1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস-কে রোখার ব্যাপারে ওয়াশিংটন, আঙ্কারা একমত নয়

৯ অক্টোবর ২০১৪

তুরস্ক শুধু তখনই আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে, যখন ওবামা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে আবার সক্রিয় হবেন৷ আঙ্কারার পররাষ্ট্রনীতি এখন খোলাবাজারের দরাদরিতে পরিণত হয়েছে, বলে মিওদ্রাগ জোরিচ মনে করেন৷

মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে সবসময় ভেবে-চিন্তে, হিসেব-নিকেশ করে কথা বলেন না, তা তাঁর শত্রু-মিত্র সবাই জানে৷ তার ফলে মাঝেমধ্যে গোলযোগের সৃষ্টি হয় বৈকি৷ সম্প্রতি তিনি আইএস বা আইসিস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘‘মিত্রদের'' সম্পর্কে বলেছেন যে, তুরস্ক সহ এই মিত্ররাই হলো যুক্তরাষ্ট্রের মূল সমস্যা৷ ছাত্র জনতার সামনে বাইডেন বলেন, আঙ্কারা বহুদিন ধরে সন্ত্রাসীদের মদত দিয়ে আসছে৷ বাইডেনের এই মন্তব্যে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান এতই রুষ্ট হন যে, ভাইস প্রেসিডেন্টকে তাঁর মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হয়৷

অথচ বাইডেন শুধু সত্যি কথাটাই বলেছিলেন৷ তিনি সে'কথা প্রত্যাহার করেন, শুধুমাত্র তুরস্কের সঙ্গে এমনিতেই সমস্যাকর সম্পর্ক আরো সমস্যাপূর্ণ না করে তোলার তাগিদ কিংবা প্রয়োজনে৷ কেননা ওয়াশিংটন এখনও আশা করে চলেছে যে, ন্যাটো-সদস্য তুরস্ক মত বদলে অবশেষে আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে কুর্দদের সাহায্য করবে৷ কিন্তু আঙ্কারা এখনও দোনামোনা করছে৷ অপরদিকে তুর্কি সরকার মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর চাপ বৃদ্ধি করে চলেছে: ওবামা যখন আবার আসাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করবেন, তুরস্কও তখন আইএস-এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবে – ওয়াশিংটনকে এই সংকেত দেওয়া হয়েছে৷

মিওদ্রাগ জোরিচছবি: privat

ওবামাকে ব্ল্যাকমেল করা সম্ভব নয়

আঙ্কারার পররাষ্ট্রনীতি যেন বাজারে দর কষাকষি৷ কিন্তু ওবামা দরাদরি করতে রাজি নন – তাঁকে ব্ল্যাকমেল করার তো কোনো প্রশ্নই ওঠে না৷ কাজেই তুরস্ক কোবানির কুর্দদের সাহায্য করতে, এমনকি তাদের রসদ পাঠাতেও রাজি নয় – যার ফলে কোবানিতে আইএস যদি শেষমেষ হত্যাকাণ্ড চালায়, তবে তার দোষ কিছুটা তুরস্কের উপরেও বর্তাবে৷ মোট কথা, তুরস্কের পক্ষে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আসাদই হলেন মূল বৈরী৷ অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্র চায় প্রথমে আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামের উপর জোর দিতে৷ শেষমেষ হয়ত আইএস এবং আসাদ, উভয়েই তাদের হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যেতে পারবে৷

কোবানির পতন ঘটলে ওবামাকে সমালোচনা শুনতে হতে পারে – বিশেষ করে রিপাবলিকানদের তরফ থেকে৷ মার্কিন সংসদীয় নির্বাচনের চার সপ্তাহ আগে রিপাবলিকানরা প্রধানত ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতির সমালোচনায় মুখর৷ আরো বড় কথা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন অথবা সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়ন পানেটার মতো প্রাক্তন সহযোগীরাও এখন ওবামার মধ্যপ্রাচ্য নীতির পরোক্ষ সমালোচনা করছেন৷ প্রেসিডেন্ট ওবামার বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ: ওবামা সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি করেছেন – বিশেষ করে সিরিয়ায় মধ্যমপন্থি সরকার-বিরোধীদের অস্ত্রসরবরাহের ব্যাপারে৷ এক্ষেত্রে তাঁরা নির্দ্বিধায় ধরে নিচ্ছেন যে, মধ্যমপন্থি সরকার-বিরোধী বলে সিরিয়ায় কিছু একটা বা কেউ আছে – ওবামা নিজে যে বিষয়ে সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন৷

আবার ভিয়েতনাম?

দু'পক্ষের মধ্যে কার দৃষ্টিভঙ্গিটা ঠিক, মার্কিন মুলুকের ভোটারদেরও সেটা জানা নেই৷ তবে ভোটাররা দেশের রাজনীতিক মহলের দ্বিধাবিভক্ত অবস্থা দেখে বিশেষ সুখি নন: এমনকি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রামের ক্ষেত্রেও মার্কিন রাজনীতিকরা একযোগে কাজ করতে সমর্থ নন৷

আগামী নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটদের ভরাডুবি ঘটলেও ওবামা তাঁর নীতি বদলাবেন, বলে মনে করার কোনো কারণ নেই৷ তিনি সিরিয়া কিংবা ইরাকে কোনো সৈন্য পাঠাবেন না৷ প্রেসিডেন্ট জনসন এককালে যে ভুল করেছিলেন, ওবামা তা করতে চান না৷ জনসন ধীরে ধীরে যুক্তরাষ্ট্রকে ভিয়েতনাম যুদ্ধে জড়িয়ে ফেলেন – যার ফলশ্রুতি কোনো মার্কিনিকে নতুন করে বোঝানোর প্রয়োজন পড়ে না৷

সংবাদভাষ্য: মিওদ্রাগ জোরিচ/এসি

সম্পাদনা: দেবারতি গুহ

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ