থাইল্যান্ডে মারিজুয়ানা বিলের বিরোধীরা গাঁজার বিনোদনমূলক ব্যবহার বাড়তে থাকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে৷ দেশটিতে গাঁজা চাষ ও সেবনের উদারীকরণের ফলে ব্যাংকক থেকে পাতায়া পর্যন্ত নতুন এক লাভজনক শিল্পের উদ্ভব হয়েছে৷
থাইল্যান্ডে প্রকাশ্যে গাঁজা সেবন এখনো গণস্বাস্থ্য আইনের পরিপন্থি হতে পারে ছবি: Peerapon Boonyakiat/SOPA Images/ZUMA/picture alliance
বিজ্ঞাপন
থাই সরকার গত ৯ জুন গাঁজার চাষ এবং খাদ্য ও পানীয়তে এর ব্যবহারকে বৈধ ঘোষণা করে৷ নিষিদ্ধ মাদকের তালিকা থেকে গাঁজা বাদ দেয়৷
এমন সিদ্ধান্ত কৃষি ও পর্যটন শিল্পকে উজ্জীবিত করবে এবং চিকিৎসায় গাঁজার গাছ ব্যবহৃত হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়৷ কিন্তু আইন প্রণেতারা উঠতি এই শিল্পকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সে বিষয়ে ঐকমত্যে পৌছাতে ব্যর্থ হন৷
‘‘আমরা অনিয়ন্ত্রিতভাবে গাঁজাকে বৈধ করার বিরুদ্ধে, যার সূত্রপাত ঘটেছে কোন রকম কার্যকর বিধিনিষেধ ছাড়াই গাঁজাকে মাদকদ্রব্যের তালিকা থেকে সরিয়ে ফেলার পর,'' বিরোধী রাজনৈতিক দল মুভ ফরওয়ার্ড পার্টি নেতা পিটা লিমিয়ারোয়েনরাত গত বুধবার বিলটির দ্বিতীয় বার আলোচনার জন্য সংসদে উপস্থাপিত হলে এমন মন্তব্য করেন৷
শুধু গাঁজা খেতে থাইল্যান্ডে যাওয়া বারণ
করোনার প্রকোপ কমে যাওয়ায় থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্প আবার চাঙা হয়ে উঠছে ৷ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে এখন অনেকেই যাচ্ছেন শুধু গাঁজা সেবন করতে৷ এমন পর্যটক অবশ্য আর চায় না থাই সরকার৷ ছবিঘরে বিস্তারিত....
ছবি: Lauren DeCicca/Getty Images
থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পে গাঁজার পরোক্ষ প্রভাব
২০১৮ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে চিকিৎসার প্রয়োজনে পরিমানমতো গাঁজা সেবন বৈধ ঘোষণা করে থাইল্যান্ড৷ পরের বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালে সেখানে গিয়েছিল প্রায় চার কোটি পর্যটক৷ এর আগে কখনো এক বছরে এত পর্যটক পায়নি থাইল্যান্ড৷
চিকিৎসার প্রয়োজনে গাঁজা সেবন বৈধ হবার পর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি গাঁজা বিষয়ক নীতিমালা প্রণয়ন করেছে৷ নীতিমালায় দেশের ওষুধ শিল্পকে ঘিরে ৭৯০ মিলিয়ন ডলারের গাঁজা শিল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে৷
ছবি: Lauren DeCicca/Getty Images
করোনায় করুণ দশা
করোনা ভাইরাসের প্রকোপ শুরুর পর বিশ্বের সব দেশের মতো থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পেও নামে বিপর্যয়৷ ২০১৯ সালে রেকর্ডসংখ্যক পর্যটক পেলেও ২০২০ সালে সে-দেশে পর্যটক যেতেই পারেনি, ২০২১ সালে গিয়েছিল মাত্র চার লাখ ২৮ হাজার জন৷
ছবি: Soe Zeya Tun/REUTERS
গাঁজায় গা-ঝাড়া
তবে চলতি বছর গাঁজার বিষয়ে আরো ‘উদার’ হয়েছে থাই সরকার৷ গত জুনে গাঁজাকে পুরোপুরি বৈধতা দেয়া হয়৷ ফলে অনেক দোকানেই এখন গাঁজা পাওয়া যায়৷ কোনো কোনো দোকানে ‘স্মোকিং রুম’-এ বসে সেবনও করা যায়৷ এমন সুযোগ আছে যে দেশে গাঁজাসেবীরা তো সেই দেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখতে পারেন না, তাই গাঁজাসেবী পর্যটকের যেন ঢল নেমেছে থাইল্যান্ডে! ওপরের ছবিতে এক ল্যাবরেটরিতে গাঁজা থেকে ওষুধ বানানোর দৃশ্য৷
ছবি: Athit Perawongmetha/REUTERS
স্বাস্থমন্ত্রীর ঘোষণা
এ বছর গাঁজাসেবী পর্যটক এতটাই বেড়েছে যে ইতিমধ্যে এ বিষয়ে কঠোর হওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে সরকার৷ বেশি মাত্রায় সেবন করার ফলে নেশাগ্রস্ত হয়ে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করছেন কেউ কেউ৷ তাই সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বুধবার থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চারনভিরাকুল বলেছেন, ‘‘ (শুধু গাঁজা সেবন করতে আসেন) এমন পর্যটক আমরা চাই না৷ আমরা আর তাদের স্বাগত জানাতে চাই না৷’’
ছবি: Athit Perawongmetha/REUTERS
প্রকাশ্যে ধূমপানে কঠোর শাস্তি
থাইল্যান্ডে প্রকাশ্যে ধূমপান করলে তিনমাসের কারাদণ্ড বা ২৫ হাজার বাখ, অর্থাৎ ৭০৫.৮২ ডলার জরিমানা হতে পারে৷ অতিরিক্ত গাঁজা সেবন করে অন্যের জন্য সমস্যা তৈরি করলেও রয়েছে শায়েস্তা হওয়ার আশঙ্কা৷
২০২১ সালে মাত্র চার লাখ ২৮ হাজার জন পর্যটক পেয়েছিল থাইল্যান্ড৷ তবে এ বছর ৮০ লাখ থেকে এক কোটি পর্যটক দেশটি দেখতে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ যারা যাবেন তাদের অনেকেরই যে আকর্ষণের তালিকায় সবার ওপরে গাঁজা থাকবে তাতে আর সন্দেহ কী!
ছবি: Athit Perawongmetha/REUTERS
7 ছবি1 | 7
তবে, মারিজুয়ানা সম্পর্কিত প্রস্তাবিত আইনটি এই বছরের মধ্যে, এমনকি আগামী ৭ মে থাইল্যান্ডের সম্ভাব্য সাধারণ নির্বাচনের আগে পাশ করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে৷
সুযোগের দুয়ার উম্মোচন
গাঁজার বৈধকরণ ও কোভিড পরবর্তী আন্তর্জাতিক পর্যটকের থাইল্যান্ডে আগমন মারিজুয়ানা ব্যবসার দার খুলে দিয়েছে৷ এতে বেড়েছে ব্যবসা ও মুনাফা করার সুযোগ৷ নতুন নতুন অনেক দোকান খুলেছে৷ পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয়রাও বিনোদনের জন্য গাঁজা সেবন করছেন৷
‘‘দেরি না করে এই সুযোগে আমরা একটা দোকান খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম,'' বলছিলেন পাতায়ার দ্য বুটেন্ডার গাঁজা ডিসপেনসারির একজন মালিক পাম্প চিতিরা৷
প্রতিদিন ৬০ জন ক্রেতা, যাদের অধিকাংশই পর্যটক, এই দোকান থেকে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ থাই বাথ মূল্যের গাঁজা কিনছেন৷চার মাসের মধ্যে দোকানের মালিকেরা তাদের ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা করছেন৷
চিতিয়া বলেন, ‘‘আমাদের দ্বিতীয় শাখাটি খোলা হচ্ছে এ বছরের শেষে৷''
রাজধানী ব্যংককের চিত্রও একই রকম৷ আইনের বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার দিন থেকেই এই শহরে নতুন অনেক দোকান খুলে যায়৷ এসব দোকানের বিক্রেতারা খোলামেলা ভাবেই পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে৷ সেখানে গাঁজা বিক্রি ও সেবন চলছে৷
‘‘আমার মাসে প্রায় ৫০ হাজার বাথ উপার্জন করছি,'' এক দোকানের মালিক পিঙ্ক কিটলিপাপর্ন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দোকানটি বিমানবন্দরের কাছাকাছি হওয়ায় বেচা-বিক্রি বাড়ছে বলে তিনি জানান৷
‘‘অনেক পর্যটক বিমানবন্দরে নামার পরই গাঁজার সুবাস নিতে চান৷ আমরা তাদের সাদরে অভ্যর্থনা জানাই,'' বলছিলেন তিনি৷
সমালোচকদের সরাসরি নিষেধাজ্ঞার আহ্বান
গাঁজার ডিসপেনসারি এমন সব এলাকায় গড়ে উঠছে যেখানে পর্যটকেরা সাধারণত ঘোরাফেরা করেন না৷
‘‘এই রাস্তায় চার থেকে পাঁচটা দোকান রয়েছে,'' ব্যাংককের উপকণ্ঠে হেম্পি নামের এক গাঁজার দোকান মালিক থানাকর্ন লুথাম্মাসর্ন ডয়চে ভেলেকে বলেন৷ ২৪ বছর বয়সী এই বিক্রেতা জানান, গাঁজা চাষ এবং তার দোকানে এর বিক্রির ক্ষেত্রে তাদের তেমন কোনো জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়নি৷
গাঁজা পরিমাণমতো সেবনে অনেক উপকার
গাঁজার নেশা হলে, বা সে নেশা বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেলে জীবনে বিপদ ডেকে আনতে পারে৷ তবে গবেষকরা বলছেন পরিমাণমতো গাঁজা ওষুধ হিসেবে সেবন করলে নাকি অনেক উপকার৷ নয়টি উপকার সম্পর্কে জানুন৷
ছবি: Novartis Vaccine
মৃগীরোগ কমায়
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ২০১৩ সালেই জানিয়েছেন, মারিজুয়ানা বা গাঁজা একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় নিলে মৃগী বা এ ধরণের কিছু স্নায়ুরোগ থেকে দূরে থাকা যায়৷ বিজ্ঞান বিষয়ক সাময়িকী জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল থেরাপিউটিক্স-এ ছাপাও হয়েছে তাঁদের এই গবেষণালব্ধ তত্ত্ব৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Sultan
গ্লুকোমা দূরে রাখতে সহায়তা করে
এই বিষয়টি তো প্রায় দশ বছর আগে জানা গেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল আই ইন্সটিটিউট জানিয়েছিল মারিজুয়ানা গ্লুকোমার ঝুঁকিও কমায়৷ গ্লুকোমা চোখের এমন এক রোগ যা চির অন্ধত্ব ডেকে আনে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Leukert
আলৎসহাইমার শত্রু
দ্য জার্নাল অফ আলৎসহাইমার’স ডিজিজে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মারিজুয়ানা মস্তিষ্কের দ্রুত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়াও রোধ করে৷ আর এভাবে আলৎসহাইমার ঝুঁকিও কমাতে পারে মারিজুয়ানা৷ তবে মারিজুয়ানা ‘ওষুধ’ হলেই রোগ সারাবে, কারো নিয়ন্ত্রণহীন আসক্তির পণ্য হলে নয়৷
ছবি: Colourbox
ক্যানসারেরও ‘অ্যানসার’!
এই বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র সরকারিভাবেই স্বীকার করেছে৷ ২০১৫ সালে সে দেশের ক্যানসার বিষয়ক ওযেবসাইট ক্যানসার অর্গ-এ জানানো হয়, মারিজুয়ানা অনেক ক্ষেত্রে টিউমারের ঝুঁকি কমিয়ে ক্যানসার প্রতিরোধকেরও ভূমিকা পালন করে৷
ছবি: Imago/Science Photo Library
কেমোথেরাপির ক্ষতি কম
ইউএস এজেন্সি ফর ড্রাগ জানিয়েছে, মারিজুয়ানা ক্যানসার রোগীর রোগযন্ত্রণা অন্যভাবেও কমায়৷ ক্যানসার রোগীকে এক পর্যায়ে কেমোথেরাপি নিতে হয়৷ কেমোথেরাপির অনেক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া৷ মারিজুয়ানা কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াজনিত অনেক ক্ষতি লাঘব করে৷
ছবি: Frederic J. Brown/AFP/Getty Images
স্ট্রোক কম হয়
এটি যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহ্যামের গবেষকদের উদ্ভাবন৷ তাঁরা গবেষণা করে দেখেছেন, মারিজুয়ানা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতেও সহায়তা করে৷ ফলে স্ট্রোক-এর ঝুঁকি কমে৷
ছবি: Colourbox
গাঁজা মাল্টিপল সক্লেরোসিসবিরোধী
মানুষের স্নায়ুতন্ত্রে একটি বিশেষ স্তর ক্ষতিগ্রস্থ হলে ‘মাল্টিপল সক্লেরোসিস’ বা এমএস নামের এক ধরণের স্নায়ুরোগ হয়৷ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী মারিজুয়ানা সেবন করলে এই রোগের ঝুঁকিও কমে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
ব্যথা নিরোধ
ডায়াবেটিস চরম রূপ নিলে রোগীদের অনেক সময় হাত-পা এবং শরীরের নানা অংশে জ্বালা-যন্ত্রণা হয়৷ ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষকরা বলছেন, ক্যানাবিস সেই যন্ত্রণা লাঘব করতে সক্ষম৷
হেপাটাইটিস ‘সি’-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কমায়
হেপাটাইটিস সি-র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কমায় মারিজুয়ানা৷ নির্দিষ্ট মাত্রায় ওষুধের মতো গাঁজা সেবন করিয়ে দেখা গেছে এই রোগে আক্রান্তদের শতকরা ৮৬ ভাগেরই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া অনেক কমেছে৷
ছবি: Novartis Vaccine
9 ছবি1 | 9
গাঁজার ক্রমবর্ধমান বিস্তার ও সহজলভ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে এটাকে সরাসরি নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে অনেকে৷
‘‘নিয়ন্ত্রিত করার জন্য একটি প্রবিধান পাস না করে আগেই গাঁজাকে বৈধতা দেয়া একটি ভুল পদক্ষেপ ছিল,'' বলেছেন থাইল্যান্ডের ফরেনসিক চিকিৎসক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি স্মিথ শ্রীসন্ট৷ গত মাসে তিনি আদালতে গাঁজার গাছকে নিষিদ্ধ মাদকদ্রব্য হিসাবে পুনরায় তালিকাভুক্ত করার জন্য আবেদন করেছিলেন৷
চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য এবং অর্থকরী ফসল হিসেবে গাঁজাকে বৈধতা করার স্থপতি বলা হয় থাই স্বাস্থ্যমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুলকে৷ ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে তিনি বলেছেন, ‘‘গাঁজাকে বিনোদনের উপকরণ করা কখনই তার উদ্দেশ্যে ছিল না৷''
সরকারি বিধিনিষেধ প্রবর্তন
জনসমক্ষে গাঁজা সেবন করা থাইল্যান্ডে জনস্বাস্থ্য আইনের লঙ্ঘন৷ সরকার নভেম্বর থেকে একটি নতুন আদেশ জারি করেছে, এর আওতায়, ব্যবসায়িক প্রাঙ্গণে বিনোদনমূলক গাঁজা ধূমপান নিষিদ্ধ এবং ফুলের কুঁড়ি নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনে এটাকে নিয়ন্ত্রিত দ্রব্য হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে৷
ভেন্ডিং মেশিন বা অনলাইন, পাবলিক পার্ক, বিনোদন পার্ক, উপাসনালয় বা হোস্টেলে এই ভেষজ আর বিক্রি করা যাবে না৷
নতুন এই আদেশ, ২০ বছরের কম বয়সী, গর্ভবতী বা বুকের দুধ খাওয়ানো নারীদের জন্য গাঁজা সীমিত করার পাশাপাশি বিধি-নিষেধের আওতায় স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷
তবে, ক্ষতি যা হবার তা এরই মাঝে হয়ে গেছে৷ অনেক ব্যবসায়ী বিধি-নিষেধকে পাশ কাটিয়ে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে৷
গাঁজার ব্যাপারটাকে স্পর্শকাতর অভিহিত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক পরিচালক এ নিয়ে ডয়চে ভেলের কাছে কোন মন্তব্য করতে অপরগতা প্রকাশ করেছেন৷