ভারতে জঙ্গি সংগঠন আইএস যে তাদের তৎপরতা বাড়িয়েছে, তা স্বীকার করল নরেন্দ্র মোদী সরকার।
বিজ্ঞাপন
লোকসভায় একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিষেণ রেড্ডি জানিয়েছেন, দক্ষিণ ভারতের তিন রাজ্য কেরালা, অন্ধ্র প্রদেশ ও তেলেঙ্গানায় আইএস সব চেয়ে বেশি সক্রিয়। তা ছাড়া তারা প্রভাব বাড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও জম্মু-কাশ্মীরে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে তারা মূলত এই কাজ করছে বলে মন্ত্রী জানিয়েছেন।
সূত্র জানাচ্ছে, আইএস তৎপরতা গত এক বছরে অনেক বেশি বেড়েছে। কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভেঙে দুইটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার পরই তাঁদের তৎপরতা বাড়ে। দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে আইএসের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
সূত্রের বক্তব্য, পশ্চিমবঙ্গে আইএসের তৎপরতা বাড়ার একটা কারণও আছে। প্রধান কারণ হলো রাজ্যের দীর্ঘ অন্তর্জাতিক সীমান্ত। মোট তিনটি দেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত আছে। বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটান। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত বা ভারত-চীন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর যে প্রহরা থাকে সেই ধরনের প্রহরা পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তে থাকে না। তাই এখানে সীমান্ত পেরিয়ে আসা সেই তুলনায় কিছুটা সহজ। তাই আইএসের নজর পশ্চিমবঙ্গের উপর পড়া অস্বাভাবিক নয় বলে সূত্র জানাচ্ছে।
সিরিয়ায় আইএস জঙ্গিদের বন্দিজীবন
যুদ্ধে হেরে যাওয়ায় আইএস জঙ্গিরা এখন সিরিয়ায় বন্দি৷ ১০ হাজারের বেশি জঙ্গি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়েছে সিরিয়ার হাসাকা শহরে৷ ছবিঘরে দেখুন সেখানে কেমন আছেন তারা৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
জঙ্গিদের বন্দিজীবন
২০১৪ সালে ইসলামি খেলাফত কায়েম করার কথা বলে সিরিয়ায় যুদ্ধ শুরু করে তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)৷ যুদ্ধের সময় অনেক মানুষ হত্যা করেছে তারা৷ কিন্তু গত বছর যুদ্ধে নিজেদের শেষ ঘাঁটিটিও হারানোর পর থেকে তারা বন্দি৷ সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের হাসাকা শহরে বন্দি আছে দশ হাজারেরও বেশি জঙ্গি এবং জঙ্গিদের স্ত্রী, সন্তান৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
কুর্দিদের কাছে বন্দি
যুদ্ধের সময় এই এলাকাটি ছিল কুর্দি যোদ্ধাদের দখলে৷ পরাজিত আইএস যোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কারাগারে পুরেছে কুর্দিরাই৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
জায়গার অভাব
কোয়ামিশি শহরের কাছের এই এলাকাটিতে একটি কারাগার রয়েছে৷ সেখানে সব জঙ্গির জায়গা হয়নি৷ তাই স্থানীয় স্কুলেও রাখা হয়েছে আইএস যোদ্ধা এবং তাদের সহায়তাকারীদের৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
দুই হাজার বিদেশি
যুদ্ধের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অনেক মানুষ আইএস-এ যোগ দিয়েছিলেন৷ তারাও এখন বন্দি৷ হাসাকার দশ হাজারের মধ্যে অন্তত দুই হাজার জঙ্গিই বিদেশি৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
বিদেশিদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
কুর্দি যোদ্ধারা জানিয়েছেন, এত বন্দি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের কঠোর নিরাপত্তায় রাখতে তারা হিমসিম খাচ্ছেন৷ বিদেশি বন্দিদের অনেকেই এসেছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে৷কিন্তু কোনো দেশই তাদের ফেরত নিতে চায় না৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
‘আমাদের কী শাস্তি হবে?’
সিরীয় আইএস যোদ্ধা মাহমুদ মোহাম্মদ রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমাদের কী হবে জানতে চাই৷ আমরা আমাদের পরিবার সম্পর্কে কিছু জানি না৷ তারা বেঁচে আছে নাকি মরে গেছে, সিরিয়ায় আছে নাকি বাইরে, কিছুই জানি না৷ তাছাড়া কী শাস্তি হবে তা-ও আমরা জানি না৷’’
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
হাসপাতালে শতাধিক জঙ্গি
হাসাকার ৫০ শয্যার হাসপাতালে রয়েছে শতাধিক অসুস্থ এবং যুদ্ধাহত জঙ্গি৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
নারী, শিশু বাইরে
জঙ্গিদের স্ত্রী এবং সন্তানদের কারাগারের বাইরে রাখা হয়েছে৷ নারীরা ঘোরাফেরা করতে পারেন, শিশুরা খেলতে পারে মাঠে৷
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
‘দেশে ফিরতে চাই না’
কুর্দি যোদ্ধাদের অনুমতি নিয়ে নয়জন আইএস জঙ্গির সঙ্গে কথা বলেছে রয়টার্স৷ তবে জঙ্গিদের স্ত্রীরা কথা বলতে রাজি হননি৷ হংকং থেকে আসা এক নারী কথা বললেও নাম প্রকাশ করতে চাননি৷ রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘‘আমার একটা সন্তান৷ স্বামী মারা গেছে৷ আমি জানি এখানে পরিস্থিতি ভালো নয়৷ এটা কোনো ঘর নয়, স্রেফ একটা তাঁবু৷ তবু আমি দেশে ফিরবো না৷ সবাইকে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হয়৷ আল্লাহ চাইলে সব ভালো হবে৷’’
ছবি: Reuters/G. Tomasevic
9 ছবি1 | 9
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আইএস যোগের কয়েকটি অভিযোগ আছে। প্রথমটি হলো সাত বছর আগের খাগড়াগড় বিস্ফোরণ। যার সঙ্গে মূলত জেএমবি জড়িত ছিল। কিন্তু পরে ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ তদন্তে দেখা গেছে, এখানে আইএসেরও যোগ ছিল। সম্প্রতি ধনেখালির প্রজ্ঞা দেবনাথ ওরফে জান্নাতুন তাসনিমকে বাংলদেশে গ্রেফতার করা হয়। জেএমবি-র নারী বাহিনীর এই সদস্যের সঙ্গেও আইএসের যোগ ছিল বলে অভিযোগ। প্রজ্ঞার সঙ্গেও সামাজিক মাধ্যমেই জঙ্গিবাহিনীর যোগাযোগ হয়েছিল। তাছাড়া কৈখালি একজন ইঞ্জিনিয়র এবং মুসা বলে আরেকজনকে ধরা হয়েছে। তাদেপ সঙ্গেও আইএসের যোগ আছে বলে অভিযোগ।
ফলে রাজ্যে আইএসের কার্যকলাপ নেই বা ছিল না, এমন নয়। কিষেণ রেড্ডির দাবি, এই তৎপরতা আরো বেড়েছে। তিনি যে সব রাজ্যের নাম দিয়েছেন তার মধ্যে বিরোধী শাসিত পশ্চিমবঙ্গ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান যেমন আছে তেমনই বিজেপি শাসিত উত্তর প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ , বিহার ও জম্মু ও কাশ্মীরও আছে। ফলে এটাকে বিরোধীদের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে এই কথা বলা যাবে না।
তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ ও রাজ্যসভার চিফ হুইপ সুখেন্দু শেখর রায় ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, আইএস যে কাশ্মীরে জেহাদিদের আবার সংগঠিত করতে চাইবে, দেশের অন্যত্রও কিছু শাখা সংগঠন গড়ে তুলতে চাইবে সেটা তাদের চালু রণনীতির অঙ্গ। অনেক দিন ধরেই তারা এ ভাবে কাজ চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে যে কোনো কারণেই তারা এতদিন সেভাবে মাথা তুলতে পারেনি। খাগড়াগড়ের পর বিদেশি সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সঙ্গে জঙ্গিদের যোগের প্রমাণ মিলেছে। তই এখানে জঙ্গিগোষ্ঠীর কোনো প্রভাব নেই এটা বলা মুশকিল। কেন্দ্রের কাছে অবশ্যই এ নিয়ে খবর থাকতে পারে।
আইএস এখনো যেসব দেশের জন্য হুমকি
মার্কিন সামরিক অভিযানে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) নেতা আবু বকর আল বাগদাদি নিহত হয়েছেন৷ তবে এখনও অনেক দেশের জন্য এই জঙ্গি গোষ্ঠীকে বড় হুমকি হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা৷
ছবি: dpa
ইরাক
দেশটিতে মার্কিন সমর্থিত বাহিনীর কাছে হেরে আইএস যোদ্ধারা গেরিলা যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে৷ এখনও তারা ইরাকের কয়েকটি প্রদেশে অপহরণ ও বোমাবাজি করছে৷ বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরাকে প্রায় দুই হাজার আইএস যোদ্ধা সহিংস তৎপরতা চালাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/Dabiq
সিরিয়া
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সত্ত্বেও গত বছর সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে আইএস৷ অ্যামেরিকান বাহিনীকেও টার্গেট করেছে তারা৷ ইসলামিক স্টেটের যোদ্ধারা সিরিয়ার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মরুভূমিতে সক্রিয় রয়েছে৷
ছবি: DW/Judit Neurink
মিশর
বিগত এক বছরে মিশরে কোনো বড় আক্রমণ না হলেও দেশটিতে বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটছে৷ দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিনাই প্রদেশে অভিযানে কয়েকশ উগ্রপন্থি নিহত হয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/K. Desouki
সৌদি আরব
সৌদি আরবে বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ এবং নিরাপত্তা বাহিনীসহ সংখ্যালঘু শিয়াদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছে আইএস৷ সৌদি আরব যখন আইএসের বিরুদ্ধে প্রচারে অংশ নিয়েছিল তখন তাদের বিরুদ্ধেও আক্রমণ চালানোর আহ্বান জানিয়েছিল গোষ্ঠীটি৷ অ্যামেরিকান থিঙ্কট্যাঙ্ক সেন্টার ফর গ্লোবাল পলিসি বলছে, আইএস সৌদি আরবে এখনও সক্রিয় এবং সৌদি কর্তৃপক্ষ এ সম্পর্কে ভালো জানে৷
ছবি: dpa
ইয়েমেন
আইএস ২০১৪ সালের শেষদিকে ইয়েমেন শাখা ঘোষণা করে৷ হুতি বিদ্রোহী ও সৌদি আরব সমর্থিত আবদ রাব্বু মনসুর হাদির সরকারের মধ্যে গৃহযুদ্ধ চলছে৷ ইয়েমেনে আইএস আল কায়েদার সাথে লড়াই করছে এবং উভয় দল শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধেও লড়ছে৷ দেশটিতে অনেক হামলা ও হত্যার দায় আইএস স্বীকার করলেও কোনো অঞ্চল তাদের দখলে নেই৷
ছবি: Getty Images/AFP/D. Souleiman
নাইজিরিয়া
বোকো হারাম ২০০৯ সাল থেকে উত্তর নাইজেরিয়ায় বেশ কয়েকটি বড় আক্রমণ চালিয়েছে৷ ২০১৬ সালে এই গোষ্ঠীকে দুইটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে, যার একটি অংশ আইএসের প্রতি অনুগত৷ আইএস পশ্চিম আফ্রিকায় গত বছর বেশ কয়েকটি সামরিক ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল৷ এই অঞ্চলে গোষ্ঠীটির আধিপত্য বাড়ছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Marte
আফগানিস্তান
দেশটিতে ২০১৫ সাল থেকে সক্রিয় রয়েছে আইএস৷ এখনো নানগারহার প্রদেশে তাদের খুব শক্তিশালী মনে করা হয়৷ অ্যামেরিকান কমান্ডাররা বলছেন, আফগানিস্তানে প্রায় দুই হাজার আইএস যোদ্ধা তালেবানকে আক্রমণ করতে পারে৷
ছবি: picture-alliance/Xinhua/E. Waak
শ্রীলঙ্কা
এপ্রিলে শ্রীলঙ্কায় গির্জা ও হাসপাতালে বোমা হামলায় জড়িত ছিল বলে দাবি করে আইএস৷ শ্রীলঙ্কার কর্মকর্তারা বিস্ফোরণের জন্য তাদের সঙ্গে যুক্ত দুইটি স্থানীয় মুসলিম উগ্রবাদী গোষ্ঠীকে দায়ি করেন৷ ওই বিস্ফোরণের পর আইএস একটি ভিডিও প্রকাশ করে যাতে আটজনকে তাদের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করতে দেখা যায়৷
ছবি: Reuters/D. Siddiqui
ইন্দোনেশিয়া
বিশ্বের বৃহত্তম মুসলিম দেশটির হাজার হাজার মানুষ আইএসের আদর্শ থেকে অনুপ্রাণিত বলে জানা গেছে৷ ধারণা করা হয় প্রায় ৫০০ ইন্দোনেশিয়ান আইএসের পক্ষে লড়াইয়ে সিরিয়ায় গিয়েছিল৷ গত বছর সুরবায়ায় আত্মঘাতী হামলায় ৩০ জন নিহত হয়৷ ওই হামলার পেছনে আইএস এর মদদপুষ্ট জামাহ আনসারুত দৌলা সংগঠনটির হাত ছিল৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo
ফিলিপাইন্স
ফিলিপাইন্সরা আশঙ্কা করছেন সিরিয়া ও ইরাক থেকে পালিয়ে আসা আইএস উগ্রপন্থিরা মিন্ডানাও প্রদেশের প্রত্যন্ত বন এবং মুসলিম গ্রামগুলোতে আশ্রয় নিতে পারে৷ এই অঞ্চলটি নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা, বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং ইসলামী বিদ্রোহের কারণে কুখ্যাত৷ এই অঞ্চলে সংঘটিত হামলা এবং সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের জন্য আইএস দায় নিলেও তার যথার্থতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
ছবি: Reuters/Handout
10 ছবি1 | 10
তবে সুখেন্দু শেখর মনে করেন, আইএসের হাত খুব লম্বা। আর তাদের নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব কেন্দ্রের। কারণ রাজ্যের কাছে সেই পরিকাঠামো নেই। মাওবাদীদের রুখতে গেলেও রাজ্যগুলির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর দরকার হয়। ফলে রাজ্যের পক্ষে আইএসের মোকাবিলা করা মুশকিল। রাজ্যের সাহায্যে কেন্দ্রীয় সরকারকেই এই কাজ করতে হবে। এটাও মনে রাখতে হবে, রাজ্যের এক হাজার ৪০০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। রাজ্যের প্রশাসনের কাছ থেকে সাহায্য চাইলে তারা নিঃসন্দেহে হাত বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মূলত কেন্দ্রের।
প্রবীণ সাংবাদিক শরদ গুপ্তাও মনে করেন, আইএস মোকাবিলার প্রধান দায়িত্ব কেন্দ্রের। ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেছেন, মনে রাখতে হবে, জঙ্গিদের মোকাবিলা করার জন্যই এনআইএ গঠন করা হয়েছিল। তাঁদের হাতে অভূতপূর্ব ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে কাজের সুবিধার জন্য।
সংসদে আইএস নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথা থেকে বোঝা যাচ্ছে, পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। শরদের মতে, এখনই সক্রিয়তা বাড়াতে হবে এনআইএ-কে। তারা সে কাজ করছেও। তা সত্ত্বেও আইএসের প্রভাব বাড়ানোর বিষয়টি নিঃসন্দেহে চিন্তাজনক।
তবে আরেকটা প্রশ্নও তুলছেন কিছু বিশেষজ্ঞ। সেটা হলো, গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য়ে ভোটের আগে কেন বারবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে আইএস নিয়ে কবর আসে। তারা কিন্তু বিশদে কিছু জানানো হয় না। তাদের সংগঠন কোথায়, কতজন জড়িত সে সব খবরও দেয়া হয় না।