ইরাক ও সিরিয়ায় জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস যে সব অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করেছে, তার এক-তৃতীয়াংশই এসেছে জার্মানি সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশ থেকে৷ সাম্প্রতিক একটি জরিপ থেকে জানা গেছে এ তথ্য৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press
বিজ্ঞাপন
কনফ্লিক্ট আর্মামেন্ট রিসার্চ বা সিএআর (‘কার') বৃহস্পতিবার তাদের ২০০ পাতার রিপোর্টটি প্রকাশ করে৷ ‘কার'-এর লক্ষ্য হলো, বিভিন্ন সংঘাতের এলাকায় ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র কোথা থেকে এসেছে, তার খোঁজ করা৷ তাদের সর্বাধুনিক জরিপের ফলাফল থেকে দেখা যাচ্ছে যে, আইএস-এর ভাঁড়ারের গুলিবন্দুকের ৩০ শতাংশের বেশি এসেছে বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, হাঙ্গেরি ও জার্মানি থেকে৷ অপরদিকে আইএস সন্ত্রাস গোষ্ঠীর অস্ত্রসম্ভারের ৫০ শতাংশের বেশি এসেছে রাশিয়া ও চীন থেকে৷
ইসলামিক স্টেট-এর অস্ত্রশস্ত্র' শীর্ষক রিপোর্টটির জন্য ‘কার'-এর একাধিক গবেষক গোষ্ঠী তিন বছর ধরে ইরাক ও সিরিয়ায় অকুস্থলে অনুসন্ধান চালিয়েছেন৷ ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে রণাঙ্গণে আইএস-এর কাছ থেকে পাওয়া কামান ও গুলিবন্দুক এবং বোমা তৈরির বিশ্লেষণ করে ‘কার'-এর কর্মীরা তাদের সিদ্ধান্তে এসেছেন৷
আইএস-এর কাছে অস্ত্রশস্ত্র যায় কী করে?
রিপোর্টে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, আইএস-এর অস্ত্রশস্ত্রের অধিকাংশ ইরাকি ও সিরীয় সেনাবাহিনীর কাছ থেকে লুট করা হয়েছে৷ কিন্তু বহুক্ষেত্রে সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সরবরাহ করার জন্য পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি থেকে যে অস্ত্রশস্ত্র কিনেছে, তা আইএস-এর তাঁবে গিয়ে পড়েছে৷
রিপোর্টের ভাষায় ‘‘যে সব সংঘাতে একাধিক প্রতিযোগী ও পরস্পরের অনুরূপ বেসরকারি সশস্ত্র গোষ্ঠী সংশ্লিষ্ট, সেখানে অস্ত্র সরবরাহের পরস্পরবিরোধিতার কথা'' এই সব তথ্য আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে৷
রিপোর্টে দেখানো হয়েছে, সৌদি আরব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিভাবে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলি থেকে কোটি কোটি ডলার মূল্যের অস্ত্রশস্ত্র কিনে তা সিরিয়ার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির কাছে পাচার করেছে, বহুক্ষেত্রে অস্ত্র কেনার শর্ত ভঙ্গ করে৷ ‘‘অস্ত্র রপ্তানিকারী ইউ সদস্যদেশ ও সৌদি আরব এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের মধ্যে চুক্তিকৃত বিক্রয় ও রপ্তানির শর্ত ভঙ্গ করে বহুবার অস্ত্র হস্তান্তর করা হয়েছে,'' বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে৷
ইউরোপে যত জঙ্গি হামলা
মাদ্রিদ, ফ্রাংকফুর্ট, লন্ডন, প্যারিস, ব্রাসেলস, নিস, বার্সেলোনা – একের পর এক ভয়াবহ হামলার শিকার ইউরোপ৷ বড় শহরগুলিতে সন্ত্রাসের হুমকি নিয়ে বাড়ছে দুশ্চিন্তাও৷ গত ১৩ বছরে ইউরোপে বিভিন্ন হামলার তথ্য নিয়ে এই ছবিঘর৷
ছবি: REUTERS/Stringer
১৮ আগস্ট, ২০১৭
স্পেনে হামলার এক দিন পরেই ফিনল্যান্ডের টুর্কু শহরে ছুরি চালিয়ে ২ জনকে হত্যা করে এক আততায়ী৷ তার ছুরির আঘাতে কমপক্ষে আরও ৬ জন আহত হয়েছে৷ পুলিশ তার পায়ে গুলি করে তাকে গ্রেফতার করেছে৷ গোটা দেশে সতর্কতা জারি করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Riihimaki
১৭ আগস্ট, ২০১৭
প্রথমে বার্সেলোনা, তারপর উপকূলবর্তী কামব্রিলস ও আলকানার শহর৷ পর পর তিনটি সন্ত্রাসী হামলার মুখে স্পেনের কাটালুনিয়া রাজ্য৷ বার্সেলোনা শহরে হামলার দায় স্বীকার করেছে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস৷ এতে নিহত হন ১৩ জন৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/O. Duran
১৯ জুন, ২০১৭
যুক্তরাজ্যের লন্ডনের একটি মসজিদের বাইরে মুসল্লিদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দেয় এক ব্রিটিশ নাগরিক৷ এ ঘটনায় নিহত হন একজন, গুরুতর আহত হন অনেকেই৷ হামলাকারী অভিবাসীবিরোধী এবং মুসলিমবিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত ছিলেন৷
ছবি: Reuters/Y. Mok
৩ জুন, ২০১৭
লন্ডন ব্রিজে ঘুরতে আসা পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দেয় তিন ইসলামি জঙ্গি৷ তাতেই থেমে থাকেনি তারা৷ গাড়ি হামলার পর কাছেই বোরো মার্কেটে ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়ে ৮ জনকে খুন করে জঙ্গিরা৷
ছবি: Reuters/S. Wermuth
২২ মে, ২০১৭
ঘটনাস্থল যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার৷ নর্থ ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার অ্যরেনায় আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টে আত্মঘাতি হামলায় নিহত হন ২২ জন৷
ছবি: Reuters/D. Hogan
৭ এপ্রিল, ২০১৭
একটি ট্রাক হাইজ্যাক করে সুইডেনের স্টকহোমের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মধ্যে চালিয়ে দেয় হামলাকারী৷ এতে মারা যান চার পথচারী৷
ছবি: Reuters/A. Wiklund
২২ মার্চ, ২০১৭
এই ঘটনায় একটি ভাড়া করা এসইউভি গাড়ি লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার ব্রিজে পথচারিদের ওপর তুলে দেয় হামলাকারী৷ এ ঘটনায় চারজন মারা যান৷ এরপর গাড়ি থেকে নেমে এক পুলিশ অফিসারকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে হামলাকারী৷
ছবি: DW/A. Frymann Rouch
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
হামলার অস্ত্র হাইজ্যাক করা ট্রাক৷ এবার ঘটনাস্থল জার্মানির বার্লিন৷ বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে ভিড়ের মধ্যে চালানো এ হামলায় নিহত হন ১২ জন৷
ছবি: picture alliance / NurPhoto
১৪ জুলাই, ২০১৬
ফ্রান্সের পর্যটননগরী নিসে চলছিল বাস্তিল দিবস উদযাপনের আয়োজন৷ ফলে ভিড়ও ছিল অস্বাভাবিক৷ আর এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ট্রাক হামলা চালিয়ে ৮৬ জনকে হত্যা করে হামলাকারী৷
ছবি: picture-alliance/dpa/I. Langsdon
২২ মার্চ, ২০১৬
বেলজিয়ামের ব্রাসেলস বিমানবন্দর ও সাবওয়েতে আত্মঘাতি হামলায় ৩২ জন নিহত হন, আহত হন শতাধিক৷ ইউরোপের অন্যান্য শহরে হামলায় এই হামলাকারীরাই জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/bsnyder
নভেম্বর ১৩, ২০১৫
ফ্রান্সের প্যারিসে বাতাক্লঁ কনসার্ট হল ও আরো কয়েকটি এলাকায় একযোগে হামলা চালায়৷ নিহত হন ১৩০ জন৷ হামলাকারীরা জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের অনুসারী ছিল৷
ছবি: Reuters
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫
ডেনমার্কের কোপেনহেগেন৷ এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন চলচ্চিত্র নির্মাতা ফিন ন্যোরগর্ট৷ এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যও আহত হন৷ একদিন পর একই হামলাকারী (যাকে চিহ্নিত করা হয়েছে ওমর আল-হোসাইন নামে) একটি সিনাগগে হামলা চালিয়ে এক নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করে৷ পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী৷
ছবি: Reuters/H. Hanschke
৭-৯ জানুয়ারি, ২০১৫
ফ্রান্সের প্যারিসে ব্যাঙ্গাত্মক পত্রিকা শার্লি এব্দোর কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ১৭ জনকে হত্যা করা হয়৷ জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়েদা এই ঘটনার দায় স্বীকার করে৷ শার্লি এবদোয় মুসলিমদের মহানবী হযরত মোহাম্মদকে নিয়ে ব্যাঙ্গ করার প্রতিশোধ বলে উল্লেখ করা হয় ঘটনাটিকে৷
ছবি: picture-alliance/Pixsell/S. Strukic
২৪ মে, ২০১৪
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে এক ইহুদি জাদুঘরে কালাশনিকভ রাইফেল নিয়ে হামলা চালিয়ে চার জনকে হত্যা করে হামলাকারী৷ অভিযুক্ত ব্যক্তি সিরিয়ায় আইএস-এর হয়ে যুদ্ধ করেছে বলে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে৷
ছবি: Reuters/Y. Boudlal
২২ মে, ২০১৩
আল-কায়েদার মাধ্যমে অনুপ্রাণিত দুই জঙ্গি লন্ডনের রাস্তায় লি রিগবি নামের এক ব্রিটিশ সৈন্যকে তাড়া করে এবং কুপিয়ে হত্যা করে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo
মার্চ, ২০১২
আল-কায়েদার সাথে সংশ্লিষ্ট এক বন্দুকধারী ফ্রান্সের টুলুস শহরে তিন ইহুদি স্কুলছাত্র, এক ইহুদি রাবাই এবং তিন প্যারাট্রুপারকে হত্যা করে৷
ছবি: REUTERS
২২ জুলাই, ২০১১
আন্ডার্স বেরিং ব্রেইভিক নামের এক মুসলিমবিদ্বেষী হামলাকারী, নরওয়ের অসলোতে বোমা হামলা চালায়৷ এরপর নরওয়ের উটোয়া দ্বীপের এক যুব ক্যাম্পে গুলি চালিয়ে ৭৭ জনকে হত্যা করে৷
ছবি: dapd
২ নভেম্বর, ২০১১
শার্লি এব্দোর অফিসে হামলার ঘটনা৷ মুসলিমদের মহানবী হযরত মোহাম্মদের কার্টুন চিত্র প্রকাশ করায় আগুন ধরিয়ে দেয়া হয় ম্যাগাজিনটির অফিসে৷ তবে এতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি৷
ছবি: picture-alliance/abaca
২ মার্চ, ২০১১
জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট বিমানবন্দরে ইসলামি জঙ্গি আরিদ উকা গুলি চালিয়ে দুই মার্কিন বৈমানিককে হত্যা করে৷ হামলাকারী আফগানিস্তানে মার্কিন সেনাদের কর্মকান্ড নিয়ে একটি ভুয়া ভিডিও দেখে এ হামলায় উদ্বুদ্ধ হয়েছে বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে৷
ছবি: AP
৭ জুলাই, ২০০৫
লন্ডনে আল-কায়েদার সাথে জড়িত চার আত্মঘাতি জঙ্গি তিনটি সাবওয়ে ট্রেন এবং একটি বাসে বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়৷ এই ঘটনায় ৫২ জন যাত্রী নিহত হন৷
ছবি: AP
১১ মার্চ, ২০০৪
স্পেনের মাদ্রিদে চারটি ট্রেনে অফিসগামী যাত্রীদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়৷ মোট নিহত হন ১৯১ জন যাত্রী৷
ছবি: AP
21 ছবি1 | 21
ইউরোপ থেকে দু'মাসের মধ্যে আইএস-এর হাতে
একটি ক্ষেত্রে ‘কার' দেখিয়েছে, ইইউ-তে নির্মিত একটি উচ্চপ্রযুক্তির ট্যাংক-বিধ্বংসী বেতারচালিত সমরাস্ত্র কীভাবে প্রথমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি করা হয় ও পরে সেখান থেকে সিরীয় সংঘাতে সংশ্লিষ্ট এক পক্ষকে সরবরাহ করা হয় এবং শেষ পর্যন্ত ইরাকে আইএস যোদ্ধাদের হাতে গিয়ে পড়ে – সমরাস্ত্রটি কারখানা থেকে বের হওয়ার মাত্র দু'মাসের মধ্যে৷
‘‘সিরিয়া সংঘাতে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীগুলির প্রতি আন্তর্জাতিক অস্ত্র সরবরাহের ফলে আইএস বাহিনীর হাতে অস্ত্রশস্ত্রের মান ও পরিমাণ লক্ষণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে – আইএস গোষ্ঠী যুদ্ধক্ষেত্রে যা বাজেয়াপ্ত করতে পারত, তার চেয়ে এই সব অস্ত্রশস্ত্রের সংখ্যা অনেক বেশি,'' বলে রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে৷
‘কার'-এর বিবরণ অনুযায়ী অস্ত্র হস্তান্তরে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠী ও ব্যক্তিবর্গ বহুক্ষেত্রে জেনেশুনে ঐ সব অস্ত্রশস্ত্রের প্যাকেজিং বদলে বা কারখানার নম্বর রং করে ঢেকে দিয়ে অস্ত্রের উৎস গোপন করার চেষ্টা করেছে৷ গবেষকদের সংগৃহীত তথ্যের ফলে অনেক ক্ষেত্রে দায়রা মামলা সূচিত হয়েছে, যেমন বেলজীয় পুলিশ আইইডি বোমার মশলা সরবরাহের ব্যাপারে তদন্ত করছে৷
২০১৪ সালে আইএস একটি ঝটিতি অভিযানে ইরাক ও সিরিয়ায় বেশ কিছু রাজ্যাঞ্চল দখল করে৷ ইতিমধ্যে অধিকাংশ এলাকা তাদের হাতছাড়া হলেও, আইএস জঙ্গিরা এখনও বিপদ সৃষ্টি করতে পারে, বলে ‘কার' সাবধান করে দিয়েছে৷ দৃশ্যত জঙ্গিরা তাদের নিজস্ব উচ্চপ্রযুক্তির সমরাস্ত্র তৈরির ক্ষমতা অর্জন করেছে৷
‘‘তাদের বিশ্বব্যাপি গতিবিধি, সরবরাহ ও সংগঠনে তাদের প্রামাণ্য দক্ষতা ও সারা দুনিয়া থেকে অনুগামী সংগ্রহের কারণে (আইএস) তাদের সংশ্লিষ্ট এলাকার বাইরে বিদ্রোহ ও সন্ত্রাস রপ্তানি করার ক্ষমতা রাখে,'' বলে রিপোর্টে সিদ্ধান্ত করা হয়েছে৷
ইসলামিক স্টেটের জেলখানার ভেতরটা কেমন?
ইরাকের মসুল শহরকে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করতে অভিযান চলছে৷ এরই মধ্যে একটি জেলখানার সন্ধান পান ইরাকি সেনাবাহিনী৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
সাধারণ ভবন
বাইরে থেকে দেখে কেউ যেন বুঝতে না পারে সেজন্য শহরের আবাসিক এলাকার এই বাড়িতে জেলখানা স্থাপন করেছিল ইসলামিক স্টেট৷ সম্প্রতি এই কারাগারের সন্ধান পান ইরাকি সেনাবাহিনী৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
তবে সব ব্যবস্থা ছিল
শুধু বাইরে থেকে বোঝা যেত না, এই যা৷ কিন্তু জেলখানাটির ব্যবস্থাপনা ছিল সাধারণ কারাগারের মতোই৷ ফলে বন্দিদের সেখানে নেয়ার পর তাদের জামাকাপড় সহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে নেয়া হত৷ পরে কোনো বন্দি ছাড়া পেলে তা ফেরত দেয়া হতো৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
যাদের আটক রাখা হত
আইএস-এর হাতে বন্দি ইরাকি সামরিক বাহিনীর সদস্য ও ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের লোকজনদের ধরে এখানে রাখা হতো৷ স্টিলের এই দরজার পেছনেই ছিল কারাগারের শুরু৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
অভিযানের বয়স আট মাস
মসুল থেকে আইএসকে হটাতে অভিযান চলছে৷ তবে সাধারণ মানুষ বাস করে এমন এলাকায় আইএস সদস্যরা চলে যাওয়ায় অভিযানের গতি কমে গেছে৷ ছবিতে আইএস এর জেলখানার ভেতরে একজন ইরাকি সেনাকে পাহারা দিতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
বোমা তৈরির সরঞ্জাম
জেলখানার একটি ঘরের মেঝেতে বোমা তৈরির সরঞ্জাম পড়ে রয়েছে৷ কোনো স্থান থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় আইএস সাধারণ ঐ স্থানে ‘বুবি ট্র্যাপ’, অর্থাৎ এমন কিছু ফেলে যায় যা অন্যদের ক্ষতি করে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
অমুসলিমদের মাংস খাওয়ার পরামর্শ!
যুদ্ধের সময় প্রয়োজন হলে আইএস তার অনুসারীদের অমুসলিমদের মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে খবর প্রকাশিত হয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Konstantinidis
পর্যবেক্ষণ ক্যামেরা
বন্দিদের উপর সার্বক্ষণিক নজর রাখার জন্য জেলখানার ঘরগুলোতে সার্ভিলেন্স ক্যামেরা বসিয়েছিল আইএস৷