1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএসআই-এর চর বিতর্ক

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা১৭ এপ্রিল ২০১৪

বাংলাদেশে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর একজন চর আটক হওয়ার পর, তাকে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর সদস্যরা নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ায় শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ অথচ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না৷

Bildergalerie Reza Deghati
ছবি: Reza/webistan.com

ভারতের ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-র মঙ্গলবারের অন লাইন সংস্করণের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয় যে, ঢাকা থেকে ডিরেক্টরেট অফ ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর এক এজেন্ট আটক হওয়ার পর ভারতের রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং বা ‘র'-এর সদস্যরা তাকে কৌশলে ভারতে নিয়ে গেছে৷ এ নিয়ে বুধবার বাংলাদেশে শুরু হয়েছে এক রাজনৈতিক বিতর্ক৷

ভারতের নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রের বরাত দিয়ে ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-র খবরে বলা হয়েছে, আটক আইএসআই-এর সদস্যের নাম জিয়াউর রেহমান ওয়াকাস৷ সে ইন্ডিয়ান মুজাহিদীনের প্রভাবশালী সদস্য৷ বাংলাদেশে লুকিয়ে থাকতে পারে বলে তার ওপর ভারতের গোয়েন্দাদের আগেই নজরদারী ছিল৷ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভুয়া পাসপোর্ট ব্যবহার করে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে আটক করেন৷ বিষয়টি ‘র'-এর এক কর্মকর্তার নজরে আসে৷ এরপর ‘র'-এর কর্মকর্তারা তাঁদের নিখুঁত কলাকৌশল খাটিয়ে নিজেদের প্রকাশ না করে ওয়াকাসকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে এনে ভারতে নিয়ে যান৷

আইএসআই-এর সদস্যের নাম জিয়াউর রেহমান ওয়াকাসছবি: AP Graphics/DW

বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ব্যাপারে সরকারে কাছে ব্যখ্যা দাবি করেছেন৷ তিনি ভারতের ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-র খবরের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘‘সেখানে বলা হয়েছে আইএসআই-এর একজন এজেন্টকে বিমানবন্দর থেকে ‘র' ধরে নিয়ে গেছে৷ আমরা সরকারের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাই৷ ‘টাইমস অফ ইন্ডিয়া'-র এ খবরটি সঠিক কিনা, এ ক্ষেত্রে সরকারের বক্তব্য কি? এই সংবাদ সঠিক হলে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা কীভাবে এ দেশ থেকে একজনকে নিয়ে যায়? আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার লোকই বা কীভাবে এ দেশে প্রবেশ করে?''

এছাড়া স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন , ‘‘আমি এখনো বিষয়টি জানি না৷ পত্র-পত্রিকায় পড়েছি৷ এ ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে৷'' ‘র'-এর এমন এখতিয়ার আছে কিনা, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘তাদের সঙ্গে আমাদের বন্দী বিনিময় চুক্তি আছে৷ কিন্তু এমন কোনো এখতিয়ার তাদের নেই৷'' ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার শেখ মো. নাজমুল আলমও বলেছেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা সম্পর্কে পুলিশ অবগত নয়৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ