পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে, অ্যামেরিকার সব নাগরিককে দ্রুত ইউক্রেন ছেড়ে আসতে বললেন বাইডেন।
বিজ্ঞাপন
বাইডেন জানিয়েছেন, মস্কো যদি ইউক্রেন আক্রমণ করে, তাহলে অ্যামেরিকার নাগরিকদের উদ্ধার করতে তিনি সেনা পাঠাতে পারবেন না। বাইডেন বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে।
বাইডেন এই কথা বলেছেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার বিপুল সেনা মোতায়েন এবং বেলারুশে সামরিক ড্রিলের পরিপ্রেক্ষিতে। ইউক্রেন অভিযোগ করেছে, রাশিয়া যে কোনো মুহূর্তে তাদের আক্রমণ করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে অ্যামেরিকা ও ন্যাটো ইউরোপে সেনা মোতায়েন করেছে। পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তেজনাপূর্ণ হচ্ছে। এরপর বাইডেনের কথায় প্রশ্ন জেগেছে, তাহলে যুদ্ধ কি আসন্ন?
বেলারুশে রাশিয়ার মিলিটারি ড্রিল শুরু
ঠান্ডা যুদ্ধের পর বেলারুশে এত সেনা মোতায়েন করেনি রাশিয়া। বেলারুশের সেনার সঙ্গে রাশিয়ার সেনার যৌথ ড্রিল শুরু হয়েছে। বাড়ছে উত্তেজনা।
এই সামরিক ড্রিল চলবে ১০ দিন ধরে। ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার বিপুল সেনা মোতায়েনের পরিপ্রেক্ষিতে এই ড্রিল রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ।
ছবি: Viktor Tolochko/Sputnik/dpa/picture alliance
ন্যাটোর বক্তব্য
ন্যাটো জানিয়েছে, ঠান্ডা যুদ্ধের পর বেলারুশে কখনো এত বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়নি। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ ছিল বেলারুশ। এখন তারা রাশিয়ার বন্ধু দেশ। ড্রিলে সুখোই যুদ্ধবিমানও অংশ নিয়েছে।
ছবি: Viktor Tolochko/Sputnik/dpa/picture alliance
উদ্বিগ্ন পেন্টাগন
এই সামরিক ড্রিল নিয়ে অ্যামেরিকা খুবই উদ্বিগ্ন। পেন্টাগন জানিয়েছে, অ্যামেরিকার চেয়ারম্যান অফ জয়েন্ট চিফ মার্ক মিলি বেলারুশের মেজর জেনারেল গুলেভিচকে ফোন করেছিলেন। তবে কী কথা হয়েছে, তা তারা গোপন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ছবি: Vadim Yakubyonok/BelTA/REUTERS
পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সীমান্তে
রাশিয়া জানিয়েছে, বেলারুশের সঙ্গে পোল্যান্ড ও ইউক্রেন সীমান্তের কাছে পাঁচটি জায়গায় ১০ দিন ধরে ড্রিল হবে। এই ড্রিলে ক্ষেপণাস্ত্রও আছে।
এই ড্রিলে মোট কতজন সেনা অংশ নেবে, পরমাণু অস্ত্র নিয়ে ড্রিল হবে কি না, তা রাশিয়া জানায়নি। তবে প্রচুর অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ড্রিল হচ্ছে।
ছবি: Gavriil Grigorov/TASS/dpa/picture alliance
ইউক্রেনের পাল্টা ড্রিল
বেলারুশে রাশিয়ার সামরিক ড্রিলের পাল্টা হিসাবে ইউক্রেনও সামরিক ড্রিল শুরু করে দিয়েছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাদের ড্রিল চলবে।
ছবি: Efrem Lukatsky/AP Photo/picture alliance
পোল্যান্ডে আরো ব্রিটিশ সেনা
এই পরিস্থিতিতে পোল্যান্ডে আরো ৩৫০ জন ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। আগে থেকেই সেখানে ১৫০ জন ব্রিটিশ সেনা ছিল। এছাড়া এক হাজার সেনাকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দরকার হলেই তাদের পোল্যান্ড পাঠানো হবে।
ছবি: Andrew Matthews/PA Images/imago images
7 ছবি1 | 7
বাইডেন কী বলেছেন?
এনবিসি নিউজকে এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করছি। এবার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। পরিস্থিতি যে কোনো দিকে মোড় নিতে পারে।
হাতে অস্ত্র তুলে নিচ্ছেন ইউক্রেনের মানুষ
পূর্ব ইউক্রেনের সীমান্তে চরম উত্তেজনা। রাশিয়া এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে সীমান্তে। ইউক্রেনও যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।
ছবি: AP/picture alliance
তৈরি ইউক্রেনের সেনা
রাশিয়ার সীমান্তে সেনা মোতায়েন রেখেছে ইউক্রেন। তৈরি ট্যাঙ্কবাহিনী।
ছবি: Efrem Lukatsky/AP Photo/picture alliance
যুদ্ধের মহড়া
যুদ্ধ শুরু হয়নি। কিন্তু দুই পক্ষই সেনা মহড়া চালাচ্ছে। তৈরি করা হয়েছে বাঙ্কারও।
ছবি: Wolfgang Schwan/AA/picture alliance
দফায় দফায় বৈঠক
রাজধানীতে দফায় দফায় বৈঠক করছেন সেনা অফিসাররা। তৈরি হচ্ছে রণকৌশল।
ছবি: Pavlo Bagmut/Photoshot/picture alliance
তৈরি ন্যাটো এবং অ্যামেরিকা
পূর্ব ইউরোপে সেনা সাড়ে আট হাজার সেনা মোতায়েন করেছে অ্যামেরিকা। ন্যাটোও যুদ্ধবিমান এবং যুদ্ধ জাহাজ তৈরি রেখেছে।
ইউক্রেনকে ন্যাটোয় যুক্ত করা নিয়ে আপত্তি রাশিয়ার। সেখান থেকেই উত্তেজনার শুরু। চাপ তৈরি করতে ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখ সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। তারপর থেকেই উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে।
বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পরিস্থিতি খারাপ হলে কি অ্যামেরিকার নাগরিকদের উদ্ধার করতে সেনা পাঠাবেন? বাইডেন জানিয়ে দেন, সেই সম্ভাবনা নেই। অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার সেনা যদি একে অন্যের উপর গুলি চালাতে শুরু করে, তাহলে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। আমরা এখন আলাদা বিশ্বে বসবাস করছি। আগের অবস্থা আর নেই।