1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

উদ্বাস্তুদের ধরে রাখার চেষ্টা

আনে আলমেলিং/এসি১১ ডিসেম্বর ২০১৫

তথাকথিত ‘ইসলামিক স্টেট'-এর দখল করা এলাকা থেকে প্রতিদিন মানুষজন পালানোর চেষ্টা করেন, আইএস-এর পক্ষে যা একটা সমস্যা৷ কেউ যে তাদের খেলাফত ছেড়ে পালাতে আকুল, এটা হজম করা আইএস-এর পক্ষে শক্ত৷

Symbolbild - Flüchtlinge
ছবি: Getty Images/AFP/B. Kilic

গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসে একটি ছবি সারা পৃথিবীকে অভিভূত, বিমূঢ়, শোকগ্রস্ত করেছিল: সেটি ছিল বোদ্রুমের সৈকতে একটি উদ্বাস্তু শিশুর ভেজা বালিতে পাশ ফিরে শুয়ে থাকার দৃশ্য৷ ছেলেটির নাম আয়লান৷ দেখলে মনে হবে যেন ঘুমিয়ে আছে৷ আসলে আয়লান আর কোনোদিনই উঠবে না৷ সিরিয়া-ইরাক থেকে যে সব মানুষ মরীয়া হয়ে ইউরোপে আসার চেষ্টা করছেন, তাদের ট্র্যাজেডির প্রতীক হয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবে এই তিন বছরের মৃত শিশুটি৷

ইসলামিক স্টেটের ইংরেজি ভাষার প্রচারপত্রিকা ‘দাবিক'-এর ইন্টারনেট সংস্করণেও ছাপা হয়েছিল সেই ছবি, তবে তার ক্যাপশন ছিল: ‘ইসলামের রাজ্য ছাড়ার বিপদ'৷ সঙ্গের প্রতিবেদনে ধর্ম সংক্রান্ত নানা উদ্ধৃতি দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করা হয়েছে যে, সত্যিকারের মুসলমানদের ইসলামিক স্টেট ছেড়ে যেতে চাওয়া উচিত নয়৷ অপরদিকে এই লেখাই বস্তুত আইএস-এর স্বীকৃতি যে, অনেকে তাদের আদর্শ ‘ইসলামি রাষ্ট্র' ছেড়ে যেতে ব্যাকুল৷

‘ভুল দিকে পালানো?'

জার্মানির জনপ্রিয় লেখক ও প্রাক্তন সিডিইউ সাংসদ ইয়ুর্গেন টোডেনহ্যোফার গতবছর ইসলামিক স্টেটে দশদিন কাটান ও পরে তাঁর সেই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লেখেন৷ তাঁর পর্যবেক্ষণ হলো: ‘‘সিরিয়ায় আসাদ প্রশাসনের এলাকা থেকে কেউ খেলাফতের এলাকায় পালাচ্ছে না৷ পালানোটা সবসময়েই উল্টোদিকে: খেলাফতের এলাকা থেকে সরকারি এলাকায়৷'' অথচ ‘দাবিক'-এ রয়েছে: ‘‘ইসলামের রাজ্য স্বেচ্ছায় পরিত্যাগ করা একটা বিপজ্জনক ও বৃহৎ পাপ৷''

কতজন মানুষ যে এ পর্যন্ত আইএস-নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে পালিয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়৷ ইউএনএইচসিআর-এর বিবৃতি অনুযায়ী শুধুমাত্র সিরিয়ার অভ্যন্তরে ৮০ লাখ মানুষ গৃহছাড়া – দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়েছেন আরো ৪০ লাখ৷ সিরিয়া ছেড়ে বিদেশে পালানোটা আইএস-এর ভাবমূর্তির পক্ষে আরো হানিকর, কেননা তাদের ইসলামি রাষ্ট্রের সারা বিশ্বের মুসলমানদের টানার কথা৷ যেমন সিরিয়া, তেমনই ইরাক থেকে উদ্বাস্তুদের পলায়ন আইএস-এর পক্ষে ‘‘লেজিটিমেশন'', অর্থাৎ তাদের ইসলামি রাষ্ট্রের বৈধতা ও যৌক্তিকতার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলে টোডেনহ্যোফার-এর ধারণা৷

উত্তর ইরাকের মোসুল শহরে আগে ২০ লাখের অনেক বেশি মানুষ থাকতেন৷ ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ মোসুল ছেড়েছেন; তাদের মধ্যে যেমন খ্রিষ্টান, তেমনই সুন্নি মুসলমানরাও আছেন৷ টোডেনহ্যোফার-এর মতে এটা আইএস-এর পক্ষে ‘‘লজ্জাকর''৷ কেন এত মানুষ তাদের এলাকা ছেড়ে পালাচ্ছে, সে বিষয়ে ‘দাবিক'-এর প্রতিবেদনে কোনো উচ্চবাচ্য নেই৷ যা আছে, তা হলো সমস্যাটির পরোক্ষ স্বীকৃতি৷

আইএস-এর ইসলামি রাষ্ট্রের সারা বিশ্বের মুসলমানদের টানার কথা – এ কথা কি আপনি বিশ্বাস করেন? জানান নীচের মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ