জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর আরো দু’জন সদস্যকে আটক করা হয়েছে, দাবি গোয়েন্দা বিভাগের৷ তারা উচ্চ শিক্ষিত ও তথ্য-প্রযুক্তিতে পারদর্শী৷ বাংলাদেশে গত আট মাসে এ নিয়ে ২০ জনকে আইএস-এর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক করা হলো৷
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলো আমিনুল ইসলাম বেগ (৩৫) এবং সাকিব বিন কামাল (৩০)৷ গত রবিবার তাদের ঢাকার উত্তরা ও লালমাটিয়ায় নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়৷ তাদের কাছ থেকে একটি ল্যাপটপ, একটি ল্যাপটপ চার্জার, তিনটি মুঠোফোন, বিভিন্ন লেখকের সাতটি জিহাদি বই ও ডায়েরি জব্দ করা হয়েছে বলে খবর৷
এদের মধ্যে আমিনুল বরিশাল ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিল৷ পরে মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশুনা করে আমিনুল ইসলাম৷ দেশে কয়েকটি মোবাইল ফোন কোম্পানিতে চাকরি করার পর, কোকাকোলার আইটি বিভাগের প্রধান হিসেবে যোগ দেয়৷ আর সাকিব ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে লেখাপড়া শেষ করে লালমাটিয়ার একটি ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিল৷ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার আদালতের মাধ্যমে তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেয়া হয়েছে৷
ঢাকা মোট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মুখপাত্র এবং গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘আমিনুল আইএস-এর নির্দেশিত খিলাফত প্রতিষ্ঠায় কাজ করছিল৷ এ জন্য নানাভাবে তথ্য প্রচার, গোপনে অর্থ ও কর্মী সংগ্রহ, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার পরিকল্পনাসহ বিভিন্নভাবে ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছিল ও৷''
হত্যা, আতঙ্ক আর ঘৃণায় আইএস
শুধু ইরাক আর সিরিয়া নয়, আজকাল বিশ্বের অনেক দেশেই ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর তৎপরতার কথা শোনা যায়৷ খেলাফত কায়েমের কথা বলে মধ্যপ্রাচ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা জঙ্গি সংগঠনটিকে নিয়েই আমাদের আজকের ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Jordan News Agency
তাদের কাছে নারী যেন বাজারের পণ্য
অনেক সময় আটক নারী ও শিশুদের আইএস জঙ্গিরা যৌন দাস হিসেবে ব্যবহার করে৷ সম্প্রতি আইএস-এর কবল থেকে পালিয়ে আসা ৪০ জনেরও বেশি ইয়াজিদি নারীর সঙ্গে কথা বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল৷ নারী ও শিশুদের সঙ্গে আইএস-এর এমন আচরণে নিন্দা জানিয়েছেন সবাই৷
ছবি: DW/Andreas Stahl
সাংবাদিক, এনজিওকর্মী হত্যা করে হুমকি
তাদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা বন্ধ না করায় যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে নিরপরাধ মানুষ হত্যার বেশ কিছু নজীর গড়েছে আইএস৷ বিমান হামলার প্রতিশোধের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের দু’জন সাংবাদিক, একজন এনজিও কর্মী এবং ব্রিটেনের দু’জন এনজিও কর্মীর শিরশ্ছেদ করেছে তারা৷ ওপরের ছবিতে দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক জেমস ফলিকে৷ গত আগস্টে তাঁর শিরশ্ছেদ করে ভিডিওচিত্র প্রচার করে আইএস৷
ছবি: dapd
মুসলমান হলেও রক্ষা নেই....
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে সিরীয় শরণার্থীদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন পিটার কাসিগ৷ মুসলমান হিসেবে তাঁর নাম হয়েছিল আব্দুল রহমান কাসিগ৷ গত নভেম্বরে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হওয়ায় তাঁকেও হত্যা করে আইএস৷ হত্যার পর ভিডিও চিত্রও প্রকাশ করা হয়৷ নৃশংস এ ঘটনাকে ‘শয়তানের কাজ' হিসেবে বর্ণনা করেন বারাক ওবামা৷
ছবি: picture-alliance/AP/Kassig Family
জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবি, তারপর...
জাপানের দুই নাগরিককে জিম্মি করে প্রথমে ২০০ মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দাবি করে আইএস৷ মুক্তিপণ না পাওয়ায় হারুনা ইউকাওয়াকে হত্যা করলেও সাংবাদিক কেনজি গোতোকে আটকে রাখে৷ গোতো এবং জর্ডানের বৈমানিক আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে জিম্মি করে তাঁদের প্রাণের বিনিময়ে জর্ডানে আটক আইএস-এর এক নারী যোদ্ধার মুক্তি দাবি করা হয়৷ তাঁকে মুক্তি না দেয়ায় কেনজি গোতো এবং আইমান মাজ-আল-কাসাবেহকে হত্যা করে আইএস৷
ছবি: Reuters/www.reportr.co via Reuters TV
ইরাকে শুরু....
গত বছরের জুন মাসে ঝটিকা আক্রমণের ইরাকের মোসুল দখল করে নেয় আইএস৷ সুন্দিদের এই জঙ্গি সংঠনটি তারপর ইরাকের বেশ বড় একটা অংশে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে৷ সিরিয়াতেও দখল করে নেয় কিছু এলাকা৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
বাংলাদেশেও তৎপর আইএস...
আইএস সরাসরি যুদ্ধ করছে ইরাক আর সিরিয়ায়৷ যোদ্ধা সংগ্রহ করা হচ্ছে বিশ্বের প্রায় সব প্রান্ত থেকে৷ জার্মানি, বৃটেন, ফ্রান্স, বেলজিয়ামের মতো ইউরোপীয় দেশগুলো থেকে জঙ্গি মনোভাবাপন্নরা গিয়েছে ইরাক, সিরিয়ায়৷ এশিয়ার দেশগুলোতেও তৎপর আইএস৷ বাংলাদেশেও আইএস সমর্থক সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েকজনকে৷
ছবি: Reuters
জুতার নীচে আইএস!
আইএস-এর প্রতি ঘৃণাও বাড়ছে সারা বিশ্বে৷ ইরাকের স্থপতি আকীল খ্রীফ তো আইএস জঙ্গিদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করতে বেছে নিয়েছেন অভিনব এক উপায়৷ পুরোনো জুতা সংগ্রহ করে তার নীচে জুতার পরিত্যক্ত ফিতা, বোতাম ইত্যাদি দিয়ে ফুটিয়ে তুলছেন আইএস জঙ্গিদের চেহারার আদল৷ আকীল খ্রীফ মনে করেন, আইএস জঙ্গিদের স্থান জুতার নীচেই হওয়া উচিত৷
ছবি: Armend Nimani/AFP/Getty Images
বৈমানিককে পুড়িয়ে মারা এবং জর্ডানের ‘প্রতিশোধ’
আটক নারী যোদ্ধাকে মুক্তি না দেয়ায় জর্ডানের বৈমানিক আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে মারে আইএস৷ ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেও দেরি করেনি জর্ডান৷ আইমান মুয়াত আল-কাসেসবেহ-কে (ওপরের ছবি) হত্যা করে আইএস ভিডিও প্রকাশের পরই তাদের নারী যোদ্ধা সাজিদা আল-রিশোয়াই ও আরেক কর্মীকে ফাঁসিতে ঝোলায় জর্ডান সরকার৷
গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল আলম ডয়চে ভেলেকে জানান, আইএস নিয়ে ইন্টারনেটে ব্যাপক পড়াশুনা রয়েছে আমিনুলের৷ আইএস-এর মতাদর্শ নিয়ে ইন্টারনেটে সে নিয়মিত লেখালেখিও করতো৷ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুল জানায়, যে ২০ জনকে সে আইএস-এর আদর্শে অনুপ্রাণিত করেছে, তাদের মধ্যে দু-তিনজন ইতিমধ্যেই ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়া গেছে৷
বাংলাদেশে সংগঠিত হচ্ছে আইএস জঙ্গিরা
গত আগস্ট মাসে ইউটিউব-এ প্রকশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, পাঁচজন ‘বাংলাদেশি' যুবক ইসলামিক স্টেট-এ র প্রধান আবু বকর আল-বাগদাদির কাছে জিহাদের শপথ নিচ্ছে৷ তারা শপথ নেয় বাংলায়৷ আর তারপর থেকেই বাংলাদেশের গোয়েন্দারা এখানে আইএস-এর তৎপরতার ব্যাপারে জানতে পান৷
যুক্তরাষ্ট্রে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত আইএস নিয়ে বাংলাদেশে কাজ করা একজন গোয়েন্দা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘ইসলামিক স্টেট-এর সঙ্গে বাংলাদেশের কিছু তরুণ প্রধানত ফেসবুক এবং টুইটারের মাধ্যমেই যোগাযোগ করে৷ এই পেজগুলো অবশ্য এখন ছদ্মনামে থাকে৷ থাকে ব্যক্তিগতও নামেও৷ গত বছর ‘আইএস বাংলাদেশ' নামে একটি ফেসবুক পেজ শনাক্ত করার পর, তা বন্ধ হয়ে যায়৷ সেই পেজে লাইক ছিল দেড় লাখেরও বেশি৷ তবে এখন এদের যোগাযোগে ভাষায় পরিবর্তন এসেছে৷
জানা গেছে, এই তরুণদের একাংশ জেএমবি-র সঙ্গে জড়িত, যারা আইএস-এর উত্থানে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিকে ঝুঁকছে৷ এছাড়াও আরো কিছু মানুষ আছে, যারা আইএস-এর ভাবধারা এবং নানা টেক্সট পড়ে উদ্বুদ্ধ হয়৷
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের সূত্র ধরেই বাংলাদেশের গোয়েন্দরা গত বছর থেকে এ সব তরুণদের শনাক্ত করা শুরু করেন৷ গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, ‘‘গত আট মাসে এ পর্যন্ত কম-বেশি ২০ জনকে আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক করা হয়েছে৷ তারা সিরিয়া অথবা ইরাকে গিয়ে আইএস-এ যুক্ত হয়ে ‘জিহাদে' অংশ নিতে ব্যাকুল ছিল৷''
গত বছরের ১৯শে সেপ্টেম্বরে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র ভারপ্রাপ্ত আমির আব্দুল্লাহ আল-তাসনিম ওরফে নাহিদসহ সাতজনকে আটক করেন গোয়েন্দরা৷ তাদের সঙ্গে আইএস-এর যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়৷ এরপর সাখাওয়াতুল কবির, আনোয়ার হোসেন বাতেন, রবিউল ইসলাম আর নজরুল ইসলাম নামে চারজনকে আটক করে পুলিশ৷
সাখাওয়াতের ভায়রা শামীম ও বাতেনের ভগ্নিপতি সায়েম পাকিস্তানে থাকতো এবং তারা দু'জনেই আইএস-এর সঙ্গে জড়িত ছিল৷ বলা বাহুল্য, তারাই বাংলাদেশে সাখাওয়াতকে সংগঠনের সমন্বয়কের দায়িত্ব দিয়েছে৷ সাখাওয়াত পাকিস্তান, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করেছে৷ পরবর্তীতে পাকিস্তানে জঙ্গিবিরোধী এক অভিযানে শামীম ও সায়েম নিহত হয়৷
২৮শে সেপ্টেম্বর ঢাকার কমলাপুর রেল স্টেশনে সামিউন রহমান ইবনে হামদান নামে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়৷ ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর সদস্য সংগ্রহ করে সিরিয়ায় পাঠানোর জন্য বাংলাদেশে এসেছিল হামদান৷
ইরাক ও সিরিয়া থেকে আইএস-কে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা
জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট বা আইএস-কে ইরাক ও সিরিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে ওয়াশিংটনের অদূরের এক সামরিক ঘাঁটিতে বৈঠক করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ সেই নিয়েই ছবিঘর৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Augstein
কোবানির বর্তমান অবস্থা
সিরিয়ার কোবানিতে চলছে আইএস-বিরোধী বিমান হামলা৷ লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ‘সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস’ জানিয়েছে, সিরিয়া-তুরস্ক সীমান্তের কোবানি শহরের এক-তৃতীয়াংশ দখল করে নিয়েছে ইসলামিক স্টেট৷
ছবি: REUTERS/U. Bektas
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি
মঙ্গলবার সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর কোবানিতে ২১ বার বিমান থেকে বোমা হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট৷ সে হামলায় শহরটির পুরোপুরিভাবে ইসলামিক স্টেটস বা আইএস-এর নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়া আপাতত রোখা গেছে বলে দাবি করা হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/G. Sahin
ওবামার বৈঠক
ইরাক ও সিরিয়া থেকে আইএস-কে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা প্রণয়নে জোটভুক্ত দেশগুলোর সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা৷ ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস-এর তৎপরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি৷
ছবি: Reuters/Kevin Lamarque
ইরাক ও সিরিয়া থেকে নিশ্চিহ্ন করার পরিকল্পনা
ওবামা ওয়াশিংটনের অদূরের এক সামরিক ঘাঁটিতে বৈঠক করেন৷ বৈঠকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জেনারেল মার্টিন ডেম্পসিকে সঙ্গে নিয়ে পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের মোট ২০টি দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন৷
ছবি: Reuters/G. Cameron
যুদ্ধটি হবে দীর্ঘমেয়াদী
বৈঠক শেষে ওবামা জানান, আইএস বিরোধী জোট ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’-এর এ বৈঠকে অংশ নেয়া সবাই একটি বিষয়ে একমত হয়েছেন যে, ‘‘আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধটি হবে দীর্ঘমেয়াদী’’৷
ছবি: Reuters/Umit Bektas
নীরব দর্শকের ভূমিকায় তুরস্ক
মাত্র কয়েক’শ গজ দূরের সীমান্ত থেকে নীরব দর্শকের মতো যুদ্ধ দেখছে তুরস্কের সেনাবাহিনী৷ নিজেদের আকাশসীমা ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রকে আইএস-এর ওপর হামলা চালানোর অনুমতি দেয়নি তুরস্ক৷
ছবি: picture-alliance/AA
তুর্কি সরকারের কাছে কুর্দি বিদ্রোহীদের আহ্বান
কুর্দি বিদ্রোহীরা বলে আসছে, আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে তারা তুরস্কের সেনাবাহিনীর সহায়তা চায় না৷ তারা চায়, কোবানিকে রক্ষা করতে যেসব অস্ত্র প্রয়োজন সেগুলো কুর্দি যোদ্ধাদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য তুর্কি সরকার তাদের ভূমি ব্যবহার করার অনুমতি দিক৷ কুর্দিদের সেই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে তুরস্ক৷
ছবি: Reuters/Rodi Said
জার্মানিতে বিক্ষোভ
শনিবার( ১১.১০.১৪) জার্মানির ড্যুসেলডর্ফে কয়েক হাজার কুর্দি কোবানিতে আইএস জঙ্গিদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Augstein
8 ছবি1 | 8
ইসলামিক স্টেট-এর জন্য অনলাইনে সদস্য সংগ্রহের অভিযোগে ২৫শে সেপ্টেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টন এলাকা থেকে মো. হিফজুর রহমান নামের ২২ বছর বয়সি আরেক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
ঐ সময় সেগুনবাগিচা ও রমনা এলাকা থেকে মো. আসিফ আদনান (২৬) ও মো. ফজলে এলাহী তানজিল (২৪) নামের দু'জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবি করে গোয়েন্দা পুলিশ৷
গত মাসে ঢাকার মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এমআইএসটি) প্রকৌশল বিভাগের ছাত্র আশেকুর রহমানের সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট-এ যোগদানের খবর নিয়ে তোলপাড় হয় বাংলাদেশে৷
ওদিকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে জঙ্গিদের ওপর বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়া বাংলাদেশের ঐ গোয়েন্দা কর্মকর্তা সানোয়ার হোসেন জানান, ‘‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘লাইক' দেয়ার মাধ্যমে প্রধানত আইএস-এর সঙ্গে বাংলাদেশি যুবকদের যোগাযোগ শুরু হয়৷ এরপর বাংলাদেশি যুবকদের আগ্রহ বিবেচনা করে আইএস যোগাযোগ বাড়ায়৷ এই যোগাযোগ অবশ্য এখন আর সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে হয় না, হয় ভিন্ন উপায়ে৷''
তিনি বলেন, ‘‘এরা সাধারণত এক ধরণের ‘হিরোইজম' বা ‘স্বপ্ন' থেকে আইএস-এর দিকে ঝুঁকে পড়ে৷'' তিনি আরো বলেন, ‘‘নানা মাধ্যমে আমরা অন্তত ১০০ জন তরুণকে শনাক্ত করেছি, যারা বাংলাদেশ থেকে সিরিয়া বা ইরাকে গিয়ে সরাসরি আইএস-এ যোগ দিতে চায়৷''