1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকাকে হুমকি চীনের প্রেসিডেন্টের

১১ নভেম্বর ২০২১

নাম না করে অ্যামেরিকাকে হুমকি দিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বললেন, ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের উত্তেজনা ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।ছবি: Li Xueren/Xinhua/picture alliance

চীনের প্রেসিডেন্টের দাবি, মতাদর্শগত লাইনে বা ছোট কোনো ভৌগোলিক এলাকাকে বেছে নিয়ে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু এটা সফল হবে না। শি জিনপিং এশিয়া-প্যাসিফিক ইকনমিক কো-অপারেশন সামিটের ভার্চুয়াল বিজনেস সামিটে এই মন্তব্য করেন। সম্প্রতি তাইওয়ান ও এশিয়া-প্যাসিফিক নিয়ে অ্যামেরিকার সঙ্গে চীনের বিরোধ তুঙ্গে উঠেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শি এই কথা বলেছেন।

তিনি বলেছেন, এশিয়া-প্যাসিফিক এলাকাকে ঠান্ডা যুদ্ধের সময়ের বিরোধের মধ্যে ফেলা ঠিক হবে না, সেটা উচিতও নয়।

শি আর যা বলেছেন

চীনের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তারা এশিয়া-প্যাসিফিক এলাকার উন্নয়নে দায়বদ্ধ। এই অঞ্চলের আর্থিক উন্নয়নে চীন সাহায্য করবে। তিনি জানিয়েছেন, করোনার টিকা যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলি পায়, সেজন্য সকলকে চেষ্টা করতে হবে।

গ্লাসগোয় সদ্যসমাপ্ত কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনে পরিবেশ বাঁচাতে অ্যামেরিকা ও চীন যে উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা নিয়েছে শি তারও উল্লেখ করেন।

তাইওয়ান নিয়ে অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ছবি: Andy Wong/AP/dpa/picture alliance

এশিয়া-প্যাসিফিকে উত্তেজনা

তাইওয়ান নিয়ে সম্প্রতি অ্যামেরিকা ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তাইওয়ানকে রক্ষা করার দায় অ্যামেরিকার আছে। তাইওয়ানও চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক রাজনৈতিক চাপের মুখে পড়েছে বলে বাইডেন জানিয়েছেন।

বাইডেনও জানিয়েছেন, তিনি চীনের সঙ্গে ঠান্ডা যুদ্ধ চান না। চীনের উপর চাপ দিতে অ্যামেরিকা গত সেপ্টেম্বরে কোয়াডের বৈঠক করেছে। কোয়াড মানে অ্যামেরিকা, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতকে নিয়ে গঠিত গোষ্ঠী।

জলবায়ু নিয়ে সমঝোতা

বিশ্বের পরিবেশ বাঁচাতে অ্যামেরিকা ও চীন সমঝোতার রাস্তায় এসেছে। সম্প্রতি কপ২৬ শীর্ষ সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট যোগ দেননি। তানিয়ে সোচ্চার ছিলেন বাইডেন। কিন্তু এরপর দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হয়। জাতিসংঘে চীনের জলবায়ু সংক্রান্ত দূত ঝেনহুয়া জানিয়েছেন, প্যারিস সম্মেলনে নেয়া দূষণ কমানোর লক্ষ্য ও বাস্তব পরিস্থিতির মধ্যে বিস্তর ফারাক আছে। তাই অ্যামেরিকা ও চীন একটি উচ্চাকাঙ্খী পরিকল্পনা নেয়ার বিষয়ে একমত হয়েছে। তাই দুই দেশ নির্দিষ্ট কিছু ব্যবস্থা নেবে। 

দুই দেশের মধ্যে ক্ষতিকর মিথেন গ্যাস কমানো নিয়ে চুক্তি হয়েছে। ২০৩৫ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কয়লার ব্যবহার বন্ধ করা নিয়েও একমত হয়েছে দুই দেশ। তার আগেই কয়লার ব্যবহার দ্রুত কমানো হবে। মার্কিন বিশেষ দূত জন কেরি বলেছেন, চীন ও অ্যামেরিকা দুই দেশই দূষণ কমাবার জন্য দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা নেবে। .

জিএইচ/এসজি (এএফপি, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ