1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আঁধারে আলো

কামিলা রুটকস্কি/এসি২০ অক্টোবর ২০১৪

আলোকোজ্জ্বল বিশ্বের একটা অন্ধকার দিকও আছে – বিশ্বের বহু গ্রামে-গঞ্জে, প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজও বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির উপর নির্ভর করে কি বিশ্বগোলকের চেহারা পাল্টে দেওয়া যায়?

Repower Windprojekt Goodnoe Hills USA
ছবি: Dennis Schwartz

বিশ্বের একশ কোটি মানুষ বিদ্যুৎ ছাড়াই দিন কাটান৷ অথচ বিদ্যুৎ ছাড়া প্রগতি খুব সহজ কাজ নয়৷ নবায়নযোগ্য জ্বালানি এই সমস্যার একটি সমাধান হতে পারে৷ হামবুর্গ ইউনিভারসিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস-এর নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ভাল্টার লেয়াল মনে করেন যে, সেটাই হবে ভবিষ্যতের ধারা: ‘‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন ব্যাংকের বিবৃতি অনুযায়ী দক্ষিণ অ্যামেরিকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তির বাজার বাড়ছে বছরে ২৩ শতাংশ করে৷ এটা এমন একটা ক্ষেত্র, যা ভবিষ্যতে ক্রমাগত বেড়েই চলবে৷''

‘রেগসা' প্রকল্প

হামবুর্গ ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস-এ একটি আন্তর্জাতিক প্রকল্প চালু করা হয়েছে, যা এই প্রবণতার সুযোগ নিয়ে গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ যোগাবে৷ ‘রেগসা' প্রকল্প গ্রামবাসীদের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিরও উন্নয়ন ঘটাবে৷ প্রকল্পটির খসড়া করেছেন ইউলিয়া গটভাল্ড এবং আজ এই প্রকল্প সমন্বয়ের কাজে জড়িত আছেন৷ ইউলিয়া বলেন:

‘‘রেগসা-র একটি লক্ষ্য হলো, দক্ষিণ অ্যামেরিকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানি শক্তি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ানোর সম্ভাবনা কতটা, তা তুলে ধরা৷ এ ছাড়া সাধারণভাবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং তৃতীয়ত – সেটাই আমাদের বাস্তব প্রকল্প – তিনটি মডেল এলাকায় আমরা তিনটি পাইলট প্রকল্প গড়ে তুলব, যা থেকে দেখা যাবে বাস্তবে ব্যাপারটা কী ভাবে কাজ করে৷''

ব্রাজিল, বলিভিয়া, চিলি

দক্ষিণ অ্যামেরিকার তিনটি দেশ এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করছে৷ প্রতিটি দেশেই জ্বালানি শক্তির অপর্যাপ্ততা দূর করার জন্য আর একটি পন্থা অবলম্বন করা হচ্ছে৷ ব্রাজিলের সান্তা কাতারিনা প্রদেশের রোবের্তো শ্যুৎস প্রাইমারি স্কুল এই প্রকল্পের এক সহযোগী৷ স্কুলের ছাদে ২৭টি ফোটোভোল্টেয়িক সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে৷ টেকসই বিকাশের পন্থা এটি৷

বলিভিয়ার সান পাবলো বিশ্ববিদ্যালয়ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রবণতা কাজে লাগাচ্ছে৷ রেগসা-র সহযোগিতায় এখানে একটি জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়া হচ্ছে৷ এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা গরম পানি দিয়ে গোসল করতে পারবে! উৎপন্ন জলবিদ্যুতের একটা বড় অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই ব্যবহার করা যাবে৷ ক্যাম্পাসের একটি কফি বিন রোস্ট করার কারখানা ও একটি শূকর পালন কেন্দ্রও সেই বিদ্যুৎ পাবে৷ ইউলিয়া গটভাল্ড বলেন:

‘‘ওখানে যে বিদ্যুতের কনেকশন নেই, এমন নয়৷ কিন্তু কখনো-সখনো ভোল্টেজ এত কমে যায় – এছাড়া বিদ্যুতের দামও খুব চড়া৷ কাজেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ঐ কফি রোস্টারি-র মতো পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালানোই সম্ভব নয়, কেননা ওতে অনেক বিদ্যুৎ লাগে৷ এই যে ছোট জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রটির কাজ শেষ হতে চলেছে, এটি থেকে বিদ্যুতের একটা বড় অংশ পাওয়া যাবে৷ সেই সঙ্গে গরম জলের জন্য কয়েকটা সোলার প্যানেল লাগানো হবে৷''

চিলিতেও রেগসা কাজ করেছে, মাত্র ১০০ অধিবাসীর একটি ছোট্ট এলাকায়৷ এখানকার অধিকাংশ মানুষ চাষবাস করেন৷ গ্রামে একটিই গাড়ি আছে, সে গাড়িটিও আবার শুধু চলে গ্রামের মধ্যে, কেননা পেট্রোল ভরতে গেলে বিশ কিলোমিটার পথ চলতে হয়৷ সে জন্য গ্রামের মধ্যেই ব্যারেলে পেট্রোল ভরে রাখা হয়৷ এলাকার অধিবাসীদের সুবিধার জন্য রেগসা তাদের গাড়িটিকে একটি বৈদ্যুতিক গাড়িতে পরিণত করছে৷ এর ফলে গাড়িটা যে শুধু পেট্রোল ছাড়া চলবে, শুধু তাই নয়, এই গাড়ি থেকে কৃষিকাজের যন্ত্রপাতির জন্য বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ