এবার ভারত ও পাকিস্তানে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল অ্যামেরিকা। দুই দেশে করোনা পরিস্থিতি ভালো বলে এই সিদ্ধান্ত।
বিজ্ঞাপন
করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য অ্যামেরিকা থেকে কেউ ভারত ও পাকিস্তানে আসতে পারছিলেন না। কারণ, তাদের এই দুই দেশে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মার্কিন প্রশাসন। তবে অ্যামেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবার সিদ্ধান্ত বদল করল। তারা লেভেল চারের সতর্কতা সরিয়ে লেভেল তিনের সতর্কতা জারি করেছে এই দুই প্রতিবেশী দেশের ক্ষেত্রে। যার অর্থ, ভারত ও পাকিস্তানে যাওয়ার কথা বিবেচনা করতে পারেন অ্যামেরিকাবাসীরা।
তবে ভারতের ক্ষেত্রে একটা নিষেধাজ্ঞা এখনো বহাল রাখা হয়েছে। সেটা অবশ্য যারা মার্কিন নাগরিক নন, তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। সেটা হলো, গত ১৪ দিনে যারা ভারত গেছিলেন, তারা অ্যামেরিকায় ঢুকতে পারবেন না।
আর অন্য দেশের নাগরিকরা অ্যামেরিকায় যেতে চাইলে তাদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহ স্মৃতি কাটিয়ে দিল্লি স্বাভাবিক হচ্ছে
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দিল্লির অবস্থা ছিল ভয়াবহ। সেই স্মৃতি কাটিয়ে রাজধানী এখন স্বাভাবিক হচ্ছে।
ছবি: Seerat Chabba/DW
পরিস্থিতি ভয়াবহ ছিল
কিছুদিন আগেও করোনায় বেহাল ছিল দিল্লি। প্রতিদিন তিন হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছিলেন। মারা যাচ্ছিলেন প্রচুর মনুষ। হাসপাতালে বেড ছিল না। অক্সিজেনের আকাল। অক্সিজেন না পেয়ে মানুষের দুর্ভোগের অন্ত ছিল না। ওষুধ পাওয়া যাচ্ছিল না। শ্মশানে, কবরস্থানে লম্বা লাইন। তারপর কড়া লকডাউন চালু হয়।
ছবি: Adnan Abibi/REUTERS
রাজধানীর অবস্থা
এখন দিল্লির অবস্থা অনেকটাই ভাল। দিনে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একশর মতো মানুষ। লকডাউনের কড়াকড়ি অনেকটাই শিথিল হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে দিল্লির লাগোয়া গুরুগ্রাম, নয়ডা, ফরিদাবাদেও।
ছবি: Seerat Chabba/DW
বাজারে ভিড়
লকডাউন তুলে নেয়ার পর বাজারে আবার প্রবল ভিড়। ফিরে এসেছে চেনা ছবি। কিন্তু এর ফলে কি করোনার প্রকোপ আবার বাড়বে? দিন কয়েক আগে দিল্লিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমে হয়েছিল ৫৯। এখন তা আবার একশ ছাড়িয়েছে। গুরুগ্রামের একটি বাজারের ছবি।
ছবি: Seerat Chabba/DW
শপিং মলেও মানুষ
খুলে গেছে শপিং মল। যথারীতি সেখানেও ভিড় হতে শুরু করেছে।
ছবি: Seerat Chabba/DW
অফিস খোলা
সরকারি ও বেসরকারি অফিসও খুলেছে। তবে এখনো অফিসগুলিতে প্রতিদিন ৫০ শতাংশ কর্মী যাচ্ছেন। কনট প্লেসের গাড়ি পার্কিংয়ের এই ছবিই বলে দিচ্ছে দিল্লির পরিস্থিতি।
ছবি: Seerat Chabba/DW
খুলেছে অস্থায়ী বাজারও
রস্তার ধারের বাজারও খুলছে। ভিড়ও হচ্ছে। এতদিন ধরে বাড়িতে বন্দি মানুষ লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল হতেই নেমে পড়েছেন রাস্তায়। কেনাকাটা করতে।
ছবি: Seerat Chabba/DW
ভ্যাকসিনে জোর
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার ভ্যাকসিন দেয়ার গতি বাড়াতে চাইছে। রাজ্য সরকার এখন তাদের স্কুলেও ভ্যাকসিন সেন্টার খুলেছে। বিনা পয়সায় সেখানে টিকা দেয়া হচ্ছে। উপরের ছবিতে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন মানুষ।
ছবি: Adnan Abidi/REUTERS
7 ছবি1 | 7
ভারতে এখন করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। মঙ্গলবার ৩০ হাজারের সামান্য বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত চার মাসের মধ্যে সব চেয়ে কম মানুষ একদিনে করোনায় আক্রান্ত হলেন। দিল্লিতে মঙ্গলবার ৪৪ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। টিকা দেয়ার কাজও চলছে। ৯৭ লাখ মডার্নার ভ্যাকসিনও ভারতে এসেছে। তাছাড়া কোভিশিল্ড, কোভ্যাকসিন এবং স্পুটনিক দেয়া হচ্ছে।
পাকিস্তানে কিছু এলাকায় করোনার প্রকোপ সম্প্রতি বেড়েছে। তবে সাধারণভাবে পাকিস্তানেও করোনা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। সেজন্যই অ্যামেরিকা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।