1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যাসবেস্টস রিসাইকেল করে এক ডাচ কোম্পানি

১৫ জুলাই ২০২৫

অ্যাসবেস্টস হলো এক প্রাকৃতিক খনিজ পদার্থ, যা বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রীতে ব্যবহার করা হয়৷ তবে এটি ক্ষতিকারক হওয়ায় ৭০টিরও বেশি দেশে এর ব্যবহার নিষিদ্ধ বা সীমিত করা হয়েছে৷

অ্যাসবেস্টস থাকা ভবনের ছবি দেখা যাচ্ছে, ভবনটি ভগ্নদশায়৷
৭০টিরও বেশি দেশে অ্যাসবেস্টস নিষিদ্ধ বা এর ব্যবহার সীমিত৷ তবে এখনও বিশ্বের অনেক জায়গায় এটি খনন করা হয়৷ছবি: imago images/Michael Gstettenbauer

নেদারল্যান্ডসের এসি মিনারেলস কোম্পানি অ্যাসবেস্টস ফাইবার দ্রবীভূত করার পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছে৷ এভাবে তারা সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য ক্ষতিকর নয় এমন এক উপকরণ তৈরি করতে চাইছে৷

রিসাইকেল প্রক্রিয়া শেষে ক্যালসিয়াম সিলিকেট সমৃদ্ধ এক মিশ্রন পাওয়া যায়, যা বাইন্ডার হিসেবে কাজ করে৷ এটি শুকিয়ে একে পাউডারেও পরিণত করা যেতে পারে৷

এসি মিনারেলস কোম্পানি ২০২৬ সালের মধ্যে একটি স্বয়ংক্রিয় কারখানা খোলার আশা করছে৷ শুরুতে এটি বছরে ২৫ হাজার টন অ্যাসবেস্টস-ধারণকারী ধ্বংসাবশেষ প্রক্রিয়াজাত করতে সক্ষম হবে৷ পরবর্তীতে সক্ষমতা ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ টন পর্যন্ত বাড়াতে চায় তারা৷ সেটি সম্ভব হলে বিষয়টি বৈপ্লবিক হবে৷

অ্যাসবেস্টস যখন শরীরে প্রবেশ করে, সেটি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে হতে পারে, তখন সেগুলো ফুসফুস এবং অন্যান্য টিস্যুতে জমা হতে পারে- যা প্রদাহ এবং ক্রমবর্ধমান ক্ষতির কারণ হতে পারে৷

ড্রেক্সেল ইউনিভার্সিটিক ক্লিনিক্যাল প্রফেসর আর্থার ফ্রাঙ্ক বলেন, ‘‘অনেক ক্যানসার আছে যা অ্যাসবেস্টসের কারণে হয়৷ এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিচিত হলো ফুসফুসের ক্যানসার৷ এছাড়া, অন্য যে ক্যানসারটি সম্পর্কে অনেক কিছু জানা যায় তা হলো মেসোথেলিওমা৷''

যে অ্যাসবেস্টস ক্ষতিকর নয়!

03:56

This browser does not support the video element.

৭০টিরও বেশি দেশে অ্যাসবেস্টস নিষিদ্ধ বা এর ব্যবহার সীমিত৷ তবে এখনও বিশ্বের অনেক জায়গায় এটি খনন করা হয়৷

২০২৩ সালে রাশিয়া ছয় লাখ ৩০ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন করেছিল৷ এরপর ছিল কাজাখস্তান৷ তৃতীয় এবং চতুর্থ স্থানে ছিল চীন এবং ব্রাজিল৷

পরিবেশগত ও শ্রম বিধির অভাব একটি সম্প্রদায়কে কীভাবে প্রভাবিত করতে পারে তার একটি উদ্বেগজনক উদাহরণ হলো মেক্সিকোর রাজধানী থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সান পেদ্রো ব্যারিয়েন্টোস শহর৷

ন্যাশনাল অটোনোমাস ইউনিভার্সিটি অফ মেক্সিকোর অধ্যাপক গুয়াদালুপে আগিলার-মাদ্রিদ জানান, ‘‘১৯৩৮ থেকে ১৯৯২ সালের মধ্যে ‘অ্যাসবেস্টস ডি মেক্সিকো' নামে একটি কোম্পানি ছিল৷ কোম্পানিটি বন্ধ হয়ে গেছে, কিন্তু সেখানকার মাটি পরিশোধন করা হয়নি৷ তাই সেখানকার বেশিরভাগ শ্রমিক মারা গেছেন, এখনও মানুষ মারা যাচ্ছে৷''

সান পেদ্রো ব্যারিয়েন্টোসে যা ঘটছে তা অ্যাসবেস্টস উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলি যেসব জায়গায় ছিল, সেখানেও ঘটছে৷ মেক্সিকোতে অ্যাসবেস্টসের কারণে ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে দেখানো হয়ে থাকতে পারে৷

ডাচ কোম্পানির কথায় ফিরে যাই - তারা বলছে, তাদের অ্যাসবেস্টস রিসাইকলিং এর কৌশল ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোতেও অনুকরণের সম্ভাবনা আছে৷

এসি মিনারেলস কোম্পানরি সিইও ইনেজ পস্টেমা বলেন, ‘‘যারা এই প্রক্রিয়া অনুকরণ করতে চান তাদের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে, বা তারা যে সমস্যার মুখোমুখি হবেন সেটি হলো, প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ নতুন৷ এমন বিনিয়োগকারী আছেন যারা পরিবেশগত এবং সামাজিক লক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা এই নতুন উদ্যোগকে সমর্থন করবেন৷ তবে এমন বিনিয়োগকারীও আছেন যারা সবকিছু ঠিকঠাক না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন৷''

তবে এর সাফল্য নির্ভর করবে বড় পরিসরে এটি কার্যকারিতা প্রদর্শন করতে সক্ষম কিনা, তার উপর৷

এভেলিন ম্যাকলাফার্টি/জেডএইচ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ