বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন করোনার টিকার জন্য হাহুতাশ করছে, তখন অ্যামেরিকায় ভ্যাকসিনের কোনো অভাব নেই৷ প্রতিটি রাজ্যের হাতেই যথেষ্ট সংখ্যক টিকা আছে৷ কিন্তু অনেকেই এখনো টিকা নিতে ভয় পাচ্ছেন৷ এই পরিস্থিতিতে কেউ টিকা নিলে তাকে ১০০ ডলার করে দিতে রাজ্যগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন জো বাইডেন৷

অ্যামেরিকায় একটি বড় অংশের মানুষ টিকা নিতে চাইছেন না৷ টিকা বিরোধী আন্দোলনও হয়েছে দেশে৷ তারই মধ্যে নতুন করে করোনার প্রকোপ ছড়াতে শুরু করেছে দেশে৷ ডেল্টা সংস্করণ দ্রুত ছড়াতে শুরু করেছে৷ ফলে দ্রুত টিকাকরণ শেষ করা দরকার৷ এই পরিস্থিতিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন মনে করেন সকলের স্বার্থে টিকার বদলে অর্থ দেয়া যেতে পারে৷ এখনো যারা টিকা নেননি, তারা টিকা নিলেই ১০০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব তার৷ এজন্য আলাদা ফান্ডেরও প্রয়োজন হবে না৷ অ্যামেরিকার অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কোভিড রিলিফের যে ফান্ড তৈরি করা হয়েছিল, সেখান থেকেই এই অর্থ দেওয়া সম্ভব৷

বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, যারা এরমধ্যেই টিকা নিয়ে ফেলেছেন, তারা নিশ্চয়ই ক্ষুব্ধ হবেন৷ কিন্তু দেশের মানুষের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন৷ সবাই টিকা না নিলে করোনা রোখা সম্ভব নয়৷ স্বাভাবিক জীবনেও ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়৷ ফলে এখনো টিকা নিতে যারা অনিচ্ছুক, তাদের জন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া উচিত৷

ক্রোগার গ্রসারি চেন আগেই এ ধরনের একটি উদ্যোগ নিয়েছিল৷ সেখানে দেখা গেছে ওই সংস্থা ১০০ ডলার দেওয়ায় টিকা নেওয়ার প্রবণতা ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল৷ সেই একই কাজ জাতীয় স্তরে করার ভেবেছেন বাইডেন৷

ফেডারেল কর্মচারীদের জন্যও নতুন নিয়ম ঘোষণা করা হয়েছে৷ যারা এখনো পর্যন্ত টিকা নেননি, তাদের সপ্তাহে একবার করে টেস্ট করাতে হবে৷ সর্বক্ষণ মাস্ক পরে কাজ করতে হবে৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং যাতায়াতের ক্ষেত্রে একাধিক নিয়ম এবং নিষেধ মানতে হবে৷ বাইডেনের ধারণা, এই নিয়মও মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করবে৷

পেন্টাগনকেও একই কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট৷ সেনাবাহিনীতেও সকলে যাতে দ্রুত টিকা নেন, তা দেখতে হবে৷ পেন্টাগন তার জবাবও দিয়েছে৷

সব মিলিয়ে অ্যামেরিকার ৬০ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিনের দুইটি ডোজ পেয়ে গেছেন৷ বাকি ৪০ শতাংশ যাতে দ্রুত টিকা নিতে পারে, তার জন্যই এই ব্যবস্থা৷

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)