1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস-বিরোধী সংগ্রামে দোটানায় তুরস্ক

২২ জুলাই ২০১৫

সার্বিক জাতীয় স্বার্থের দোহাই দিয়ে তুরস্কের সরকার এতকাল জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রাম থেকে দূরে ছিল৷ সোমবারের আত্মঘাতী সন্ত্রাসী হামলার পর এই নীতি দেশে-বিদেশে প্রবল চাপের মুখে পড়েছে৷

Türkei Suruc Bombenanschlag Premierminister Ahmet Davutoglu
ছবি: picture-alliance/AA/H. Sagirkaya

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর তৎপরতা সম্পর্কে তুরস্কের নীতি নিয়ে এতকাল অনেক সমালোচনা শোনা গেছে৷ প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এর্দোয়ান ও তাঁর রক্ষণশীল ইসলামি আক পার্টি আইএস-এর সঙ্গে শত্রুতার পথ এড়িয়ে যেতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে৷ এবার তুরস্কের ভূখণ্ডেই আইএস-এর সন্ত্রাসী হামলা সেই অবস্থান বদলে দেবে কিনা, তা নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে৷

সোমবার তুরস্কের সীমান্তে সুরুচ শহরে এক আত্মঘাতী হামলায় ৩২ জন নিহত হবার পর এর্দোয়ান সরকারের উপর চাপ বাড়ছে৷ এই হামলার প্রেক্ষাপট নিয়ে তুরস্কের সংবাদমাধ্যমে নানা মত উঠে আসছে৷ একদল মনে করে, সীমান্তের অপর প্রান্তে কোবানে শহর দখলের পর কুর্দিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নিতে আইএস এই হামলা চালিয়েছে৷ তুরস্কের সরকারকে বিব্রত করা হামলার লক্ষ্য ছিল না৷ সরকার কিন্তু এই প্রথম সরাসরি আইএস-কে হামলার জন্য দায়ী করেছে৷ হামলাকারীর পরিচয়ও জানা গেছে বলে সরকার দাবি করছে৷ প্রধানমন্ত্রী আহমেত দাভোতলু অবশ্য এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি৷ উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিভিন্ন শহরে আইএস-এর প্রতি সহানুভূতির দায়ে অনেককে আটক করা হয়েছে৷

সুরুচ-এর বোমা আক্রমণ নিয়ে ইস্তানবুলে প্রতিবাদছবি: Getty Images/AFP/O. Kose

আসলে দক্ষিণ সীমান্তে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদী ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ প্রশাসনকে বড় হুমকি বলে মনে করে তুরস্ক৷ তাই বিশেষ ভৌগোলিক গুরুত্ব সত্ত্বেও আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে মার্কিন নেতৃত্বে কোয়ালিশনে ন্যাটোর সদস্য তুরস্কের ভূমিকা অত্যন্ত শিথিল৷ এমনকি দেশের দক্ষিণে সামরিক ঘাঁটি থেকে বোমারু বিমান উৎক্ষেপণের অনুমতিও দেয়নি সরকার৷ তুরস্কের মতে, শুধু ব়্যাডিকাল ইসলামপন্থিদের উপর বোমা বর্ষণ করলে শান্তি আসবে না – বাশার আল-আসাদকেও ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে৷ অনেক পর্যবেক্ষকের মতে, আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হলে ইসলামপন্থি জোটকে সিরিয়ার ক্ষমতাকেন্দ্রে দেখতে চায় তুরস্ক৷ এ ভাবেই আইএস-কে দূরে রাখা সম্ভব বলে সে দেশের সরকারের ধারণা৷

এ দিকে আইএস-এর বিরুদ্ধে সংগ্রামে সিরিয়া ও ইরাকের কুর্দি যোদ্ধারা অ্যামেরিকার সমর্থন পেয়ে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে৷ তুরস্কের সীমান্তে সিরীয় ভূখণ্ডও এই মুহূর্তে কুর্দি ওয়াইপিজি মিলিশিয়া গোষ্ঠীর দখলে রয়েছে৷ তুরস্কের সংখ্যালঘু কুর্দিরাও এর ফলে উৎসাহিত হয়ে উঠতে পারে এবং পিকেকে জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে তাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদী প্রবণতা বাড়তে পারে বলে সরকার আশঙ্কা করছে৷ তাছাড়া কুর্দিদের আধিপত্যের ফলে গোটা অঞ্চলের চরিত্র বদলে যেতে পারে৷ তাই আইএস অথবা ওয়াইপিজি মিলিশিয়া – কোনো গোষ্ঠীকেই তারা সিরিয়া সীমান্তে দেখতে চায় না৷

সুরুচ শহরে সন্ত্রাসী হামলার পর ইস্তানবুল শহরে মঙ্গলবার কুর্দি বিক্ষোভকারীরা সরকারের সিরিয়া-নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে৷ পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে৷

এসবি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ