সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অ্যামেরিকাকে সাহায্য করেছে কুর্দিরা৷ এবার কুর্দিদের বিরুদ্ধে তুরস্কের লড়াইয়ে অ্যামেরিকা কি কুর্দিদের পাশে দাঁড়াবে?
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic
বিজ্ঞাপন
পরিস্থিতি ক্রমশই জটিল হচ্ছে৷ উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আফরিনে আরো সৈন্য পাঠিয়েছে তুরস্ক৷ তুরস্কের রাষ্ট্রপতি রেচেপ তাইয়েপ এর্দোয়ান জানিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান জারি থাকবে৷ কিন্তু প্রশ্ন হলো, জঙ্গি কারা?
উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদেরতেমন কোনো উপস্থিতি নেই৷ অঞ্চলটি মূলত কুর্দি বাহিনীর দখলে৷ সিরিয়া, ইরান এবং ইরাকের সীমান্ত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে স্বাধীনতার লড়াই চালাচ্ছে কুর্দিরা৷ তাদের লক্ষ্য অবিভক্ত কুর্দিস্তান তৈরি করা৷ দীর্ঘদিন ধরে এই কুর্দি আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে তুরস্ক, ইরাক এবং ইরানের রাষ্ট্রশক্তির৷ বহু ভয়াবহ রক্তক্ষয়ের ঘটনাও ঘটেছে৷ কিন্তু মনে রাখা দরকার, দীর্ঘ সেই সংঘর্ষে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর মতো শক্তির উপস্থিতি ছিল না৷ কুর্দিদের সঙ্গে রাষ্ট্রশক্তির লড়াইও একটি আঞ্চলিক সমস্যা হিসেবেই দেখতো বিশ্বের অন্যান্য দেশ৷ পরিস্থিতি বদলে যায়, সিরিয়া এবং ইরাকের একটি বিস্তীর্ণ অঞ্চল আইএস জঙ্গিরা দখল করে নেওয়ার পর৷ অ্যামেরিকাসহ ন্যাটোর বিভিন্ন দেশ আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামে৷ বস্তুত, সেই লড়াইয়ে অ্যামেরিকা কুর্দি বিদ্রোহীদেরও সাহায্য করে৷ কারণ, কুর্দিরা আইএস-কে তাদের অন্যতম শত্রু বলে মনে করে৷ সিরিয়ার মাটিতে আইএস-কে আটকাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তথাকথিত সশস্ত্র কুর্দিরা৷ ন্যাটো বাহিনীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে তারা লড়াই চালিয়েছিল৷ এখনো সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চলে ন্যাটোর তৈরি ক্যাম্পে কুর্দিরা থাকছেন এবং লড়াই করছেন৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই তুরস্ক আফরিনে সৈন্য পাঠানোয় এবং নতুন করে যুদ্ধ শুরু করায় কুর্দিরা প্রশ্ন তুলেছে, কেন এই অবস্থায় অ্যামেরিকা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না? কেন সৈন্য পাঠিয়ে কুর্দিদের সাহায্য করছে না অ্যামেরিকা?
যুদ্ধে নারী, নারী যোদ্ধা
২০১৪ সালের গ্রীষ্মে ইসলামিক স্টেট উত্তর ইরাকের ইয়াজিদি এলাকাগুলি দখল করে৷ হাজার হাজার ইয়াজিদি মহিলা ও কিশোরীকে ধরে নিয়ে গিয়ে দাসী হিসেবে রাখা হয় ও ধর্ষণ করা হয়৷ আজ সেই ইয়াজিদি নারীরাই সন্ত্রাসবাদিদের বিরুদ্ধে লড়ছেন৷
ছবি: Reuters/A. Jadallah
শত্রুর খোঁজ
শত্রু বাইরে কোথাও - কুর্দি নারী যোদ্ধা হাসেবা নৌজাদ ইরাকের মোসুল শহরের কাছে চোখে দুরবিন লাগিয়ে ‘ফ্রন্ট লাইন’ পরখ করে দেখছেন৷ কুর্দ এলাকা ও আইএস নিয়ন্ত্রিত এলাকার মধ্যে সীমারেখা হলো এই ফ্রন্ট৷ কুর্দিরা ইরাকি সামরিক বাহিনীর সহযোগিতায় ক্রমেই আরো এগিয়ে যাচ্ছে, পিছু হটছে ইসলামিক স্টেট৷
ছবি: Reuters/A. Jadallah
গুপ্তপ্রতিরোধের ভ্যানগার্ড
শত্রু নজরে পড়েছে, এবার তাদের দিকে গুলি চালানো হবে৷ হাসেবা নৌজাদ দেখাচ্ছেন কোনদিকে; আসেমা দাহির (ডান দিক থেকে তৃতীয়) ও অন্যান্য ইয়াজিদি নারী যোদ্ধারা নিশানা ঠিক করছেন৷ শুধুমাত্র বিমান থেকে আইএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে লাভ নেই৷ তাই ইয়াজিদি আর কুর্দ মহিলাদের নিয়ে রণক্ষেত্রে এই ভ্যানগার্ড তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Jadallah
সুন্দর দেখানোর জন্য নয়
বন্দুক নিয়ে ঠিকমতো নিশানা করার জন্য মাথার চুল কপালে বা চোখে পড়লে চলবে না৷ তাই চুল টান টান করে বেঁধে নেন হাসেবা নৌজাদ, ‘মিলিটারি লুক’ ফ্যাশনের জন্য নয়৷
ছবি: Reuters/A. Jadallah
লাকি চার্ম
যুদ্ধের ফাঁকে আসেমা দাহির৷ হাতে যে লাল রঙের টেডি বেয়ারটি রয়েছে, সেটা হয়তো অতীতের সেই সুন্দর, শান্তিপূর্ণ দিনগুলির প্রতীক, যখন আইএস ইয়াজিদিদের স্বদেশকে দখল করেনি৷ ২০১৪ সালের গ্রীষ্মে সেই শান্তি শেষ হয়ে যায়, শুরু হয় আইএস-এর সন্ত্রাস৷
ছবি: Reuters/A. Jadallah
পালানো ছাড়া পথ ছিল না
শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, আইএস কাউকে ক্ষমা করেনি৷ ২০১৪ সালের গ্রীষ্মে লক্ষ লক্ষ ইয়াজিদি বাস্তু ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন, তাদের পিছনে আইএস৷ এক বৃদ্ধ ও দুই তরুণীর এই ছবিটি যেন বিশ্বের সামনে ইয়াজিদিদের যন্ত্রণাকে তুলে ধরে৷
ছবি: Reuters
বিভীষিকা
এই ইয়াজিদি কিশোরী ক্যামেরার সামনে তার মুখ দেখাতে চায় না৷ ২০১৪ সালে এই ১৫ বছর বয়সের মেয়েটিকে ধরে নিয়ে গিয়ে একজন আইএস যোদ্ধার সঙ্গে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ তার দু’মাস পরে মেয়েটি পালাতে সমর্থ হয়৷ আজ সে আবার নিজের পরিবারের সঙ্গেই বাস করছে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/D. Bennett
ধ্বংসস্তূপ
উত্তর সিরিয়ার কোবানি শহরটি তুর্কি সীমান্তের অদূরে৷ আইএস যোদ্ধারা মাসের পর মাস শহরটি অবরুদ্ধ করে রেখেছিল৷ কুর্দিরা সব কিছুর পরও প্রতিরোধ চালিয়ে যায় ও শেষমেশ মার্কিন বিমানবাহিনীর সাহায্যে সন্ত্রাসবাদীদের পরাজিত করতে সমর্থ হয়৷ পড়ে থাকে একটি শহর নয়, যেন শহরের ধ্বংসস্তূপ৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Akgul
সবে মিলে করি কাজ
যারা আইএস-এর আদর্শে বিশ্বাস করে না, আইএস-এর দৃষ্টিতে তারা সবাই শত্রু৷ বিভিন্ন ধর্ম, সম্প্রদায় ও জাতির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করাই হলো আইএস-এর উদ্দেশ্য৷ সে উদ্দেশ্য সর্বক্ষেত্রে সফল হয় না৷ কুর্দি আর ইয়াজিদি মেয়েদের মধ্যে যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে, এক অর্থে তা আইএস-এর প্রতীকী পরাজয়৷
ছবি: Reuters/A. Jadallah
স্বাধীনতার সড়ক
শুধু অস্ত্র দিয়ে আইএস-কে হারানো যাবে না৷ সিরিয়া আর ইরাকের অনেক এলাকা এখনও আইএস-এর নিয়ন্ত্রণে৷ কুর্দি আর ইয়াজিদি মেয়েরাও তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাবে৷ তাদের প্রতিরোধের আর একটি শিক্ষা হলো, মেয়েরা পুরুষের দাস নয় - সন্ত্রাসবাদিদের যা কাজে লাগার কথা!
ছবি: Reuters/A. Jadallah
9 ছবি1 | 9
কথায় বলে, ভালোবাসা এবং যুদ্ধে ন্যায় বলে কিছু হয় না৷ এবং সে কারণেই রাজনীতি এবং কূটনীতি এত জটিল বিষয়৷ আইএস-এর বিরুদ্ধে মিত্রশক্তির যুদ্ধে তুরস্ক ন্যাটোর একটি অংশ৷ আবার কুর্দরাও সেখানে ন্যাটোকে সাহায্য করেছে৷ কিন্তু কুর্দদের সঙ্গে তুরস্কের সংঘর্ষ ঐতিহাসিক৷ ফলে আইএস-এর শক্তি খানিক কমে যাওয়ার পর এক ঢিলে দুই পাখি মারার চেষ্টা করছে এর্দোয়ান সরকার৷ যুদ্ধের আবহে কুর্দিদেরকেও তারা সবক শেখাতে চাইছে৷ আর সেখানেই কুর্দিদের আপত্তি৷ তাদের বক্তব্য, পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে তুরস্ক৷ ন্যাটো এবং বিশেষ করে অ্যামেরিকা তাদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না৷
বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে হলে ইতিহাসের দিকে চোখ ফেরানো দরকার৷ কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, তুরস্ক বরাবরই আইএস-এর চেয়ে কুর্দিদের অনেক বড় হুমকি বলে মনে করে৷ আইএস যখন সিরিয়া আক্রমণের পরিকল্পনা করছে, সেই সময় গোপনে তুরস্ক তাদের অস্ত্র সহায়তাও দিয়েছিল৷ বস্তুত, সেই সময় তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তে বেশ কয়েকটি অস্ত্র বোঝাই ট্রাক উদ্ধার হয়েছিল৷ ট্রাকের চালক জানিয়েছিলেন, তুরস্ক সরকার ওই অস্ত্র সিরিয়ায় পাঠানোর জন্য তাঁকে বরাত দিয়েছিল৷ কিন্তু এর কিছুদিন পরেই ওই চালক বেপাত্তা হয়ে যান৷ বিষয়টিও ধামাচাপা পড়ে যায়৷ পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, পুরনো সেসব অভিযোগই আবার নতুন করে তুলতে শুরু করেছে কুর্দি আন্দোলনকারীরা৷ তাদের বক্তব্য, আইএস-এর উগ্র মৌলবাদী আক্রমণকে তারা প্রতিহত করেছে৷ সিরিয়ায় আইএস-এর শক্তি হ্রাস পেয়েছে৷ কিন্তু তাদের সেই সংগ্রামকে কেউ মান্যতা দিচ্ছে না৷ সেই নিরিখেই অ্যামেরিকাসহ ন্যাটো বাহিনীকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আবেদন করেছে কুর্দরা৷
অ্যামেরিকা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছে৷ ন্যাটোর অন্যতম রাষ্ট্রশক্তি তুরস্কের বিরুদ্ধে সৈন্য পাঠালে অ্যামেরিকাকে জবাবদিহি করতে হবে৷ কিন্তু প্রকাশ্যে তুরস্কের অভিযানের সমালোচনা করেছে তারা৷ বস্তুত, বিশ্বের অনেক দেশই এর্দোয়ানের এই অভিযানের সমালোচনা করেছে৷ কিন্তু তুরস্ক তাতে পিছু হটবে, এমন সম্ভাবনা এখনো তৈরি হয়নি৷ অন্যদিকে, অ্যামেরিকা ঘোষণা করেছে, সে দেশে বসবাসকারী ৭ হাজার সিরীয় শরণার্থীকে আরো ১৮ মাস থাকতে দেওয়া হবে৷ এবং তাদের সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দেওয়া হবে৷
যদিও সমস্যা অন্যদিকে মোড় নেওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে৷ এর্দোয়ান জানিয়েছেন, আফরিনেরপর তাঁদের লক্ষ্য মানবিজ৷ সিরিয়ার এই অঞ্চলে ন্যাটোর ক্যাম্প আছে৷ এবং সেখানে প্রচুর পরিমাণ মার্কিন সৈন্য রয়েছে৷ কুর্দি আন্দোলনকারীরাও সেখানে উপস্থিত৷ এর্দোয়ান যদি সেই ক্যাম্পে হামলা চালান, তাহলে ডোনাল্ড ট্রাম্প সিদ্ধান্ত বদলাতেও পারেন৷ কুর্দিদের ধারণা, মানবিজ আক্রান্ত হলে অ্যামেরিকা সরাসরি তাদের পাশে দাঁড়াবে৷
এসজি/এসিবি (এপি, রয়টার্স)
‘ইসলামিক স্টেট’ আসলে কী?
আল-কায়েদার অখ্যাত এক উপদল থেকে প্রভাবশালী ‘মিলিট্যান্ট মুভমেন্টে’ পরিণত হয়েছে তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস৷ জিহাদি এই গোষ্ঠীটির দখলে থাকা অঞ্চল থেকে আক্রমণের কৌশল – আইএস-এর এমন নানা দিক তুলে দেয়া হলো এই ছবিঘরে৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Souleiman
আইএস কোথা থেকে এসেছে?
ইসলামিক স্টেট (আইএস) সুন্নী ইসলামিস্ট আদর্শে বিশ্বাসী আল-কায়েদার একটি উপদল, যেটি আইএসআইএল, আইসিস এবং দায়েশ নামেও পরিচিত৷ ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আক্রমণের পর এটির বহিঃপ্রকাশ ঘটে৷ এই গোষ্ঠীর নেতৃত্বে রয়েছেন আবু বকর আল-বাগদাদি৷ জঙ্গি গোষ্ঠীটির লক্ষ্য হচ্ছে ইরাক, সিরিয়া এবং অন্যান্যা অঞ্চল নিয়ে একটি ইসলামিক স্টেট বা খেলাফত প্রতিষ্ঠা করা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
আইএস কোথায় কাজ করে?
বিশ্বের ১৮টি দেশে আইএস সক্রিয় রয়েছে বলে ধারণা করা হয়৷ ইরাক এবং সিরিয়ার কিছু অংশ এই গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এটি সিরিয়ার রাকা শহরকে রাজধানী হিসেবে বিবেচনা করে৷ তবে ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন অবধি নিজেদের দখলে থেকে এক চতুর্থাংশ এলাকা তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে৷
কারা তাদের বিরুদ্ধে লড়ছে?
আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বেশ কয়েকটি গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে৷ বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের সমন্বয়ে তৈরি মার্কিন নেতৃত্বাধীন একটি ‘কোয়ালিশন’ আইএস অধ্যুষিত এলাকায় বিমান হামলা চালাচ্ছে৷ এই কোয়ালিশনে কয়েকটি আরব দেশও রয়েছে৷ অন্যদিকে সিরিয়া সরকারের পক্ষে সেদেশে বিমান হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া৷ তবে ভূমিতে তাদের বিরুদ্ধে লড়ছে কুর্দিশ পেশমার্গার মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলো৷
ছবি: picture-alliance/abaca/H. Huseyin
আইএস-এর অর্থের উৎস কী?
জঙ্গি গোষ্ঠীটির অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস হচ্ছে তেল এবং গ্যাস৷ এটি এখনো সিরিয়ার তেল উৎপাদনের এক তৃতীয়াংশ দখলে রেখেছে৷ আর মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিমান হামলার অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীর এই মূল্যবান সম্পদ৷ এছাড়া কর, মুক্তিপন এবং লুট করা পুরাকীর্তি বিক্রি করেও অর্থ আয় করে এই জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷
ছবি: Getty Images/J. Moore
আইএস কোথায় কোথায় জঙ্গি হামলা চালিয়েছে?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস৷ চলত বছর সবচেয়ে ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলাটি চালানো হয়েছে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে, যেখানে দু’শোর বেশি মানুষ নিহত ও অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছে৷ আইএস-এর নেতারা জঙ্গি গোষ্ঠীটির আদর্শে বিশ্বাসীদের এককভাবে বিভিন্নস্থানে আঘাত হানতে উৎসাহ প্রদান করে৷
অন্যান্য আর কী কৌশল ব্যবহার করে আইএস?
নিজেদের ক্ষমতার পরিধি বাড়াতে অনেক কৌশল ব্যবহার করে আইএস৷ জঙ্গি গোষ্ঠীটি ‘কালচারাল ক্লিনজিংয়ের’ নামে সিরিয়া এবং ইরাকের অনেক ঐতিহাসিক শিল্পকর্ম লুট ও ধ্বংস করেছে৷ এছাড়া সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর কয়েকহাজার মেয়েকে ক্রীতদাসী বানিয়েছে৷ গোষ্ঠীটি নিজেদের ‘প্রোপোগান্ডা’ এবং নিয়োগের কাজে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eid
শরণার্থী হয়েছেন কতজন?
সিরিয়ায় চলমান গৃহযুদ্ধের কারণে সেদেশের প্রায় ৬০ লাখ মানুষ প্রতিবেশী লেবানন, জর্ডান এবং তুরস্কে আশ্রয় নিয়েছেন৷ অনেক সিরীয় ইউরোপেও পাড়ি জমিয়েছেন৷ এছাড়া প্রায় ৩০ লাখ ইরাকে ইরাকের মধ্যেই অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর৷