1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘অ্যামেরিকা আবার ফিরে আসবে'

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ইউরোপের সংঘাতের প্রেক্ষাপটে প্রাক্তন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশা প্রকাশ করেছেন৷ মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে বিভাজন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে৷

USA Rede Präsident Donald Trump
ছবি: Getty Images/AFP/B. Smialowski

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অ্যামেরিকার সহযোগীদের সঙ্গে কী পরিমাণ ব্যবধান সৃষ্টি করেছেন, তার স্পষ্ট পরিচয় পাওয়া গেল সপ্তাহান্তে, মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে৷ ট্রাম্প নিজে আসেননি, পাঠিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স-কে৷ শুক্রবার বাভেরিয়ার বিধানসভা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি ৪৮তম মার্কিন প্রেসিডেন্টের শুভেচ্ছাবার্তা উচ্চারণ করার পর করতালির বদলে শীতল নীরবতা শোনা গেছে৷ চারদিনের ইউরোপ সফরে পেন্স প্রায় সব প্রশ্নেই ট্রাম্প প্রশাসনের একতরফা নীতি জোরালোভাবে তুলে ধরেন এবং সহযোগীদের তা মেনে চলার প্রচ্ছন্ন ‘নির্দেশ' দেন৷ অথচ ইরান, ভেনেজুয়েলা থেকে শুরু করে পরমাণু অস্ত্র প্রতিযোগিতা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতি মানতে নারাজ সহযোগীরা৷

এর আগে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ সফরে মাইক পেন্স ইরানের উপর একতরফা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে সওয়াল করেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিরুদ্ধে তা অমান্য করার অভিযোগ করেন৷ ইইউ এখনো ইরানের সঙ্গে বাণিজ্য চালিয়ে যাওয়ায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷ ভেনেজুয়েলার কংগ্রেস নেতা হুয়ান গুইয়াদো-কে সে দেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেনে নেওয়ার জন্যও চাপ সৃষ্টি করেন৷ উল্লেখ্য, ইইউ গুইয়াদো-কে শুধু অন্তর্বর্তীকালীন নেতা হিসেবে মেনে নিয়ে সে দেশে নির্বাচনের ডাক দিয়েছে৷

শনিবার জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল মিউনিখে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক কাঠামো মেনে চলার পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন৷ তাঁর মতে, বিশেষ করে বর্তমানে অসংখ্য সংকটের প্রেক্ষাপটে এই সব কাঠামো মেনে চলা আরও জরুরি হয়ে উঠেছে৷ অর্থাৎ ডোনাল্ড ট্রাম্প-এর খামখেয়ালী ‘একলা চলো রে' নীতির সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান তুলে ধরলেন ম্যার্কেল৷ অ্যামেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে আইএনএফ চুক্তি বাতিল করার বদলে চীনকেও তাতে শামিল করার পক্ষে সওয়াল করেন জার্মান চ্যান্সেলর৷ বলা বাহুল্য, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স ম্যার্কেল-এর বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন৷

ট্রাম্প প্রশাসন সম্পর্কে যত বৈরি মনোভাব সৃষ্টি হোক না কেন, অ্যামেরিকার সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে আশার আলো দেখালেন সে দেশের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন৷ তিনি বলেন, ট্রাম্প-এর কার্যকাল শেষ হলে আবার সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে৷ তাঁর ভাষায়, ‘অ্যামেরিকা উইল বি ব্যাক এগেন'৷ এমন বার্তা শুনে অতিথি অভ্যাগতরা উঠে দাঁড়িয়ে করতালি দেন৷

এসবি/জেডএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ