আছে বলে যুক্তরাজ্যের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। কারণ, অ্যামেরিকার সাড়ে তিন কোটি মানুষ আদতে আয়ারল্যান্ড থেকে গেছেন। আইরিশ-অ্যামেরিকান রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও আয়ারল্যান্ড ঘনিষ্ঠ যোগ রাখে।