অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়াকে হুঁশিয়ারি দিলেন উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন কিম ইয়ো জং।
বিজ্ঞাপন
মার্কিন শীর্ষ কূটনীতিক ও সামরিক কর্তারা সিওলে আসার মুখেই অ্যামেরিকা ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রবল সমালোচনায় কিম ইয়ো জংয়ের।
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তে মার্কিন ও দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়া হয়েছে। তারপরেই মুখ খুলেছেন কিম ইয়ো জং। তিনি বলেছেন, ''আমি মার্কিন প্রশাসনকে সাবধান করে দিচ্ছি, তারা যেন সমুদ্রপার থেকে এসে আমাদের দেশে গোলাবারুদের গন্ধ ছড়াবার চেষ্টা না করে। যদি তারা আগামী চার বছর নিশ্চিন্তে ঘুমোতে চায়, তা হলে তারা যেন এই ধরনের কাজকর্ম থেকে বিরত থাকে।''
কিম জং উনের রহস্যময়ী বোন সম্পর্কে যা জানেন না
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ পরিষদের বিকল্প সদস্য হয়েছেন কিম জং উনের বোন কিম ইয়ো জং৷ দেশের সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী পরিষদের সদস্য হলেন উত্তর কোরিয়ার নেতার বোন৷ জং উনের এই রহস্যময়ী বোন সম্পর্কে কতটা জানেন আপনি?
ছবি: picture-alliance/dpa/Jiji Press/M. Matsutani
বোনদের ধারাবাহিকতা
দেশটির প্রয়াত নেতা কিম জং ইল ক্ষমতায় থাকাকালীন নিজের বোন কিম কিয়ং হি কে এই পদে অভিষিক্ত করেছিলেন৷ আর জং উনের বোন কিম ইয়ো-জং তার ফুপুর স্থলাভিষিক্ত হয়ে দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর বিকল্প সদস্য হলেন৷ তাঁর ফুফুরও বেশ প্রভাব ছিল পলিটব্যুরোতে৷
ছবি: picture alliance/dpa/Jiji Press
পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য
কিম জং ইল এর সাত সন্তানের মধ্যে ইয়ো জং কনিষ্ঠ এবং জং উনের ছোট বোন৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jiji Press/M. Matsutani
পড়ালেখা
কিম ইয়ো জং এর পড়ালেখার শুরু বাড়িতে থেকে৷ পরে ভাই জং উনের সঙ্গে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নের কাছে একটি স্কুলে পড়ালেখা করেছেন৷ এরপর উত্তর কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন তিনি৷ এর অল্প কিছুদিন পর পশ্চিম ইউরোপে গিয়ে কয়েকটি কোর্স করেন৷
ছবি: picture-alliance/Kyodo
রাজনীতিতে প্রথম অংশগ্রহণ
কিম ইয়ো জংকে প্রথম দেখা যায় ২০১০ সালে ওয়ার্কার্স পার্টির তৃতীয় সম্মেলনে৷ সেখানে তাঁকে বাবার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap/North Korean Central TV
২০১২ সাল থেকে গুরুত্বপূর্ণ পদে
২০১২ সালে জাতীয় প্রতিরক্ষা কমিশনের অধীনে কিম জং উনের সফরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি৷ ২০১৪ সালের অক্টোবরে কিম জং উনের চিকিৎসা চলাকালীন রাষ্ট্রক্ষমতা তাঁর হাতে ছিল বলে জানা যায়৷ একই বছরের নভেম্বরে ইয়ো জংকে ওয়ার্কার্স পার্টির প্রচারণা ও আন্দোলন বিভাগের উপ-পরিচালক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Ahn Young-joon
কালো তালিকাভুক্ত
২০১৭ সালের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ২৮ বছর বয়সি ইয়োকে উত্তর কোরিয়ার আরও কয়েকজন কর্মকর্তাসহ কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/Ahn Young-joon
6 ছবি1 | 6
মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং ডিফেন্স সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন সিওলে পা দেয়ার একদিন আগে কিম উয়ো জং এই কড়া বিবৃতি দিলেন। সিওল থেকে ব্লিংকেন ও লয়েড জাপানেও যাবেন। কিমের মন্তব্য থেকে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সিওলে ব্লিংকেন ও লয়েড দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার বিষয়েও কথা বলবেন। সে জন্যই আগাম হুমকি দিয়ে রাখলেন কিম উয়ো জং।
সোমবার হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র বলেন, তারা উত্তর কোরিয়ার নেতাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তা সফল হয়নি।