সিরিয়া-লিবিয়া সীমান্তে ‘ইসলামিক স্টেট’ বা আইএস-এর সঙ্গে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে লিবিয়ার সামরিক বাহিনী৷ মূলত আইএস-এর কাছে বন্দি লিবীয় সেনাদের উদ্ধারে সমঝোতার অংশ হিসেবে এই বিরতির ঘোষণা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে৷
বিজ্ঞাপন
সিরিয়া-লিবিয়া সীমান্তে আইএস নিয়ন্ত্রিত ছিটমহলে রবিবার থেকে কার্যকর হয়েছে সাময়িক এই যুদ্ধবিরতি৷ সেখানে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছিল সিরিয়া এবং লিবিয়ার সেনাবাহিনী৷ রাস বালবেক শহরের কাছে এই যুদ্ধবিরতির লক্ষ্য হচ্ছে অপহৃত সেনাদের উদ্ধারে সমঝোতার সর্বশেষ পর্যায়ের পথ সুগম করা বলে জানিয়েছে লিবিয়ার সেনাবাহিনী৷
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লিবিয়ার ন'জন সেনাসদস্যকে বন্দি করে আইএস৷ এরপর তাদের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো জানা যায়নি৷ তবে একটি নিরাপত্তা সূত্র বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে যে, বন্দি সেনাদের উদ্ধারে মধ্যস্থতাকারীদের মধ্যে আইএস-এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে৷
যুদ্ধের মাঠে সেল্ফি
যুদ্ধ মানেই ধ্বংসলীলা৷ বিপক্ষকে ঘায়েল করতে যেখানে প্রতিমুহূর্তে চলে অস্ত্র আর কৌশলে এগিয়ে থাকার লড়াই৷ সেখানে বসেই যেন ক্ষণিকের নিশ্চিন্ত ভাবে যোদ্ধারা মেতে উঠে সেল্ফিতে৷
ছবি: Reuters/E. De Castro
যুদ্ধযাত্রার পূর্বে লিবিয়ার বিশেষ বাহিনী
জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সর্বশেষ শক্ত ঘাঁটি লিবিয়ার বেনগাজিতে প্রবেশের পূর্বে লিবিয়ান সেনাবাহিনীর বিশেষ ফোর্সের সদস্যরা সেল্ফি তুলছেন৷ গত ৫ জুলাই ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/E. Omran Al-Fetori
সেনাধ্যক্ষের সাথে সেল্ফি
ইরাকের পূর্ব মোসুলে আইএস বিরোধী অভিযানকালে লে. জে. আবদেলওয়াহাব আল সাদী সাথে সাধারণ মানুষ সেল্ফি তুলছেন৷ গত ৯ জানুয়ারি ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/K. Al-Remehi
ব়্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের সেল্ফি
ইরাকের সরকারি বাহিনীর সাথে আইএস-এর সংঘাতে পূর্ব মোসুলের একটি ধ্বংসপ্রাপ্ত হাসপাতালের সামনে সেল্ফি তুলছেন দেশটির ব়্যাপিড রেসপন্স ফোর্সের সেল্ফি৷
ছবি: Reuters/A. Al-Marjani
কুর্দিদের সঙ্গে যোগ দেয়া আরব সৈন্যদের সেল্ফি
কুর্দি পেশমের্গা সেনাদের সাথে যোগ দেয়া একদল আরব সৈন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শেষে সেল্ফি তুলছে৷ ইরাকের ডুহোক প্রদেশ থেকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Jalal
মোসুলে ইরাকি বাহিনী
তখনও মোসুলের এক অংশে রয়েছে আইএস-এর রাজত্ব৷ উদ্ধারে চলছে সরকারি বাহিনীর তৎপরতা৷ এ সময় পশ্চিম মোসুলের একটি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে বসে সেল্ফি তুলছেন ইরাকি সৈন্যরা৷ গত ৫ জুন এই ছবিটি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/E. De Castro
মোসুল জয়ের পর
আইএস-এর হাত থেকে ইরাকের প্রাচীন নগরী মোসুল পুনরুদ্ধার করার পর গ্র্যান্ড আল-নূরী মসজিদের সামনে দাঁড়িয়ে সেল্ফি তুলছেন দেশটির কাউন্টার টেরোরিজম সার্ভিসের সদস্যরা৷
ছবি: Reuters/E. De Castro
ধ্বংসের মাঝে নির্মাণের প্রত্যয়
সিরিয়ার দিরা প্রদেশের সাইদা শহরে বিদ্রোহী অধ্যুষিত একটি নির্মাণাধীন ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে সেল্ফি তুলছেন ‘ইউ ডেস্ট্রয় অ্যান্ড উই রিবিল্ড ব্রিগ্রেড’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা৷
ছবি: Reuters/A. Al-Faqir
রাশিয়ান কমান্ডারের সাথে সিরিয়ান নারীর সেল্ফি
এক রাশিয়ান কমান্ডারের সঙ্গে সেলফি তুলছেন এক সিরিয়ান নারী৷ মধ্য সিরিয়ার হোমস শহরের ওয়ায়ের জেলা থেকে গত ২১ মে এই ছবি তোলা হয়েছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki
বিধ্বস্ত মসজিদে সেল্ফি
সিরিয়ার আলেপ্পোর একটি বিধ্বস্ত মসজিদের ভেতরে একদল মানুষ সেল্ফি তুলছে৷
ছবি: Reuters/O. Sanadiki
ফ্রি সিরিয়ান আর্মির সেল্ফি
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর আল-বাবের নিকটবর্তী কোয়াবাসিন শহরে আইএস বিরোধী অভিযানকালে ফ্রি সিরিয়ান আর্মির এক যোদ্ধা৷
ছবি: Reuters/K. Ashawi
10 ছবি1 | 10
সিরিয়া যুদ্ধের রেশ বেশ ভালোভাবেই টের পাচ্ছে লিবিয়া৷ দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত এলাকায় ইসলামিক স্টেটসহ অন্যান্য জিহাদি গোষ্ঠীর উপস্থিতি বেড়েছে৷ দু'সপ্তাহ আগে আইএসনিয়ন্ত্রিত এলাকায় একইসময়ে কিন্তু আলাদাভাবে অভিযান শুরু করে লিবীয় এবং সিরীয় সেনাবাহিনী৷ যুদ্ধে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে সমর্থন করছে লেবাননের শিয়া গোষ্ঠী হিজবোল্লাহ৷ লিবিয়ার সেনাবাহিনীর পাশাপাশি সিরিয়া এবং হিজবুল্লাহও সিরিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্তে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা দিয়েছে৷
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে হিজবোল্লাহ'র পেছনে রয়েছে ইরান৷ ফলে লিবিয়া এবং সিরিয়ার ঘোষিত এই যুদ্ধবিরতি যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না বলে মনে করা হচ্ছে৷ বরং এর ফলে সিরিয়া যুদ্ধ আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে৷
সিরিয়া যুদ্ধে অংশ নেয়া মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক বাহিনী অবশ্য সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বাহিনী বা আইএস - কোনোপক্ষকেই সমর্থন করে না৷ তবে বেশ কয়েকটি স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী সিরিয়ায় যুদ্ধরত বিভিন্ন গ্রুপকে সমর্থন দিচ্ছে৷ সেখানে যুদ্ধে ইতোমধ্যে প্রাণ হারিয়েছে কয়েক লাখ মানুষ৷ আর প্রাণ বাঁচাতে পাশের দেশ তুরস্ক, লেবাননসহ ইউরোপে আশ্রয় নিয়েছেন অনেক সিরীয় নাগরিক৷