বুধবার প্যারিসের ‘প্লাস দ্য লা রেপুবলিক'-এ গোলাপি রংয়ের গোলাপ দিয়ে ১৩ নভেম্বরের হামলায় নিহতদের স্মরণ করেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলঁদ৷
এরপর দুই নেতা বৈঠকে বসেন৷ সে সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘সিরিয়া ও ইরাকে দায়েশ (আইএস এর অন্য নাম)-এর বিরুদ্ধে লড়তে জার্মানি আরেকটু বেশি ভূমিকা রাখতে পারে৷'' জবাবে ম্যার্কেল জার্মানি কীভাবে এই ‘অতিরিক্ত দায়িত্ব' পালন করতে পারে সে ব্যাপারে ‘শিগগিরই' সিদ্ধান্ত নেয়ার অঙ্গীকার করেন৷ আইএস-এর সঙ্গে যুদ্ধে ফ্রান্সের পাশে থাকার অঙ্গীকার করে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমরা সন্ত্রাসীদের চেয়ে শক্তিশালী হব৷''
এদিকে বুধবার জার্মানি জানিয়েছে, যে তারা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে সাড়ে ছয়শ সৈন্য পাঠাবে৷ এর ফলে ঐ দেশে ‘জিহাদি'দের সঙ্গে লড়াইরত ফরাসি সৈন্যদের দায়িত্ব একটু কম হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে৷
ম্যার্কেলের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ওলঁদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সঙ্গে কথা বলেন৷ ক্যামেরনও ওলঁদকে সমর্থনের কথা জানান৷ ব্রিটেন ইতিমধ্যে সিরিয়ায় আইএস-এর বিরুদ্ধে আকাশ থেকে হামলা চালাচ্ছে৷ ক্যামেরন বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংসদে আইএস-এর বিরুদ্ধে লড়তে তার নতুন প্রস্তাবের কথা উত্থাপন করবেন৷ এরপর আগামী সপ্তাহে ব্রিটিশ সাংসদরা ক্যামেরনের প্রস্তাব নিয়ে ভোটে অংশ নেবেন৷
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আইএস বিরুদ্ধে লড়তে ওলঁদকে রাশিয়াকে সঙ্গে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷ বৃহস্পতিবার ওলঁদ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন৷
ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে ১৩ই নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ১২৯ জন নিহত ও ৩৫২ জন আহত হয়েছে৷ কেঁপে উঠেছে গোটা বিশ্ব৷ বদলে গেছে অনেক কিছু৷
ছবি: Reuters/C. Allegriজার্মানি ও ফ্রান্সের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন প্যারিসে হামলার প্রাথমিক খবর আসতে থাকে৷
ছবি: picture-alliance/dpaখবর পেয়ে প্যারিসের মানুষের মনে ভয় ও আতঙ্ক ছেয়ে যায়৷ কর্তৃপক্ষ মানুষকে বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দিয়েছিল৷
ছবি: picture-alliance/dpaবাটাক্লঁ কনসার্ট হলে হেভি মেটাল সংগীত চলাকালীন সন্ত্রাসবাদীরা কিছু মানুষকে পণবন্দি করেছিল৷ রাত একটা নাগাদ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে৷
ছবি: Reuters/C. Hartmannফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওলঁদ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন৷ ফুটবল ম্যাচের বিরতির সময়ে তিনি স্টেডিয়াম ছেড়ে গিয়েছিলেন৷ তাঁকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে জানা যায়৷
ছবি: Reutersফ্রান্স ও জার্মানির জাতীয় দল এবং দর্শকরা কিন্তু স্টেডিয়াম ছেড়ে যাবার অনুমতি পাননি৷ সে সময়ে তাঁদের মনের অবস্থা কী ছিল, তা অনুমান করা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Alexandreপ্রায় সব আততায়ী নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে৷ একজন সীমান্ত পেরিয়ে বেলজিয়ামে প্রবেশ করেছে৷ পুলিশ সূত্র অনুযায়ী হামলাকারীদের মধ্যে কমপক্ষে দু’জন বেলজিয়ামে বসবাস করতো৷
ছবি: Getty Images/K. Tribouillardপ্যারিসে একাধিক হামলায় আহত অনেক মানুষের অবস্থা সংকটজনক৷ ফলে নিহতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Bureauপ্যারিসে হামলার পর আন্তর্জাতিক স্তরেও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে৷ যেমন নিউ ইয়র্কে ফরাসি কনসুলেটের সামনে আরও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/S. Plattনিউ ইয়র্কে ‘ওয়ান ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার’-এর অ্যান্টেনায় ফরাসি জাতীয় রং ফুটিয়ে তোলা হয়৷ নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো বলেন, ‘‘আমরা ফরাসি জাতির সঙ্গে সংহতির বন্ধনে আবদ্ধ৷’’
ছবি: Reuters/C. Allegri
জেডএইচ/এসবি (এএফপি, এপি)