1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তান

ওয়াসলাত হাসরাত-নাজিমি/এসিবি২ ডিসেম্বর ২০১২

ইট ভাঙতে বসেছে ছেলেটি৷ বয়স মাত্র ৩৷ আস্ত ইট ধরে তুলতেই পারে না, ভাঙবে কী!আফগানিস্তানে এমন শিশুদেরও খেটে খেতে হয়, সইতে হয় নিপীড়ন, নির্যাতন৷

Hazara girl Salim (7) weaves a carpet on Tuesday, 16 August 2005, in Bamiyan, Afghanistan. Most households in Afghanistan have a carpet weaving facility to compensate the meagre income. Usually children go to school in the morning and learn weaving during the afternoon. The quality of carpets generally depends on the wool or silk used and the density of the knots. Foto: SYED JAN SABAWOON +++(c) dpa - Report+++ usage Germany only, Verwendung nur in Deutschland
ছবি: picture-alliance/ dpa/dpaweb

নির্যাতন, নিপীড়নের অপরাধে ফাঁসি – এটা কি শাস্তি হয়? ওস্তাদ শরাফুদ্দীন আহমেদ মনে করেন, হয়, কারণ, শারীরিক নির্যাতন বা যৌন নিপীড়নের শিকার যেখানে অবোধ শিশু সেখানে শাস্তি অনেক কঠিন হওয়া উচিত এবং এ যুক্তিতেই তিনি বলছেন, এমন ঘটনায় দোষী ব্যাক্তির কঠোরতম সাজাই হওয়া উচিত৷

সমস্যাসঙ্কুল দেশ আফগানিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও ভীষণ খারাপ৷ যে দেশে যুদ্ধহীন, রক্তপাতহীন, শান্তিপূর্ণ দিন শেষ কবে এসেছিল বলা কঠিন সে দেশের অর্থনীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খুব একটা ভালো হওয়ার কথাও নয়৷ তাই বলে শিশুদের জীবনও এত দুর্বিসহ হবে?

আফগানিস্তানে ৩ বছরের শিশুকেও হতে হয়েছে যৌন নিপীড়নের শিকার৷ ঘরে খাবার নেই, তাই ওই বয়সের শিশুদেরও নামতে হয় কাজে৷ ওদের কর্মস্থল যেন নির্যাতক, নিপীড়কদেরই বিচরণভূমি৷ তাই অহরহ ঘটছে শিশু নির্যাতনের ঘটনা৷ ক‘দিন আগে আন্তর্জাতিক শিশু দিবসে আফগান সরকারও বলেছে দেশের অধিকাংশ শিশু বেশ সঙ্কটে রয়েছে৷

পৃথিবীর নানা দেশে চলছে এখনও শিশু শ্রমছবি: DW/Johannes Beck

ক‘দিন আগে পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেছে পাশের বাড়ির ২২ বছরের এক তরুণ৷ তাখার রাজ্যে এ নিয়ে খুব তোলপাড় হলো কয়েকদিন৷ তারপর সব ঠান্ডা৷ অপরাধী ধরাই পড়েনি সাজা হওয়া তো দূরের কথা৷ শিশু নির্যাতন, নিপীড়ন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশেও কমবেশি হয়৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ঘটনা জানাজানি হলে অপরাধী ধরা পড়ে এবং তার বিচারও হয়৷ কিন্তু আফগানিস্তানে নির্যাতিত শিশুর হয়ে বিচার চাওয়াও বিরল ঘটনা৷ বিচারই হয় না, তো চেয়ে কী লাভ - ভুক্তভোগীরা এই ভেবেই সম্ভবত নিরব থাকেন৷

কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানের অধ্যাপক ওস্তাদ শরাফুদ্দীন আহমেদ এ অবস্থার পরিবর্তন চান৷ তিনি মনে করেন শ্রম ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় তৎপর হলেই কেবল সেটা কিছুটা সম্ভব৷ অপরাধীর কঠোর শাস্তির ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কাছে শিশুদের যৌন নিপীড়নের শাস্তি তাই মৃত্যুদণ্ড৷

আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হেরাতে এ বছর ৭০টি শিশু নিপীড়নের অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ৷ অভিযোগ করা হয়নি এমন ঘটনা যে তার চেয়ে অনেক বেশি সেটা অবশ্য বলাই বাহুল্য৷ আফগানিস্তানের বেসরকারি সংস্থা ‘তাঘির কারওয়ান'-এর মোহাম্মদ রহিম বেশ হতাশা নিয়েই বললেন, যার বিরুদ্ধেই শিশু নির্যাতনের অভিযোগ প্রমাণিত হবে, তাকে কঠোর শাস্তি দিতেই হবে, নইলে সমাজে এসব বিকৃত রুচির লোকের সংখ্যা বাড়তেই থাকবে৷

কিন্তু সেটা তো হতে দেয়া যায়না৷ তাই কঠোর ব্যবস্থার দিকে যাওয়া ছাড়া উপায় কী? আফগান সরকার সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানিয়েছে অপরাধ, বিশেষ করে শিশু নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে খুব কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ শ্রম ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আলী এফতেখারি অপরাধীর শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি আরেকটি বিষয়ের দিকে নজর দেয়াও খুব দরকার মনে করেন৷ তাঁর মতে এ ক্ষেত্রে শিক্ষার প্রসারটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ৷ মানুষ লেখা-পড়া শিখলে জীবন যাপনের মান উন্নত করতে পারবে৷ স্বচ্ছলতা এলে সন্তানদেরও তাঁরা সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য তৈরি করতে পারবেন৷ তখন আর তিন বছরের শিশুকে পেটের জ্বালা জুড়াতে আয়-রোজগারে নামতে হবে না, বাড়ির বাইরে নির্যাতনের শিকার হওয়ার ঘটনাও তখন কমবে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ