অ্যামেরিকায় আবার শপিং মলে গুলি। ইন্ডিয়ানার গ্রিনউডে শপিং মলে ঢুকে বন্দুকধারী গুলি চালায়। তিনজন মারা যান। আহত বহু।
শপিং মলে বন্দুকধারীর গুলির পর দ্রুত সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। ছবি: Kelly Wilkinson/The Indianapolis Star via AP/dpa/picture alliance
বিজ্ঞাপন
ইন্ডিয়ানা পুলিশের তরফ থেকে উপ পুলিশ প্রধান ক্রিস বেইলি জানিয়েছেন, ''আবার বন্দুকধারীর তাণ্ডব ও মানুষ মারা যাওয়ায় আমরা ব্যথিত। গ্রিনউড হলো ইন্ডায়ানাপোলিসের শহরতলির এলাকা। এখানে ৬০ হাজার মানুষের বাস।''
ইন্ডিয়ানার গভর্নর এরিক হলকম্ব বলেছেন, তিনি পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
যা জানা যাচ্ছে
গ্রিনউড পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, মৃতদের মধ্যে বন্দুকধারীও আছে। মলে একজন সশস্ত্র মানুষ ছিলেন। তিনিই গুলি করে বন্দুকধারীকে মেরেছেন।
গ্রিনউডের পুলিশপ্রধান জিম আইসন জানিয়েছেন, বন্দুকধারী একটি রাইফেল হাতে নিয়ে গ্রিনউড পার্ক মলের প্রধান প্রবেশদ্বার দিয়ে ঢোকে এবং তারপর ফুড কোর্টে গিয়ে গুলি চালাতে থাকে। ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় সময় ছয়টার সময়। আইসন জানিয়েছেন, তারা আরো এক বন্দুকধারীার খোঁজ করছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কেউ থাকলে তারা যেন পুলিশের কাছে এসে বয়ান দেন।
একের পর বন্দুক হামলায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র৷ অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে ‘মার্চ ফর লাইভস’-এ অংশ নিলেন হাজারো মার্কিন নাগরিক৷
ছবি: REUTERS
সন্তানকে আঁকড়ে
টেক্সাসের ইউভ্যালডিতে প্রাথমিক স্কুলে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালায় এক বন্দুকধারী৷ তাতে প্রাণ হারায় ১৮ শিশু-সহ ২১ জন৷ সন্তানকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা ৷ মিছিলেও দেখা গেল সেই ছবি৷ সন্তানের হাত আঁকড়ে অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবি জানালেন মা-বাবারাও৷
ছবি: REUTERS
প্রতিবাদের স্বর
২০১৮ সালে ডগলাসে বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন এক্স গঞ্জালেজ৷ ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’-এর সহ-উদ্যোক্তা তিনি৷ ওয়াশিংটন ডিসিসহ সারা যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছেন তারা৷
ছবি: REUTERS
চোখে জল, লক্ষ্যে অবিচল
সমাবেশে পা মিলিয়েছেন গঞ্জালেজ৷ বক্তৃতাও দিয়েছেন৷ সেই সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি তিনি৷ এতগুলো মানুষকে হারিয়ে ফেলার দুঃসহ স্মৃতি আজো তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে ৷
ছবি: REUTERS
হাজারো মানুষের প্রতিবাদ
নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন ব্রিজে হাজারো মানুষ হাঁটলেন অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে৷ ফ্লোরিডার পার্কল্যান্ডেও দেখা গেছে এমন সমাবেশ৷
ছবি: REUTERS
ন্যাশনাল মলে..
মানুষের মাথা ছাড়া আর কিছু দেখা যাচ্ছিল না ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল মলের সমাবেশে৷ ১১ জুনের বিপুল সমাবেশে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের আপামর সাধারণ নাগরিকেরা৷
ছবি: REUTERS
স্মৃতির ভার
খোসে বাদিও নামে এক ব্যক্তি বন্দুক হামলায় নিহত শিশুদের ছবির সামনে প্রতিবাদের পতাকা জুড়ে দিচ্ছেন৷ ছবিটি টেক্সাসের অস্টিনের৷
ছবি: REUTERS
ঝরে যাওয়া প্রাণ
স্কুলে পড়াশোনা করতে এসে আর বাড়ি ফেরেনি ইভা মিরেলেস৷ তার মতো অনেক শিশুই আর বেঁচে নেই৷ ক্রুশ আর গোলাপে তাদের স্মরণ করা হয়েছে৷
ছবি: REUTERS
ফিরবে না বোন
তুতো বোন জ্যাকি কাজারেস আর ফেরেনি৷ টেক্সাসের ইউভ্যালডির স্কুলে নিহত পড়ুয়াদের মধ্যে সে-ও একজন৷ বড় বোন ক্রিস্টেলা মেনডোজা বোনের হাসিখুশি মুহূর্তের একটি ছবি হাতে নিয়ে কঠোর অস্ত্র আইনের দাবিতে অস্টিনের সমাবেশে অংশ নিয়েছেন৷
ছবি: REUTERS
বুলেট নয়, বই চাই
যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষকরাও অস্ত্র আইন কঠোর করার দাবিতে পথে নেমেছেন৷ ‘অ্যামেরিকান ফেডারেশন অফ টিচার্স’-এর প্রেসিডেন্ট রান্ডি ওয়েইনগার্টেন৷ ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’-এ বক্তব্য রেখেছেন তিনিও৷
ছবি: Joshua Roberts/REUTERS
পুলিশের সঙ্গে
সমাবেশে এক প্রতিবাদীর সঙ্গে কথা বলছেন এক পুলিশকর্মী৷ বিপুল সমাবেশে যাতে কোনোরকম গন্ডগোল না হয়, সে দিকে কড়া দৃষ্টি ছিল প্রশাসনের৷ অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিজেও অস্ত্র আইন কঠোর করার পক্ষেই৷
ছবি: Ken Cedeno/REUTERS
আর কেউ যেন সন্তান না হারায়
পার্কল্যান্ডে বন্দুক হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল জোয়াকিন অলিভার৷ তার বাবা ম্যানুয়েল অলিভার এবং মা প্যাট্রিসিয়াও প্রতিবাদ মঞ্চে ছিলেন৷ এছাড়াও ছিলেন ডগলাসে বন্দুক হামলায় বেঁচে যাওয়া ডেভিড হগ৷
ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS
ফুলে স্মৃতিচারণ
অজস্র পড়ুয়া পা মেলান এই সমাবেশে৷ তেমনই নিহত পড়ুয়াদের স্মৃতিতে সারি সারি ফুলের মাধ্যমে পড়ুয়াদের স্মৃতিচারণ করা হয়েছে৷ তেমনভাবেই অজস্র নোটবুক, ভেঙে যাওয়া পেনসিলের টুকরো রেখেও স্মরণ করা হয়েছে পড়ুয়াদের৷
ছবি: Allison Bailey/NurPhoto/IMAGO
শিশু হত্যা ও বন্দুক
এক ব্যক্তির হাতে একটি পোস্টার ছিল৷ তাতে একটি বন্দুকের ছবি৷ বন্দুকের পাশে লেখা ‘বেবি কিলার’ অর্থাৎ শিশু হত্যাকারী৷
ছবি: Jonathan Ernst/REUTERS
13 ছবি1 | 13
২২ বছর বয়সি বন্দুকধারী
আইসন বলেছেন, বন্দুকধারীর বয়স ২২ বছর। সে বেআইনি অস্ত্র নিয়ে মলে ঢুকেছিল। তার দাবি, আসল হিরো হলেন সেই মানুষটি, যিনি আইনসঙ্গতভাবে অস্ত্র নিয়ে ফুডকোর্টে খেতে গিয়েছিলেন এবং বন্দুকধারী গুলি চালানো শুরু করতেই তিনিও গুলি চালান। সেই গুলিতে বন্দুকধারী মারা যায়।
মে থেকে শুরু
গত মে থেকে অ্যামেরিকায় একের পর এক গুলিচালনার ঘটনা ঘটছে। বাফালোর দোকানে এক তরুণ বন্দুকধারী গুলি চালিয়ে ১০ জনকে হত্যা করে। টেক্সাসে বন্দুকধারী স্কুলে গুলি চালিয়ে ১৯ জন বাচ্চা-সহ ২১ জনকে হত্যা করেছিল। জুলাইতে হাইল্যান্ড পার্কে সমবেত জনতার উপর গুলি চালায় বন্দুকধারী।
একের পর এক গুলিচালনার ঘটনার পর অ্যামেরিকায় অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইন কড়া করার দাবি উঠেছে। কিন্তু এর উল্টোদিকেও প্রচুর মানুষ আছেন, যারা চান, অস্ত্র আইন যেন কড়া না হয়। অভিযোগ, রিপাবলিকান পার্লামেন্ট সদস্যদের উপর বন্দুক-লবির বিপুল প্রভাব আছে। তাই মার্কিন কংগ্রেসে অস্ত্র আইন কড়া করার প্রয়াস বারবার বানচাল হয়ে যায়।