1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘আইনজীবীদের সম্মান দিতে হবে, বিচারকদের সম্মানটাও আমরা দেবো’

১৩ জানুয়ারি ২০২৩

সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে বিবাদকে কেন্দ্র করে নানা ধরনের আলোচনা হচ্ছে৷ প্রশ্ন উঠেছে, বারের নেতারা কি বিচারকদের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন? কিভাবে এই পরিস্থিতির উন্নতি সম্ভব?

ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালত
ছবি: DW/M. Mostafigur Rahman

এসব বিষয়ে ডয়চে ভেলের সঙ্গে কথা বলেছেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির৷

ডয়চে ভেলে : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারালয়ে যে ঘটনাটি ঘটেছে, তা হয়ত জানেন আপনি৷ বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের সুসম্পর্ক ছাড়া কি সুষ্ঠুভাবে বিচারকাজ পরিচালনা সম্ভব?

মমতাজ উদ্দিন ফকির : না, না৷ একেবারে পরিপূরক৷ বার এবং বেঞ্চের সম্পর্ক মধুর থাকতে হবে৷

এই ধরনের ঘটনায় বিচারকদের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে?

প্রভাবটা ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে৷ এগুলো অনেক সময় টলারেন্সের উপর নির্ভর করে৷ কোনো সময় ভুল বোঝাবুঝি কারণে এটা হতে পারে, পরে এটা ঠিক হয়ে যায়৷ অবশ্যই একজন আরেকজনের পরিপূরক৷

একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটছে৷ উচ্চ আদালত একাধিকবার তাদের ডেকে সতর্কও করেছে৷ তারপরও কেন বন্ধ হচ্ছে না এই ঘটনাগুলো?

হবে৷ হয়ত আগেও হয়েছে৷ সবজায়গায় এগুলো আছে৷ পৃথিবীর অন্য জায়গায়ও এটা আছে৷ পরিবারেও এটা হয়৷ আপনার পরিবারেও দেখবেন সবাই একরকম হয় না৷ তার অর্থ এই নয় যে, পরিবার নষ্ট হয়ে যাবে৷

‘বিচারকদের মধ্যে সবাই তো দুধে ধোয়া না’

This browser does not support the audio element.

এই ধরনের ঘটনাগুলোতে বিচারপ্রার্থীদের যে দুর্ভোগ তা নিরসনে সুপ্রিমকোর্ট ও আইন মন্ত্রণালয়ের দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা নেই কেন?

ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না- এটা ঠিক না৷ আইন মন্ত্রণালয় ও সুপ্রিমকোর্ট এটা নিয়ে তো ভাবছে৷ বিচার বিভাগ তো স্বাধীন৷ তারা স্বাধীনভাবে এগুলো নিয়ে চিন্তা করে৷ তারা নিশ্চয়ই এগুলো নিয়ে ভাবছে৷

আদালতের ভেতরের কর্মকাণ্ডের ছবি তোলা বা ভিডিও করা নিষিদ্ধ৷ কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় যে ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ পেয়েছে, সেটা কি আইনের লঙ্ঘন নয়?

এখন তো হাতে হাতে মোবাইল ফোন৷ এটা অবশ্যই লঙ্ঘন৷ কোনো ঘটনা ফেসবুকে দেওয়া হলে আরো উত্তেজনার সৃষ্টি করে৷ উদ্দেশ্যমূলকভাবে এগুলো করা হয়৷ এ জন্য কিন্তু বিভিন্ন সময় সতর্কও করা হয়৷ বলা হয়, ‘‘তোমরা এগুলো করো না’’৷ তারপরও করে৷ অনেক সময় দেখবেন রাস্তায় হাঁটছেন, আপনি জানেনও না, আপনার ছবি উঠানো হয়েছে৷ আগে কিন্তু অনুমতি ছাড়া কেউ ছবি তুলতে পারতো না৷ এখন তো এগুলো মানা হচ্ছে না৷ এখন তো হাতে হাতে মোবাইল, রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা আছে৷

বারের নেতারা কি এই ঘটনাগুলোর মাধ্যমে বিচারকদের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেন?

এটা আসলে ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে৷ জুডিশিয়ারিতে যারা আছেন, তারা অবশ্যই চেষ্টা করেন যাতে বিচারপ্রার্থীদের ক্ষতি না হয়৷

বিচারকদের সহনশীল মনোভাবের অভাবেই কি বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটছে?

এটা সবার ক্ষেত্রে একরকম নয়৷ আমার যে টলারেন্স আছে, আরেকজনের জন্য সেটা হয়ত থাকবে না৷ এটা বিচারবিভাগের বিষয় না, ব্যক্তি বিশেষের উপর নির্ভর করে৷ পারসোনাল ইগোর কারণে কেউ কিছু একটা করে থাকতে পারে৷ বিচারকদের মধ্যে সবাই তো দুধে ধোয়া না৷ এটার জন্য আইনজীবীরাও খারাপ না, বিচার বিভাগও খারাপ না৷ সাংবাদিকদের মধ্যেও একজন যেভাবে নম্র-ভদ্রভাবে চলেন, আরেকজন সেভাবে না-ও চলতে পারেন৷ পার্থক্য আছে না?   

উচ্চ আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ২১ জন আইনজীবীকে তলব করেছেন৷ এখানে কি আরো কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে উচ্চ আদালতের?

বিচারপতিরা তাদের কথা শুনবেন, তারপর সিদ্ধান্ত দেবেন৷

ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?

বিচারক ও আইনজীবীদের মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকতে হবে৷ এই সম্পর্ক ভালো থাকলে সবার জন্য ভালো হবে৷ আইনজীবীরা ভালো থাকলে দেশ ভালো থাকবে৷ আমার পরামর্শ হলো, সবাই সবার জায়গা থেকে সতর্ক থাকবেন, আইন মেনে চলবেন৷ আইনজীবীদের সম্মানটা তাদের দিতে হবে৷ আর বিচারকদের সম্মানটা আমরা দেবো৷ বুঝতে হবে, একজন আরেকজনের পরিপূরক৷ এর ব্যত্যয় ঘটলে ক্ষতি হবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ