1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস-এর বিরুদ্ধে ইরান: আমার শত্রুর শত্রু!

মাটিয়াস ফন হাইন/এপিবি৪ ডিসেম্বর ২০১৪

ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়াই-পশ্চিমা দেশ ও ইরানের মধ্যে কেবল এই একটি বিষয়েই মিল নেই৷ আসলে আইএস একটা অস্ত্র এবং এটাইকে নিয়েই চলছে রাজনীতির খেলা – এমনটাই মনে করেন ডয়চে ভেলের মাটিয়াস ফন হাইন৷

Brüssel NATO Hauptquartier Anti IS Allianz
ছবি: Reuters/Eric Vidal

‘আমার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু' – রাজনীতিতে এই কথাটার খুব প্রচলিত৷ এটা মাথায় রেখে যদি ব্রাসেলসের বৈঠকের দিকে তাকানো যায় তাহলে দেখতে পাবেন, জঙ্গি গোষ্ঠী আইএস-এর বিরুদ্ধে নতুন পদক্ষেপের জন্য যে বৈঠক যাকা হয়েছে, সেই প্রতিনিধিদের তালিকায় নেই ইরান৷ আছে অন্য ৬০টি রাষ্ট্র৷

এখন মজার বিষয় হলো এই জঙ্গি দলের বিরুদ্ধে লড়ছে ইরান৷ এমনকি ধারণা করা হচ্ছে, ইরান আইএস নির্মূলে ফাইটার জেট ব্যবহার করছে৷ যুক্তরাষ্ট্র গণমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছে৷ তবে ইরান যথারীতি এই দাবি অস্বীকার করেছে৷ কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে রাজনীতিটা আসলেই একটি ভিন্ন৷ এখানে আমার শত্রুর শত্রু আমার বন্ধুরও শত্রু হতে পারে৷ ইরানের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে৷ ইরান, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক স্টেট৷ কিন্তু অন্যদিকে, ইরান যুক্তরাষ্ট্র এবং এর বন্ধু দেশ ইসরায়েল ও সৌদি আরবের শত্রু৷

ডয়চে ভেলের চীনা বিভাগের মাটিয়াস ফন হাইন৷ছবি: DW

অন্যদিকে, ইরান পশ্চিমা বিশ্বের শত্রু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বন্ধু৷ তবে এমন একটা সময় আসে যখন বন্ধুও শত্রুতে পরিণত হয়৷ তাই আইএস-এর বিরুদ্ধে ইরানের হামলার বিষয়টিতে কোন উপসংহারে পৌঁছানো কঠিন৷ কেননা মার্কিন গণমাধ্যম প্রচার করেছে ইরানের হামলার বিষয়টি৷ কিন্তু ইরান স্বীকার করেনি৷

ইরাকের উপর প্রভাব

আইএস-এর বিরুদ্ধে ইরানের হামলা চালানোর আর একটা কারণ হয়ত ইরাকের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার৷ ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডদের একটা বিশেষ ইউনিট আছে বিদেশে অভিযানের জন্য৷ এর নাম আল-কুদস ব্রিগেডস৷ এই গ্রীষ্মে ঐ ব্রিগেডের প্রধানের একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে তিনি ইরাকে ছিলেন৷ আর যেহেতু ইরানে শিয়াদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, তাই সুন্নিদের হঠিয়ে ইরাকে আধিপত্য বিস্তার করা একটা বড় কারণ৷

প্রতিবেশী দেশগুলোতে ইরানের প্রভাব

প্রতিবেশী দেশগুলোতে যে ইরানের প্রভাব রয়েছে, সেটা খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্টও জানেন৷ তাই হয়ত অক্টোবরে তিনি ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনেইকে একটি চিঠি লিখেছিলেন, যেখানে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আইএস-এর বিরুদ্ধে যে হামলা চালাচ্ছে তাতে ঐ অঞ্চলে ইরানের অবস্থান দুর্বল হবে না এবং ইরানের বন্ধু সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্যও তা ক্ষতির কারণ হবে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ