1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আইএস যোদ্ধারা নারীদের ধর্ষণ করছে

২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট-এর যোদ্ধারা ইরাকে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার সুন্নি আরব নারীদের ধর্ষণ ও নির্যাতন করছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷

ছবি: Reuters/T. Al-Sudani

ইয়াজেদি নারীদের বিরুদ্ধে একইরকম নির্যাতন ভালোভাবে নথিভুক্ত রয়েছে৷

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ সোমবার জানায়, সুন্নি আরব মুসলিম নারী এবং মেয়েদের ইচ্ছামত আটকে রাখাসহ পেটানো, যৌন নিপীড়ন এবং জোর করে বিয়ে করতে বাধ্য করা হচ্ছে৷ ইরাকের মোসুল থেকে পালিয়ে আসা ছয় নারীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে এইচআরডাব্লিউ৷ এই প্রথম সুন্নি নারীদের উপর ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর নির্যাতনের বিস্তারিত তথ্য জানা গেলো৷

এইচআরডাব্লিউ-র মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপ-পরিচালক লামা ফাকিহ এই বিষয়ে বলেন, ‘‘আমার আশা করি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এই ভুক্তভোগী দলকে সহায়তায় যা কিছু সম্ভব করবে৷''

এইচআরডাব্লিউকে সাক্ষাৎকার দেয়া নারীদের একজন হানান জানান, তাঁর স্বামী এলাকা ত্যাগের বেশ কয়েকসপ্তাহ পরে তিনি তাঁর সন্তানদেরসহ মোসুল থেকে পালানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু পলায়নরত দলটি আইএস-এর কাছে ধরা পড়ে যায়৷ তখন জঙ্গিরা হানানকে জানায় যে, তাঁর স্বামী ধর্মত্যাগী হয়েছেন, ফলে হানানকে একজন আইএস জঙ্গি নেতাকে বিয়ে করতে হবে৷ কিন্তু তিনি তা করতে অস্বীকার করায়, তাঁকে পেটানো হয় এবং সন্তানদের সামনেই প্রতিদিন ধর্ষণ করা হয়৷

ইয়াজেদি নারীদের সঙ্গেও এমন আচরণের কথা ইতোপূর্বে এইচআরডাব্লিউ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে৷

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আইএস-এর নির্যাতনের শিকার নারী ও মেয়েদের পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের কথা গোপন রাখার চেষ্টা করেন কেননা তারা মনে করেন, সেগুলো জানাজানি হলে সমাজে নির্যাতিতদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হবে৷ এইচআরডাব্লিউ নির্যাতিতদের সহায়তা করতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের মুখ খুলতে উৎসাহ যোগাতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে৷

উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টেট এক ধরনের সুন্নি ইসলামের অনুসারী বলে নিজেদের দাবি করে, যা মহানবী মোহাম্মদের সময় চর্চা করা হতো৷ ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় ইরাক এবং সিরিয়ার বেশ কিছু অংশ দখল করে নিজেদের ‘খেলাফত' প্রতিষ্ঠিত করে জঙ্গি গোষ্ঠীটি৷ আন্তর্জাতিক সামরিকজোটের সহায়তায় ইতোমধ্যে অবশ্য আইএস-এর কাছ থেকে অনেক এলাকা পুনরুদ্ধারের সক্ষম হয়েছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী৷

সামান্থা আর্লি/এআই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ